টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড।
Published : 13 Nov 2022, 12:31 PM
এবার সংস্করণ ভিন্ন। তবে ভেন্যু, প্রতিপক্ষ, মঞ্চ সবই তো একই। তাই ঘুরেফিরে আলোচনায় আসছে ১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে যেখানে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম বৈশ্বিক ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল পাকিস্তান।
৩০ বছর আগে মেলবোর্নে ‘মিরাকল অব নাইন্টি টু’ জন্ম দিয়েছিল ইমরান খানের দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অষ্টম আসরের ফাইনালে সেই মাঠেই মুখোমুখি হতে যাচ্ছে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু মাঠের লড়াইয়ে।
পাকিস্তান যখন ইংলিশদের হারিয়ে ইতিহাস রচনা করেছিল, তখন জন্মই হয়নি বাবর আজমের। তবে দেশের সেই ঐতিহাসিক জয়ের ভিডিও নিশ্চিতভাবেই দেখার কথা তার। ইমরানের মতো এবার পাকিস্তানের অধিনায়ক তিনি। স্বাভাবিকভাবেই চাইবেন ১৯৯২ বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি করতে। শিরোপা জিতে মাততে চাইবেন বাঁধনহারা উল্লাসে।
তবে ইংল্যান্ড তা ফিরতে দিতে চাইবে না নিশ্চিতভাবেই। নিজেদের সে জায়গায় কল্পনাও করবে না তারা। ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার তো সরাসরি বলেই দিয়েছেন, প্রলেপ দিতে চান তিন দশক আগের সেই পুরনো ক্ষতে।
আগুনের জবাবে আগুন
পাকিস্তানের রয়েছে গতি ও সুইংয়ের মিশেলে দুর্দান্ত এক পেস বোলিং বিভাগ। আর ইংল্যান্ডের বিধ্বংসী সব ব্যাটসম্যান। শাহিন শাহ আফ্রিদি আর নাসিম শাহর হাতে চকচকে কুকাবুরার ছোবলে থাকবে মারণ বিষ। তবে জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলসের জানা আছে দাওয়াই। আগুনের জবাব আগুনে লড়াইয়ে জ্বলে উঠবে কারা, অপেক্ষায় পুরো ক্রিকেট বিশ্ব।
চোট কাটিয়ে বিশ্বকাপ দিয়ে মাঠে ফিরে শুরুতে ছন্দে ছিলেন না আফ্রিদি। তবে সময়ের সঙ্গে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছেন তিনি। ফিরে পেয়েছেন চেনা ছন্দ। আসরে প্রথম তিন ম্যাচ ৩ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি এই পেসার সবশেষ তিন ম্যাচে ধরেছেন ৯ শিকার।
সুপার টুয়েলভে পর্বে বাটলার ও হেলসকেও দেখা যায়নি সেরা ছন্দে। তবে সেমি-ফাইনালে যেভাবে ভারতীয় বোলারদের তুলাধুনা করেছেন তারা, তাতে কিছুটা বাড়তি সাবধানী হওয়ারই কথা পাকিস্তান বোলারদের।
‘দ্বিতীয়’ শিরোপায় চোখ দুই দলেরই
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই ফাইনাল খেলেছিল পাকিস্তান। কিন্তু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে হেরে ভাঙে তাদের শিরোপা স্বপ্ন। পরের আসরেই অবশ্য ২০ ওভারের বৈশ্বিক ট্রফি ঘরে তোলে পাকিস্তান। ২০০৯ আসরের ফাইনালে তারা হারায় এশিয়ার আরেক দেশ শ্রীলঙ্কাকে।
ইংল্যান্ড টি-টোয়েন্টির বৈশ্বিক আসরে প্রথমবার ফাইনালে ওঠে ২০১০ সালে। আর সেবারই তারা করে বাজিমাত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে জেতে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ।
অস্ট্রেলিয়া আসরে দুই দলের চোখ দ্বিতীয় শিরোপায়। যে কীর্তি আছে কেবল ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
