ইনিংসজুড়ে টাইমিং করতে ভুগতে থাকলেও শেষ তিন ওভারে চিত্র বদলে দেন এনামুল হক ও হাবিবুর রহমান সোহান।
Published : 09 Feb 2024, 02:51 PM
এক প্রান্তে ধুঁকছিলেন এনামুল হক, আরেক প্রান্তে হাবিবুর রহমান সোহান। খুলনা টাইগার্সের রানের গতিও তাই ছিল মন্থর। কিন্তু শেষ তিন ওভারে বিধ্বংসী হয়ে উঠলেন সোহান। শেষটা দুর্দান্ত করলেন এনামুলও। খুলনাও তাই পেয়ে গেল দেড়শ ছাড়ানো স্কোর।
বিপিএলে শুক্রবার সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে শেষ ৩ ওভারে খুলনা টাইগার্স তোলে ৫১ রান। এক সময় যে দলের রান ১৩০ হওয়া নিয়ে ছিল সংশয়, সেই দলই শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে তোলে ৪ উইকেটে ১৫৩ রান।
নবম ওভারে মাহমুদুল হাসান জয় আউট হওয়ার পর জুটি বাঁধেন এনামুল ও সোহান। দলের রান তখন ৩ উইকেটে ৫৪।
এনামুল ততক্ষণে ২১ বল খেলে ফেলেছেন, রান ছিল ১৬। পরের সময়টাতেও টাইমিং করতে ভুগছিলেন খুলনা অধিনায়ক। সোহানও ক্রিজে যাওয়ার পর খেলতে পারছিলেন না স্বচ্ছন্দে। এমনিতে টপ অর্ডার হলেও বিপিএলে এবার খুলনায় একটি ম্যাচ তিনে খেলা ছাড়া মূলত মিডল অর্ডারেই খেলতে হচ্ছে তাকে।
এনামুলের ফিফটি হয় সপ্তদশ ওভারে। ৫১ বল খেলে পঞ্চাশে পা রাখেন তিনি। ১৭ ওভার শেষে খুলনার রান ছিল ৩ উইকেটে ১০২।
১৮তম ওভারে বেনি হাওয়েলের আলগা দুটি লেংথ বল পেয়ে দারুণ টাইমিংয়ে ছক্কায় ওড়ান সোহান। পরের ওভারে দুটি চার মারেন তিনি তানজিম হাসান সাকিবকে। এর প্রথমটিতে লং অফে ক্যাচ নিতে গিয়ে গড়বড় করেন বেনি হাওয়েল।
শেষ ওভারের শুরুটাও সোহান করেন রেজাউর রহমান রাজাকে ছক্কায় উড়িয়ে। পরে সিঙ্গেল নিয়ে তিনি প্রান্ত বদল করেন। এরপর রেজাউরকে তুলাধুনা করেন এনামুল।
ফাইন লেগ ও থার্ড ম্যানের ফিল্ডার বৃত্তের ভেতরে রেখে বোলিং করেন রেজাউর। লং লেগ ও মিড উইকেট সীমানাতেও তার জন্য ছিল ফিল্ডার। কিন্তু বল করেন তিনি অফ স্টাম্পের বাইরে স্লোয়ার ডেলিভারি। রিভার্স স্কুপে সেটি শর্ট থার্ড ম্যানের ওপর দিয়ে চার মারেন এনামুল।
পরের বল একই জায়গায়, আবার একই শটে চার এনামুলের। পরের ডেলিভারিতেও একই জায়গায়, এবার একই শটে খুলনা অধিনায়ক মারেন ছক্কা।
শেষ বলে রান আউট হয়ে যান সোহান। তবে শেষ ওভার থেকে ঠিকই আসে ২২ রান।
৫৮ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত থেকে যান এনামুল।
১৭ ওভার শেষে যার রান ছিল ১৯ বলে ১২, সেই সোহান শেষ পর্যন্ত তিনটি করে চার ও ছক্কায় করেন ৩০ বলে ৪৩ রান।