অমিতের সেঞ্চুরি, ফজলে মাহমুদের ১০ রানের আক্ষেপ

তৃতীয় দিন শেষে ২৭৬ রানে এগিয়ে আছে দক্ষিণাঞ্চল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Feb 2023, 12:49 PM
Updated : 27 Feb 2023, 12:49 PM

৩ রানে ১, ৭ রানে ২ ও ২৮ রানে ৩ উইকেট; বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলের শুরুটা হয় এমনই বাজে। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া দলকে পথে ফেরান অমিত হাসান ও ফজলে মাহমুদ। দুইশর কাছাকাছি জুটিতে তারা গড়ে দেন বড় লিডের ভিত। দারুণ এক সেঞ্চুরি উপহার দিয়ে এখনও দলকে টানছেন অমিত। কিন্তু অল্পের জন্য শতক না পাওয়ার হতাশায় পুড়তে হয়েছে ফজলে মাহমুদকে।

বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ডে বিসিবি মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ২৪৬ রানে তৃতীয় দিন শেষ করেছে দক্ষিণাঞ্চল। প্রতিপক্ষের চেয়ে ২৭৬ রানে এগিয়ে তারা।

দলকে বড় লিড এনে দেওয়ার কারিগর অমিত ১৮ চারে ১১২ করে অপরাজিত আছেন। তার সঙ্গে ১৯২ রানের জুটি গড়ার পথে ১০ চারে ৯০ রান করেন ফজলে মাহমুদ।

বগুড়ার শহিদ চান্দু স্টেডিয়ামে সোমবার দিনের শুরুতে দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে ভীষণ বিপদে পড়ে যায় দক্ষিণাঞ্চল। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে পিনাক ঘোষকে এলবিডব্লিউ করে দেন মুশফিক হাসান।

প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান সাদমান ইসলাম এবার খুলতে পারেননি রানের খাতা। তাকে ফেরানো আবু হায়দার রনি কয়েক ওভার পর বিদায় করেন এনামুল হককেও।

দিশেহারা দক্ষিণাঞ্চলের এরপর হাল ধরেন অমিত ও ফজলে মাহমুদ। দারুণ ব্যাটিংয়ে রান বাড়াতে থাকেন দুইজন। ১১১ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন অমিত, ফজলে মাহমুদের পঞ্চাশ আসে ১১০ বলে।

ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় সেশন বেশ ভালোভাবেই পার করে দেন তারা। তৃতীয় সেশনের প্রথম ঘণ্টায় ২০০ স্পর্শ করে দলটির রান।

কিছুক্ষণ পরই প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিতে পা রাখেন অমিত, ২০৪ বলে। ফজলে মাহমুদের শতকও তখন মনে হচ্ছিল স্রেফ সময়ের ব্যাপার। কিন্তু দ্বিতীয় নতুন বল নিয়ে প্রথম ওভারেই তাকে বিদায় করে দেন মুশফিক। পরের বলে এই পেসার কট বিহাইন্ড করে ফেরান ইমরানুজ্জানকে।

এরপর আর দলকে বিপদে পড়তে দেননি অমিত ও নাহিদুল ইসলাম। ৪ চারে ২৩ রানে খেলছেন নাহিদুল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৩১৩

বিসিবি মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ২৮৩

বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল ২য় ইনিংস: ৮৮ ওভারে ২৪৬/৫ (পিনাক ৩, সাদমান ০, এনামুল ১৫, অমিত ১১২*, ফজলে মাহমুদ ৯০, ইমরানুজ্জামান ০, নাহিদুল ২৩*; আবু হায়দার ১৫-৩-৫৬-২, মুশফিক ১৭-১-৪৪-৩, সৌম্য ১০-২-২৫-০, আরিফুল ৫-১-১৬-০, রকিবুল ১৪-২-৪২-০, শুভাগত ৯-৩-১৭-০, শরিফুল্লাহ ১৩-৪-৩০-০, মিঠুন ৩-০-৪-০, আইচ ২-০-৯-০)