টি-টোয়েন্টির আরেকটি বৈশ্বিক শিরোপা ঘরে তোলার মঞ্চে টস জিতলেন জস বাটলার। ইংল্যান্ড অধিনায়ক নিলেন বোলিং। পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম বললেন, টস জিতলে তিনিও নিতেন বোলিং।
চোট থেকে পুরোপুরি সেরে উঠতে পারেননি পেসার মার্ক উড ও টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান দাভিদ মালান। সেমি-ফাইনালের মতো ফাইনালেও এই দুই জনকে ছাড়াই নামতে হচ্ছে ইংল্যান্ডকে।
শিরোপা ঘরে তোলার লড়াইয়ে ইংলিশদের মতো একাদশ অপরিবর্তিত রেখেছে পাকিস্তানও।
ইংল্যান্ড একাদশ: জস বাটলার (অধিনায়ক), আলেক্স হেলস, বেন স্টোকস, হ্যারি ব্রুক, লিয়াম লিভিংস্টোন, মইন আলি, স্যাম কারান, ক্রিস ওকস, ক্রিস জর্ডান, আদিল রশিদ, ফিল সল্ট।
পাকিস্তান একাদশ: মোহাম্মদ রিজওয়ান, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাওয়াজ, মোহাম্মদ হারিস, শান মাসুদ, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান, মোহাম্মদ ওয়াসিম, নাসিম শাহ, হারিস রউফ, শাহিন শাহ আফ্রিদি।
সুপার টুয়েলভে প্রথম দুই ম্যাচে ভারত ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নাটকীয়ভাবে হারার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে এখন ফাইনাল খেলছে পাকিস্তান। শিরোপার মঞ্চেও নিজেদের ছন্দ ধরে রাখতে চাওয়ার কথা টসের সময় বললেন দলটির অধিনায়ক বাবর আজম।
“আমরাও আগে বোলিং করতাম। কিন্তু টস আমাদের হাতে নেই। আমরা বোর্ডে ভালো সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চেষ্টা করব।”
“অবশ্যই আমাদের সঙ্গে দারুণ মোমেন্টাম রয়েছে। এই ম্যাচে আমরা সেটি অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব। আমরা প্রথম দুই ম্যাচ হেরেছি। তবে এরপর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি এবং এই ফাইনালেও সেটি ধরে রাখতে হব।”
“(সেমি-ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ জয়ের প্রসঙ্গে) হ্যাঁ জয় সবসময়ই আত্মবিশ্বাস দেয় এবং দল যেভাবে খেলছে সত্যিই অসাধারণ।”
১৯৯২ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাস পুনরাবৃত্তি করতে চান বাবর। ৩০ বছর আগে এই মেলবোর্নেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান।
“হ্যাঁ ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির সুযোগ। আমরা চেষ্টা করব এই ম্যাচটি জিততে বিশ্বকাপ জেতার জন্য। দেখা যাক। ভালো কিছুর আশা করছি।”
ফাইনাল ম্যাচ সব সময়ই স্নায়ু চাপের। যা জয় করে পাকিস্তান চ্যালেঞ্জ উতরাতে চান ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার।
“বড় ম্যাচ, অনেক চাপ। তবে দলের মধ্যে ইতিবাচক শক্তি দেখা যাচ্ছে। স্টেডিয়ামেও দর্শকদের ইতিবাচক উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। আমরা ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি।”
“দুই দলই দারুণ ফর্ম নিয়ে ফাইনালে এসেছে। আমরা তাদের কাছ থেকে কঠিন চ্যালেঞ্জই আশা করছি।”
ফাইনালে বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে টস জিতে বোলিং নিয়েছেন বাটলার। সেমি-ফাইনালেও টস জিতে আগে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল ইংল্যান্ড।
