সাকিব আল হাসান, লিটন দাসদের জায়গায় সুযোগ পেতে যাওয়া ক্রিকেটারদের জন্য বড় সুযোগও মনে করছেন নিউ জিল্যান্ডের অধিনায়ক।
Published : 27 Nov 2023, 04:50 PM
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের সবশেষ সিরিজে তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস। দুটি সিরিজই হয়েছে দেশের বাইরে। এবার একই দলের সঙ্গে ঘরের মাঠে খেলা। কিন্তু আঙুলের চোটে এই সিরিজে নেই সাকিব, ছুটি নিয়ে দলের বাইরে লিটন। নিউ জিল্যান্ড অধিনায়কের মতে, দলের এই দুই নিয়মিত ক্রিকেটারের অভাব টের পাবে বাংলাদেশ।
ছয় বছরের বেশি সময় আগে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট খেলেছেন সাকিব। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ওয়েলিংটনে ওই সিরিজের প্রথম ম্যাচে তিনি করেছেন নিজের ক্যারিয়ার সেরা ২১৭ রান। ক্রাইস্টচার্চে পরের ম্যাচেও তার ব্যাট থেকে এসেছে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস।
দ্বিশতক না পেলেও, গত বছরের জানুয়ারিতে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে ১০২ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। একই সফরে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচে ব্যাটিং পাওয়া একমাত্র ইনিংসে তিনি করেন ৮৬ রান।
বছর ঘুরে এবার ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার শুরু হবে প্রথম টেস্ট। কিন্তু বিশ্বকাপে পাওয়া আঙুলের চোটে খেলতে পারবেন না সাকিব। সদ্যোজাত কন্যার পাশে থাকার জন্য ছুটি নেওয়া লিটনকেও পাবে না বাংলাদেশ।
সিরিজ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এই দুজনের অনুপস্থিতির ব্যাপারে নিজের ভাবনা জানিয়েছেন কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি।
“দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের গ্রেট ক্রিকেটার সাকিব। লিটন দাস খুবই মানসম্পন্ন ক্রিকেটার। সে আমাদের বিপক্ষে অতীতে ভালো করেছে। আমার মনে হয়, এই দুজন না থাকার অভাব অনুভব করবে তারা (বাংলাদেশ)। তবে একইসঙ্গে তাদের জায়গায় যারা খেলবে তাদের সামনে এগিয়ে আসার এটিই সুযোগ।”
সাকিব-লিটন ছাড়াও পিঠের পুরোনো চোটে তামিম ইকবাল, কাঁধের চোটে তাসকিন আহমেদ, হাঁটুর অস্ত্রোপচার হওয়া এবাদত হোসেনও নেই দুই ম্যাচের এই সিরিজে। তাই একরকম বাধ্য হয়েই তুলনামূলক অনভিজ্ঞ দল নিয়ে খেলতে নামছে বাংলাদেশ।
নিউ জিল্যান্ডের ক্ষেত্রে বিষয়টি পুরোপুরি ভিন্ন। গত অগাস্টের মাঝামাঝি সময় থেকেই একের পর এক সফরে ব্যস্ত থাকা কিউইরা বাংলাদেশেও এসেছে পূর্ণশক্তির দল নিয়ে। চোটের কারণে শেষ মুহূর্তে ম্যাট হেনরি ছিটকে গেলেও বদলি হিসেবে অভিজ্ঞ পেসার নিল ওয়্যাগনারকে পেয়েছে তারা।
সাউদি বললেন, আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র শুরু হওয়ায় টানা ব্যস্ততার পরও নিজেদের আরেকটু নিংড়ে দেওয়ার লক্ষ্য তাদের।
“এটি খুব ব্যস্ত সময়। বিশ্বকাপের আগেও আমরা বাংলাদেশ, ইংল্যান্ডে খেলেছি। কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের জন্য এটি স্বাভাবিক বিষয়। তিন সংস্করণে খেলা যে কোনো ক্রিকেটারকে এটি মেনে নিতে হবে, এখন ব্যস্ত সময়। আমরা সৌভাগ্যবান যে, ফাঁকে ফাঁকে বিরতিতে নিজেদের সতেজ করতে পেরেছি।”
“টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্র শুরু, এটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়। ছেলেদের জন্য বাইরে থাকা লম্বা সময় এটি। তবে আর দুই সপ্তাহ এগিয়ে যেতে হবে। এরপর আমরা আমাদের গ্রীষ্মে নিজেদের কন্ডিশনে খেলার জন্য নিউ জিল্যান্ডে ফিরব।”