শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের কাজ আড়াই বছরে শেষ করার লক্ষ্য

৬ মাসের মধ্যে স্টেডিয়ামের নকশা চূড়ান্ত হওয়ার আশা করছে বিসিবি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Oct 2022, 03:27 PM
Updated : 2 Oct 2022, 03:27 PM

বহু আলোচিত শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য একটি অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানিকে চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। শিগগিরই তাদের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলা হবে। চুক্তির ৬ মাসের মধ্যে নকশা হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। চুক্তি হওয়ার পর ৩০ মাসের মধ্যে স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ করতে চায় বিসিবি।

বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে রোববার সন্ধ্যায় বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস জানান, এখন কেবল চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা বাকি।

“এজেন্ডা মূলত একটাই ছিল। শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের জন্য আমরা এটা চূড়ান্ত করেছি (নির্মাণ প্রতিষ্ঠান)। পপুলাসকে দেওয়া হয়েছে দায়িত্বটি। এই কনসালটেন্ট ডিজাইন তাদেরকে (দায়িত্ব) দেওয়ার যে চুক্তি সই হবে, সেটার অনুমোদন আজকে দেওয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হবে।”

“আমরা প্রস্তত আছি, কাগজপত্র তৈরি আছে। যে কোনো দিন চুক্তি হয় যাবে।”

‘পপুলাস আর্কিটেকচারাল ডিজাইন’ বেশ সুপরিচিত একটি অস্ট্রেলিয়ান ফার্ম। বিশ্বের বিভিন্ন খেলার বেশ বড় কিছু স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রক্রিয়ার সম্পৃক্ত থাকার অভিজ্ঞতা আছে তাদের।

নিজম্ব একটি স্টেডিয়ামের জন্য বিসিবির এই পরিকল্পনা বেশ কয়েক বছরের। এমনিতে দেশের সব ক্রিকেট মাঠ মূলত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের। বিসিবি এসব মাঠ ব্যবহার করে লিজ নিয়ে। নিজস্ব স্টেডিয়ামের পরিকল্পনার জন্য পূর্বাচলে এই স্টেডিয়ামের জন্য জমি বরাদ্দ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্টেডিয়ামের নামকরণও করা হয়েছে তার নামে। নৌকার আদলে সম্ভাব্য নকশাও প্রকাশ করা হয় বেশ আগে।

তবে প্রায় চার বছর আগে প্রক্রিয়া শুরু হলেও স্টেডিয়ামের নির্মাণ প্রক্রিয়া তেমন একটা এগোয়নি এখনও পর্যন্ত। মাঠ অবশ্য আছে, সেখানে মেয়েদের ক্রিকেটের কিছু ম্যাচসহ মাঝেমধ্যে নিচু সারির লিগের খেলা হয়।

এবার পপুলাসকে চূড়ান্ত করার পর বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরি সংবাদ সম্মেলনে ধারণা দিলেন কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাব্য সময়ের।

“ড্রয়িং ডিজাইনের একটা টাইমলাইন দেওয়া আছে, আমরা ৬ মাসের মধ্যে আশা করছি। তবে এর আগেই আমরা চেষ্টা করব কাজ শুরু করার জন্য। যত দ্রুত সম্ভব আমরা এগোতে চাই।”

“চুক্তি হওয়ার সময় থেকে আমাদের ৩০ মাসের একটি টাইমলাইন করা আছে। এভাবেই করা আছে। এর মধ্যেই চেষ্টা করা হবে কাজ শেষ করার।”