“আমি মনে করি এটি দারুণ উইকেট এবং সারা ম্যাচ জুড়ে একই থাকবে। অবশ্যই আবহাওয়ার কিছু বিষয় রয়েছে। তাই আমরা আগে বোলিং নিয়েছি।”
উইকেট দেখে পেসারদের জন্য সহায়ক মনে হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক পেসার ইয়ান বিশপের।
“উইকেটে কিছু শুষ্ক ঘাস দেখা যাচ্ছে। তবে কিছু জায়গায় সবুজ অংশও রয়েছে। উইকেট খুবই শক্ত। শর্ট বল এখানে ভালো হতে পারে। অন্য যেকোন মাঠের চেয়ে এখানে পাওয়ার প্লেতে বেশি সুইং দেখা গেছে। আজকে যে ধরনের বোলার রয়েছে- শাহিন (শাহ আফ্রিদি), (বেন) স্টোকস, (ক্রিস) ওকস, (স্যাম) কারানরা অন্যদের চেয়ে বেশি সুইং করিয়েছে। তোমরা শর্ট বল না করে নিজেদের শক্তির জায়গা ধরে রেখো, ওপরের দিকে বল করো।”
মিড-অফ থেকে সরাসরি থ্রোয়ে যদি নন-স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্পে লাগাতে পারতেন ক্রিস জর্ডান, তাহলে রান আউট হয়ে ফিরতে হতো মোহাম্মদ রিজওয়ানকে।
বেন স্টোকসের বল মিড-অফে ঠেলেই দৌড় দেন রিজওয়ান। প্রথম চেষ্টায় বল মুঠোয় নিয়েই থ্রো করেন জর্ডান। কিন্তু পারেননি স্টাম্প ভাঙতে। বল যখন স্টাম্প পেরিয়ে যায় তখনও বেশ বাইরে ছিলেন পাকিস্তানের কিপার-ব্যাটসম্যান।
ফ্রন্ট ফুট ‘নো’ বল দিয়ে শুরু হয় ম্যাচ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরে যা ইংল্যান্ডের প্রথম ‘নো’ বল। পরের বল ওয়াইড দেন স্টোকস। বহাল থাকে ফ্রি হিট। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেননি রিজওয়ান।
প্রথম ওভার থেকে আসে ৮ রান।
ফাইনালে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না মোহাম্মদ রিজওয়ান। পাকিস্তান কিপার-ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে ইংল্যান্ডকে প্রথম সাফল্য এনে দিলেন স্যাম কারান।
পঞ্চম ওভারে দ্বিতীয় বল অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে করেন তরুণ এই পেসার। ব্যাট চালিয়ে দেন রিজওয়ান। কিন্তু ঠিক মতো খেলতে পারেননি। বল তার ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে ছোবল দেয় লেগ স্টাম্পে।
এক ছক্কায় ১৪ বলে ১৫ রান করে ফেরেন রিজওয়ান।
পাঁচ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ১ উইকেটে ২৯। ক্রিজে বাবর আজমের সঙ্গী মোহাম্মদ হারিস।
শুরুটা ছিল সাবধানী। প্রথম তিন ওভারে কোনো বাউন্ডারিই মারতে পারেননি মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম। রান আসে কেবল ১৬। পরে রিজওয়ানকে ফিরিয়ে দেয় ইংল্যান্ড।
প্রথম ৬ ওভার শেষে চাপে পাকিস্তান। ১ উইকেট হারিয়ে পাওয়া প্লে’তে ৩৯ রান করেছে তারা।
১ চারে ১৬ বলে ১৬ রানে খেলছেন বাবর। মোহাম্মদ হারিসের রান ৭ বলে ৪। সেটি এসেছে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বাউন্ডারি থেকে।
আক্রমণে এসেই দলকে উইকেট এনে দিলেন আদিল রশিদ। এই লেগ স্পিনারকে ছক্কার চেষ্টায় বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন মোহাম্মদ হারিস।
