অস্ট্রেলিয়ার এই মাঠে সবশেষ ২০০৮ সালে খেলেছে মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল।
Published : 30 Mar 2025, 03:27 PM
বিশ্ব ক্রিকেটের মানচিত্র থেকে প্রায় হারিয়েই যেতে বসেছিল ডারউইনের নামটি। অবশেষে ১৭ বছর পর আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ পাবে মারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে এখানেই শুরু হবে এবারের অস্ট্রেলিয়ান গ্রীষ্ম।
ডারউইনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরার খবরটি অবশ্য কদিন আগেই প্রকাশ করেছিল কিছু সংবাদমাধ্যম। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তা নিশ্চিত করেছে রোববার। আগামী অস্ট্রেলিয়ান গ্রীষ্মের সূচিও প্রকাশ করা হয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে।
ঠাসা সূচির কারণে এবার একটু আগেভাগেই শুরু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান মৌসুম। এজন্যই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে ডারউইন, কেয়ার্নস ও ম্যাকাইকে, যেখানে সাধারণত অস্ট্রেলিয়ান মৌসুমের নিয়মিত খেলাগুলি হয় না।
২০০৮ সালে বাংলাদেশ যখন অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল, তখনও প্রথাগত অস্ট্রেলিয়ান মৌসুম শুরু হয়নি। মাইকেল ক্লার্কের দলের সঙ্গে মোহাম্মদ আশরাফুলের দলের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি হয়েছিল ডারউইনে। অস্ট্রেলিয়ায় এখনও পর্যন্ত সেটিই বাংলাদেশের শেষ দ্বিপাক্ষিক সফর।
২০০৩ সালেও অস্ট্রেলিয়াতে বাংলাদেশের সফর ছিল তাদের নিয়মিত মৌসুমের বাইরে। সেবারও বাংলাদেশ একটি টেস্ট ও একটি ওয়ানডে খেলেছিল অস্ট্রেলিয়ার নর্দান টেরিটরির এই শহর ডারউইনে। একটি টেস্ট ও দুটি ওয়ানডে খেলেছিল সেবার কেয়ার্নসে।
এবার দক্ষিণ আফ্রিকাও খেলবে সেসব ভেন্যুতেই। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হবে ডারউইনে, পরেরটি কেয়ার্নসে। কুইন্সল্যান্ডের এই শহরেই ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ, পরের দুটি ম্যাচ কুইন্সল্যান্ডেরই ইরেক শহর ম্যাকাইতে।
১৯৯২ বিশ্বকাপে ভারত ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচটি ছিল ম্যাকাইয়ের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ অ্যারেনায়। সেই ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয় দুই বল পরই। এরপর আর ছেলেদের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ এখানে হয়নি। মেয়েদের ক্রিকেট, ‘এ’ দলের ম্যাচসহ অন্যান্য ক্রিকেট অবশ্য হয় এখানে। অবশেষে এই মাঠে প্রথমবার খেলবে অস্ট্রেলিয়ার ছেলেরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে অস্ট্রেলিয়া দল দেশে ফেরার সপ্তাহ দুয়েক পর আগামী ১০ অগাস্ট শুরু হবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজটি।
অস্ট্রেলিয়াতে বাংলাদেশের পরবর্তী দ্বিপাক্ষিক সিরিজও হবে এই নর্দান টেরিটরিতেই। যদিও ২০২৭ সালের মার্চে মূল ভেন্যুগুলোতেই হওয়ার কথা ছিল সিরিজটি। তবে টেস্ট ক্রিকেটের দেড়শ বছর পূর্তিতে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড বিশেষ এক টেস্ট ম্যাচ খেলবে ওই মার্চে। বাংলাদেশের সফরটি তাই এগিয়ে আনা হচ্ছে ২০২৬ সালের অগাস্টে।
গত মৌসুমে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির পাঁচটি টেস্ট খেলে যাওয়া ভারত নতুন মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় যাবে সীমিত ওভারের সিরিজে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে পার্থে ১৯ অক্টোবর। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু ২৯ অক্টোবর।
অক্টোবরের শুরুতে অবশ্য তাসমান সাগরের অপর পাড়ের দেশ নিউ জিল্যান্ডে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ছোট্ট সিরিজ খেলতে যাবে অস্ট্রেলিয়ানরা।
ভারতের বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজের পর আছে এই মৌসুমের সবচেয়ে আকর্ষণীয় লড়াই অ্যাশেজ। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের সূচি ও ভেন্যু চূড়ান্ত হয়েছিল আগেই। ১৯ নভেম্বর পার্থে শুরু হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের প্রায় দেড়শ বছর পুরোনা দ্বৈরথ।
এই মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের ব্যস্ততাও থাকবে অনেক বেশি। সেই সূচি প্রকাশ করা হবে পরে।