শ্রীলঙ্কা ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স শুবমান গিলকে এনে দিতে পারে দারুণ এক স্বীকৃতি। ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ’- এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ভারতের তরুণ এই ব্যাটসম্যান। জানুয়ারির সেরার লড়াইয়ে তার সঙ্গে আছেন স্বদেশী পেসার মোহাম্মদ সিরাজ ও নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান ডেভন কনওয়ে।
মাস সেরার লড়াইয়ে থাকা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের নাম মঙ্গলবার নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে আইসিসি। মেয়েদের তিন জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন অস্ট্রেলিয়ার বেথ মুনি, ফিবি লিচফিল্ড ও ইংল্যান্ডের গ্রেস স্ক্রিভেন্স।
শুবমান গিল (ভারত)
বছরের প্রথম মাসটা ব্যাট হাতে দুর্দান্ত কাটে গিলের, বিশেষ করে ওয়ানডেতে। এই সংস্করণে জানুয়ারি মাসে ১১৩.৪০ গড়ে তিনি করেন ৫৬৭ রান। সেঞ্চুরি হাঁকান তিনটি, যার একটি ডাবল।
ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে ৯৭ বলে তিনি খেলেন ১১৬ রানের ইনিংস। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ১৪৯ বলে ১৯ চার ও ৯ ছক্কায় উপহার দেন ২০৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। সিরিজের শেষ ম্যাচে করেন ৭৮ বলে ১১২।
গত মাসে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে গিল করেন ৭৬ রান। এসব পারফরম্যান্স প্রথমবার আইসিসির মাস সেরার মনোনয়ন এনে দিয়েছে তাকে।
মোহাম্মদ সিরাজ (ভারত)
ওয়ানডে ক্রিকেটে বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে গত মাসে প্রথমবার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠেন সিরাজ। ২৮ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার জানুয়ারিতে ৫ ওয়ানডে খেলে উইকেট নেন ১৪টি, বোলিং গড় ১০.৫৭। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে নেন ৪টি করে উইকেট।
ডেভন কনওয়ে (নিউ জিল্যান্ড)
গত মাসে লাল ও সাদা বলে সমান তালে আলো ছড়ান কনওয়ে। এই সময়ে সব মিলিয়ে তিনি করেন প্রায় ৫০০ রান। নিউ জিল্যান্ডের এই ওপেনার পাকিস্তানের বিপক্ষে করাচিতে দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরির পর তিন অঙ্ক ছোঁয়া ইনিংস উপহার দেন দেন দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। পরে ভারতের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে রান তাড়ায় খেলেন ১০০ বলে ১৩৮ রানের খুনে ইনিংস।
মেয়েদের মনোনীত তিন জন
ফিবি লিচফিল্ড (অস্ট্রেলিয়া)
গত মাসে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে বড় অবদান রাখেন লিচফিল্ড। ওয়ানডে অভিষেকে রান তাড়ায় তিনি খেলেন অপরাজিত ৭৮ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস। পরের ম্যাচে আবারও সফল রান তাড়ায় করেন ৬১ বলে অরপাজিত ৬৭। সঙ্গে বেথ মুনির সঙ্গে তার অবিচ্ছিন্ন ১২৯ রানের জুটিতে ১০ উইকেটের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।
বেথ মুনি (অস্ট্রেলিয়া)
পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের সেরা নির্বাচিত হন মুনি। এই ওপেনার ব্যাটার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১০ উইকেটের জয়ে খেলেন অপরাজিত ৫৭ রানের ইনিংস। শেষ ম্যাচে উপহার দেন সেঞ্চুরি, ১০৫ বলে ১৩৩।
গ্রেস স্ক্রিভেন্স (ইংল্যান্ড)
প্রথমবার অনুষ্ঠিত আইসিস উইমেন’স অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাট ও বল হাতে আলো ছড়ান রানার্সআপ ইংল্যান্ডের অধিনায়ক স্ক্রিভেন্স। তিন ফিফটিতে আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৩ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ৯ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা নির্বাচক হন এই স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার।
আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে আছেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে।
সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।