অষ্টম ওভারে রশিদের হাতে বল তুলে দেন জস বাটলার। অধিনায়ককে নিরাশ করেননি তিনি। তার ঝুলিয়ে দেওয়া বলে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে উড়িয়ে মারেন হারিস। কিন্তু টাইমিং হয়নি ঠিকঠাক। লং-অনে সহজ ক্যাচ নেন বেন স্টোকস।
১ চারে ১২ বলে ৮ রান করলেন হারিস।
৮ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ২ উইকেটে ৫১ রান। ক্রিজে বাবর আজমের সঙ্গী শান মাসুদ।
দেখেশুনে খেলে পাকিস্তানকে টানছেন বাবর আজম। অধিনায়ককে সঙ্গ দিচ্ছেন শান মাসুদ। মাঝপথে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় আছে ২০০৯ আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
প্রথম ১০ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ২ উইকেটে ৬৮। ২ চারে ২৫ বলে ২৯ রানে খেলছেন বাবর। ১০ বল খেলা মাসুদের রান ১১।
প্রথম ১০ ওভারে খুব একটা বাউন্ডারি মারতে পারেনি পাকিস্তান। কেবল তিনটি চার ও একটি ছক্কা এসেছে এই সময়ে।
বেন স্টোকসের পায়ের ‘নো’ বল দিয়ে শুরু হয়েছিল ফাইনাল ম্যাচ। কিন্তু ফ্রি হিট কাজে লাগাতে পারেননি মোহাম্মদ রিজওয়ান। প্রথম তিন ওভারে উইকেট না হারালেও কোনো বাউন্ডারিই পায়নি পাকিস্তান।
চতুর্থ ওভারে ক্রিস ওকসকে স্লগ সুইপে ছক্কায় ওড়ান রিজওয়ান। পরের ওভারে তাকে বোল্ড করে দেন স্যাম কারান। অষ্টম ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই মোহাম্মদ হারিসকে ফিরিয়ে দেন আদিল রশিদ।
সামনে থেকে দলকে পথ দেখানোর চেষ্টায় ছিলেন বাবর। কিন্তু পাকিস্তান অধিনায়ককে টিকতে দিলেন না আদিল রশিদ। তার চমৎকার গুগলি ও দারুণ ক্যাচে ফিরলেন বাবর।
ম্যাচে নিজের প্রথম বলে উইকেট নেওয়া তৃতীয় ওভারে এসে করলেন দুর্দান্ত বোলিং। কোনো রান না দিয়ে ধরলেন প্রতিপক্ষের সেরা ব্যাটসম্যানের শিকার।
দ্বাদশ ওভারের প্রথম বলটি গুগলি করেন রশিদ। বল বুঝতে না পেরে কী শট খেলবেন যেন দ্বিধায় ছিলেন বাবর। শেষ পর্যন্ত জায়গা বানিয়ে খেলতে চান তিনি লেগে। কিন্তু টার্নের জন্য ব্যাটে ঠিকমতো খেলতে পারেননি। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে বোলার দিকে আসে। সামনে ঝাপিয়ে পড়ে বল মুঠোয় জমান রশিদ।
২ চারে ২৮ বলে ৩২ রান করে ফিরলেন বাবর। ওই ওভারের বাকি পাঁচ বল খেলে কোনো রানই করতে পারেননি ইফতিখার আহমেদ।
১২ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ৩ উইকেটে ৮৪। শান মাসুদের সঙ্গে উইকেটে ইফতিখার।
পরপর দুই ওভারে উইকেট হারাল পাকিস্তান। আদিল রশিদের পর এবার ইংল্যান্ডকে সাফল্য এনে দিলেন বেন স্টোকস। তার শিকার ইফতিখার আহমেদ।
স্টোকসের বাড়তি লাফানো দল ডিফেন্স করার চেষ্টায় করেন ইফতিখার। কিন্তু বাউন্সের কারণে পারেননি। তার গ্লাভসে হালকা ছুঁয়ে বল যায় কিপার জস বাটলারের গ্লাভসে।
রশিদের পাঁচ বলে খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি ইফতিখার। ৬ বল খেলে শেষ পর্যন্ত শূন্য রানেই ফিরতে হলো তাকে।
১৩ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান করেছে ৯০ রান। ক্রিজে শান মাসুদের সঙ্গী শাদাব খান।
অষ্টম ওভারে আক্রমণে এসেই দলকে এনে দিয়েছিলেন সাফল্য। এরপর করলেন টানা বোলিং। এক স্পেলেই শেষ করলেন কোটার চার ওভার।
