রাজকোটের হারে ‘ব্যথিত’ ইংল্যান্ডের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়

রাঁচি টেস্ট জিতে সিরিজে সমতা ফেরাতে আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।

ভারতের বিপক্ষে রাজকোট টেস্টে স্রেফ উড়ে গেছে ইংল্যান্ড। রান তাড়ায় ন্যূনতম লড়াইও করতে পারেনি তারা। বড় হারের যন্ত্রণা পোড়াচ্ছে ইংলিশদের। তবে কোনো আফসোস নেই বলে জানিয়েছেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। রাঁচিতে পরের টেস্ট জিতে সিরিজে সমতা ফেরাতে দারুণ আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ড কোচ।  

সিরিজের তৃতীয় টেস্টে রোববার ৪৩৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারে ইংল্যান্ড। এই সংস্করণে গত ৯০ বছরে তাদের সবচেয়ে বড় হার এটি। তাদের টেস্ট ইতিহাসেই রানের হিসাবে এর চেয়ে বড় পরাজয় আছে আর কেবল একটি।

পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এখন ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে ইংল্যান্ড। আগামী শুক্রবার রাঁচিতে শুরু হবে চতুর্থ টেস্ট। সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই ম্যাচে জয়ের প্রত্যয় জানালেন ম্যাককালাম।

“আমরা ঘুরে দাঁড়াব এবং ভারতকে চাপে রাখার চেষ্টা করব। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের (পঞ্চম টেস্ট) দিকে যাওয়া কতটা রোমাঞ্চকর হবে, আশা করি সেটা নিয়ে সাত-আট দিনের মধ্যেই আমরা কথা বলব।”

হায়দরাবাদে প্রথম টেস্ট জিতে সিরিজের শুরুটা দারুণ করে ইংল্যান্ড। এরপর টানা দুই টেস্টে হারে তারা। বিশাখাপাত্নাম ও রাজকোটে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করে সফরকারীরা।

রাজকোটে প্রথম ইনিংসে ভারতের ৪৪৫ রানের জবাবে তৃতীয় দিন সকালে ২ উইকেটে ২২৪ রানের শক্ত অবস্থানে ছিল ইংল্যান্ড। ভারত এ দিন পায়নি অভিজ্ঞ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। মায়ের অসুস্থতার খবর শুনে টেস্টের মাঝপথে বাড়ি ফিরে যান তিনি। তবু সুযোগ নিতে পারেনি ইংলিশরা। ৯৫ রানে শেষ ৮ উইকেট হারায় তারা। পরে ৫৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দলটি গুটিয়ে যায় মাত্র ১২২ রানে।

নিউ জিল্যান্ডের সাবেক ব্যাটসম্যান ম্যাককালামের কোচিং ও বেন স্টোকসের নেতৃত্বে টেস্ট ক্রিকেটে দারুণভাবে ছুটছিল ইংল্যান্ড। ২০ টেস্টের ১৪টিতে জিতে রাজকোটে খেলতে নেমেছিল তারা। কিন্তু এই ম্যাচে অমন অসহায় আত্মসমর্পণের পর তাদের আগ্রাসী ঘরানার ক্রিকেট নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা। তবে বাইরের কথায় কান দিচ্ছেন না ম্যাককালাম।

“মানুষ তাদের মতামত দেবে- ভালো, খারাপ বা কুৎসিত। আমরা তা শুনতে চাই কি না, সেটা আমাদের ব্যাপার। ড্রেসিং রুম খুব শক্ত জায়গা, সেখানে আত্মবিশ্বাস বেশি।”

ম্যাককালাম ও স্টোকস দায়িত্ব নেওয়ার আগে ১৭ টেস্টের মধ্যে মাত্র একটি জিতেছিল ইংল্যান্ড। এই দুজন দায়িত্বে আসার পর ২১ টেস্টের মধ্যে দলটি হেরেছে ৬টি।