প্রথম বলে ধরেন তিনি মোহাম্মদ হারিসের উইকেট। নিজের তৃতীয় ওভারে দুর্দান্ত এক গুগলি ডেলিভারিতে বাবর আজমকেও ফেরান রশিদ। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে তার শিকার ওই দুটি।
কোটার শেষ ওভারে কেবল একটি চার হজম করেন রশিদ। ডট খেলান ১০ বল।
শাদাব খানকে নিয়ে দলকে টানছিলেন শান মাসুদ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খেলতে পারলেন না তিনি। তাকে ফিরিয়ে দেন দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে আসা স্যাম কারান।
কারানের লেংথ বল লেগ সাইডে উড়িয়ে মারেন মাসুদ। কিন্তু ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক লাগাতে পারেননি। মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ নেন লিয়াম লিভিংস্টোন।
২ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ বলে ৩৮ রান করেন মাসুদ। ভাঙে ৩৬ রানের জুটি।
১৭ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ৫ উইকেটে ১২২। ক্রিজে শাদাবের সঙ্গী মোহাম্মদ নাওয়াজ।
শেষ দিকে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় ছিলেন শাদাব খান। কিন্তু পারেননি তিনি বড় ইনিংস খেলতে। তাকে সাজঘরে ফেরত পাঠান ক্রিস জর্ডান।
১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বল পুল করতে চেয়েছিলেন শাদাব। কিন্তু বল উঠে যায় হাওয়ায়। মিড-অফে সহজ ক্যাচ নেন ক্রিস ওকস।
২ চারে ১৪ বলে ২০ রান করে ফেরেন শাদাব।
এক বল পর মোহাম্মদ ওয়াসিমকেও ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু পয়েন্টে ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি হ্যারি ব্রুক। পরে ওভার থ্রো থেকে উল্টো ২ রান পায় পাকিস্তান।
১৮ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ৬ উইকেটে ১২৭। ক্রিজে নাওয়াজের সঙ্গী ওয়াসিম।
মোহাম্মদ নাওয়াজও পারলেন না শেষ দিকে দ্রুত রান তোলার দাবি মেটাতে। তাকে ফিরিয়ে ম্যাচে নিজের তৃতীয় শিকার ধরলেন স্যাম কারান।
নাওয়াজের পায়ের ওপর ওভারের তৃতীয় বলটি করেছিলেন কারান। উড়িয়ে দেন ব্যাটসম্যান। কিন্তু শটে ছিল না জোর। ডিপ মিডউইকেটে লিয়াম লিভিংস্টোন ধরেন সহজ ক্যাচ।
৭ বলে ৫ রান করে ফেরেন নাওয়াজ।
১৯ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ৭ উইকেটে ১৩১ রান। উইকেটে মোহাম্মদ ওয়াসিমের সঙ্গী শাহিন শাহ আফ্রিদি।
দুর্দান্ত বোলিং করেন কারান। ৪ ওভারে স্রেফ ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন এই পেসার।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে এসে নিজেদের মেলে ধরলেন ইংল্যান্ডের বোলাররা। স্যাম কারান, আদিল রশিদদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে জ্বলে উঠতে পারলেন না পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে তারা গুটিয়ে গেল দেড়শর আগেই।
২০ ওভার ব্যাটিং করে ৮ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান করেছে ১৩৭ রান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে আগে ব্যাটিং করে যা যৌথভাবে সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
২০১২ সালের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই পুঁজি গড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওই ম্যাচে অবশ্য লঙ্কানদের হারিয়ে শিরোপা উল্লাস করেছিল ক্যারিবিয়ানরা। তাই স্বপ্ন দেখতে পারে পাকিস্তানও।
পাকিস্তানের ইনিংসে কেবল ৪ জন যেতে পারেন দুই উইকেট। ত্রিশ রান পার করেন দুইজন। ১ ছক্কা ও ২ চারে ২৮ বলে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন শান মাসুদ। ২ চারে ২৮ বলে ৩২ রান আসে বাবর আজমের ব্যাট থেকে।
প্রতিপক্ষকে অল্পতে আটকে রাখতে দুর্দান্ত বোলিং করেন কারান। ৪ ওভারে স্রেফ ১২ রান দিয়ে ধরেন তিনি ৩ শিকার। রশিদ ২২ রানে নেন দুটি। ২৭ রান দিয়ে ক্রিস জর্ডানের প্রাপ্তিও দুই উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৩৭/৮ (রিজওয়ান ১৫, বাবর ৩২, হারিস ৮, শান ৩৮, ইফতিখার ০, শাদাব ২০, নাওয়াজ ৫, ওয়াসিম ৪, শাহিন ৫*, হারিস ১*; স্টোকস ৪-০-৩২-১, ওকস ৩-০-২৬-০, কারান ৪-০-১২-৩, রশিদ ৪-১-২২-২, জর্ডান ৪-০-২৭-২, লিভিংস্টোন ১-০-১৬-০)
প্রথম ওভারেই ভাঙল ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি। চমৎকার একট ডেলিভারিতে অ্যালেক্স হেলসকে বোল্ড করে দিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।
লেগ স্টাম্পে পড়ে সোজা যাওয়া বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলার চেষ্টা করেন হেলস। ব্যাটে খেলতে পারেননি, প্যাড ছুঁয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে।
২ বলে ১ রান করেন হেলস।
১ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ১ উইকেটে ৭। ক্রিজে জস বাটলারের সঙ্গী ফিল সল্ট।
শাহিন শাহ আফ্রিদির ফুল-টস বল ব্যাটে খেলতে পারেননি ফিল সল্ট। উইকেটের আশায় এলবিডব্লিউর রিভিউ নেন বাবর আজম।
বল লাগত লেগ স্টাম্পে কিন্তু ইম্প্যাক্ট আম্পায়ার্স কল হওয়ায় বেঁচে যান সল্ট। সে সময় ৫ রানে ছিলেন তিনি।
প্রথম ওভারে উইকেট হারালেও ভালো শুরু পেয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথম ৩ ওভারে করেছে ২৮ রান।
চতুর্থ ওভারে আক্রমণে আসা হারিস রউফকে চার মেরে স্বাগত জানান ফিল সিল্ট। এক বল পর তাকে ফিরিয়ে দেন পাকিস্তানের এই পেসার।
হারিসকে পুল করে ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক খেলতে পারেননি সল্ট। ব্যাটের উপরের দিকে লেগে সহজ ক্যাচ যায় মিডউইকেট থাকা ইফতিখার আহমেদের হাতে।
২ চারে ৯ বলে ১০ রান করেন সল্ট।
৪ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের রান ২ উইকেট হারিয়ে ৩২ রান। ক্রিজে জস বাটলারের সঙ্গী বেন স্টোকস।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে দলকে আরেকটি উইকেট এনে দিলেন হারিস রউফ। এবার এই পেসারের শিকার বিস্ফোরক জস বাটলার।
লেংথ লাফিয়ে ওঠা রউফের গতিময় বলটিতে ব্যাক-ফুট ডিফেন্স করতে যান ইংল্যান্ড অধিনায়ক। কিন্তু বলের লাইন মিস করেন তিনি। হালকা সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া বলটি তার ব্যাটের বাইরের কানা নিয়ে জমা পরে কিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসে।
১ ছক্কা ও ৩ চারে ১৭ বলে ২৬ রান করেন বাটলার।
পাওয়ার প্লে শেষে ভালো অবস্থানেই ইংল্যান্ড। প্রথম ৬ ওভার তারা শেষ করেছে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান নিয়ে।
বেন স্টোকসের সঙ্গে উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান হ্যারি ব্রুক।
পাওয়ার প্লেতে দল হারিয়েছে ৩ উইকেট। বেন স্টোকস ও হ্যারি ব্রুকের ব্যাটে সেই ধাক্কা সামাল দিয়ে ওঠার চেষ্টায় ইংল্যান্ড।
রান তাড়ায় ইনিংসের মাঝপথে ইংলিশদের আন ৩ উইকেটে ৭৭। ব্রুক খেলছেন ১ চারে ১৬ বলে ১৪ রানে। স্টোকসের রান ২ চারে ১৬ বলে ১৭। দুইজনের জুটি ৩২ রানের।
শেষ ৬০ বলে ইংল্যান্ডের চাই ৬১ রান। হাতে আছেন ৭ উইকেট।
প্রথম ওভারেই অ্যালেক্স হেলসকে বোল্ড করে দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। পরে নিজের দুই ওভারে ফিল সল্ট ও জস বাটলারের শিকার ধরেন হারিস রউফ।
বেন স্টোকসকে ফেরাতে কট বিহাইন্ডের রিভিউ নিয়ে সফল হলো না পাকিস্তান। একটি রিভিউ হারাল তারা।
রিপ্লেতে দেখা যায়, ব্যাটের খুব পাশ দিয়ে গেলেও বল স্পর্শ করেনি ব্যাটে।
জমে উঠছিল হ্যারি ব্রুক ও বেন স্টোকসের জুটি। দলকে লক্ষ্যের পথে এগিয়ে নিচ্ছিলেন তারা। কিন্তু ব্রুককে ফিরিয়ে দুইজনের প্রতিরোধ ভেঙে দিলেন শাদাব খান।
আগের ওভারে দুর্দান্ত বোলিংয়ে কেবল ৩ রান দেন নাসিম শাহ। রানের সঙ্গে বাড়ছে বলের পার্থক্য। ব্যবধান কমাতে ত্রয়োদশ ওভারের তৃতীয় বলটি ছক্কার চেষ্টা করেন ব্রুক। কিন্তু টাইমিং হয়নি ঠিকমতো। লং-অফে ক্যাচ নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।
১ চারে ২৩ বলে ২০ রান করেন ব্রুক। ভাঙে স্টোকসের সঙ্গে তার ৩৯ রানের জুটি।
১৩ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের রান ৪ উইকেটে ৮৭। ৪২ বলে তাদের চাই ৫১ রান। ক্রিজে স্টোকসের সঙ্গী মইন আলি।
মোহাম্মদ ওয়াসিমের এক ওভারে তিন চার ও চারটি সিঙ্গেল নিয়ে ১৬ রান তুললেন বেন স্টোকস ও মইন আলি। তাতে জয়ের কাছে পৌঁছে গেল ইংল্যান্ড।
১৮ বলে ১২ রানের সমীকরণে পরে ওভারে এলো ৫ রান। শেষ ১২ বলে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের চাই ৭ রান।
জয় থেকে যখন ১১ বলে ৬ রান দূরে ইংল্যান্ড, বিদায় নিলেন মইন আলি। মোহাম্মদ হারিসের ইয়র্কারে বোল্ড হলেন তিনি।
অফ স্টাম্পের বাইরের বলটিতে ব্যাট চালিয়ে দেন মইন। বল ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে ছোবল দেয় স্টাম্পে।
৩ চারে ১২ বলে ১৯ রান করে ফিরলেন মইন।
১৮.২ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের রান ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩২। ক্রিজে স্টোকসের সঙ্গী লিভিংস্টোন।
মোহাম্মদ ওয়াসিমকে কাভার দিয়ে চার মেরে দিলেন বেন স্টোকস। পৌঁছে গেলেন তিনি এমন এক ঠিকানায়, যেখানে আগে কখনও পা রাখেননি তিনি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ফিফটি করলেন স্টোকস ৪৭ বলে। সেটাও এলো বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে।
মোহাম্মদ ওয়াসিমের ফুল লেংথ বল মিডউইকেটে ঠেলে দৌড় দিতে দিতেই উল্লাসে ফেটে পড়লেন বেন স্টোকস। ডাগআউট থেকে মাঠের দিকে ছুট লাগালেন ইংল্যান্ডের বাকি ক্রিকেটাররা। একে ওপরকে জড়িয়ে ধরলেন তারা। বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ বলে কথা!
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। প্রতিপক্ষের ১৩৭ রান তারা পেরিয়ে গেছে তারা ৬ বল বাকি থাকতে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় শিরোপা জিতল ইংল্যান্ড। ২০১০ সাল নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম বৈশ্বিক ট্রফি ঘরে তুলেছিল তারা।
চারে নেমে দুর্দান্ত এক ফিফটি উপহার দেন স্টোকস। ১ ছক্কা ও ৫ চারে ৪৯ বলে ৫২ রান করে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফেরেন তিনি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি তার প্রথম পঞ্চাশ। এমন এক মঞ্চে ফিফটি করলেন তিনি, নিশ্চিতভাবেই যা তার মনে থাকবে অনেকদিন।
পাকিস্তানকে অল্পতে আটকে রাখতে বড় অবদান রাখেন স্যাম কারান, আদিল রশিদ, ক্রিস জর্ডানরা। স্রেফ ১২ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন কারান। দুটি করে প্রাপ্তি রশিদ ও জর্ডানের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৩৭/৮ (রিজওয়ান ১৫, বাবর ৩২, হারিস ৮, শান ৩৮, ইফতিখার ০, শাদাব ২০, নাওয়াজ ৫, ওয়াসিম ৪, শাহিন ৫*, হারিস ১*; স্টোকস ৪-০-৩২-১, ওকস ৩-০-২৬-০, কারান ৪-০-১২-৩, রশিদ ৪-১-২২-২, জর্ডান ৪-০-২৭-২, লিভিংস্টোন ১-০-১৬-০)
ইংল্যান্ড: ১৯ ওভারে ১৩৮/৫ (বাটলার ২৬, হেলস ১, সল্ট ১০, স্টোকস ৫২*, ব্রুক ২০, মইন ১৯, লিভিংস্টোন ১*; শাহিন ২.১-০-১৩-১, নাসিম ৪-০-৩০-০, হারিস ৪-০-২৩-২, শাদাব ৪-০-২০-১, ওয়াসিম ৪-০-৩৮-১, ইফতিখার ০.৫-০-১৩-০)
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এতোদিন একমাত্র দল হিসেবে দুটি শিরোপা জয়ের রেকর্ড ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তাদের সেই কীর্তিতে এবার ভাগ বসাল ইংল্যান্ড।
২০১০ সালের পর আবারও টি-টোয়েন্টির বৈশ্বিক শিরোপা ঘরে তুলল তারা।
একটা জায়গায় সবার চেয়ে এগিয়ে ইংল্যান্ড, একই সময়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলো তারা। ২০১৯ সালে দেশের মাটিতে জিতেছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপ শিরোপা।
এর আগে ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে প্রথম কোনো বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিল তারা।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিংয়ের উপহার দিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতলেন স্যাম কারান। ৪ ওভারে স্রেফ ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন এই পেসার।
শুধু ফাইনালেই নয়, আসর জুড়েই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন স্যাম কারান। দলের এই সাফল্যের পথে বল হাতে সবচেয়ে বেশি অবদান তার। টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও উঠল এই পেসারের হাতে।
আসরে ৬ ম্যাচ খেলা কারানের শিকার ১৩ উইকেট। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন তিনি কেবল তিনি ৬.৫২। সুপার টুয়েলভে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১০ রানে তার শিকার ছিল ৫টি। টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ উইকেট নেওয়া ইংল্যান্ডের একমাত্র বোলার তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরে একটি বিষয়ই সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল, ১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তিন দশক আগে মেলবোর্নের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড।
৩০ বছর আগে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে পাকিস্তানকে প্রথম ও একমাত্র ওয়ানডে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন ইমরান খান। একই মঞ্চ পেয়ে বাবর আজম এবার পারলেন না সেটার পুনরাবৃত্তি করতে।
তিন দশকের পুরনো সেই ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ হয়তো দিতে সক্ষম হলো ইংলিশরা।