আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারার পর ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ছিল লঙ্কানরা, বললেন ব্যাটসম্যান ভানুকা রাজাপাকসা।
Published : 02 Sep 2022, 04:49 PM
আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরাজয় বড় ধাক্কা হয়ে এসেছিল শ্রীলঙ্কা দলের জন্য। দিন দুয়েক তারা মুখ লুকিয়েও ছিলেন। তবে তাতে তো আর ঝড় থেমে থাকে না! বাস্তবতাকে আলিঙ্গন করেই তারা সিদ্ধান্ত নেয় সামনে এগিয়ে যাওয়ার। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় ঘুরে দাঁড়াতে। তাদের সেই মরিয়া চেষ্টায় প্রথম লক্ষ্য ছিল, বাংলাদেশকে হারাতেই হবে।
স্বস্তির এই চাওয়া পূরণের পর শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান ভানুকা রাজাপাকসা জানালেন, প্রথম ম্যাচে হারার পর শুরুতে ভেঙে পড়লেও তারা গুছিয়ে নেন দ্রুত।
আফগানিস্তানের কাছে যেভাবে বিধ্বস্ত হয়েছিল শ্রীলঙ্কা, তাতে ভেঙে পড়ার উপকরণ ছিল যথেষ্টই। এমনিতে টি-টোয়েন্টিতে আফগানরা এখন সমীহ জাগানিয়া শক্তি যে কোনো প্রেক্ষাপটেই। কিন্তু এই লড়াইয়ে পাত্তাই পায়নি শ্রীলঙ্কা। শারজাহতে গত শনিবার সেই ম্যাচে ৭৫ রানেই শ্রীলঙ্কা হারায় ৯ উইকেট!
পরে শেষ জুটির সৌজন্যে ১০৫ রান পর্যন্ত যেতে পারে তারা। তাতে লাভ খুব একটা হয়নি। আফগানরা পাওয়ার প্লেতেই তুলে ফেলে ৮৩ রান। ম্যাচ শেষ করে দেয় তারা ১০.১ ওভারেই।
সেই ধাক্কা সামলে পরের ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে সুপার ফোর পর্বে খেলা নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা। একতরফা জয় সেটি ছিল না। রোমাঞ্চ ও উত্তেজনার নানা মুহূর্ত পেরিয়ে, আশা-হতাশার বিভিন্ন মোড় মাড়িয়ে শেষ পর্যন্ত তারা জয়ের দেখা পায় শেষ ওভারে।
জয়ের পর লঙ্কান ব্যাটসম্যান রাজাপাকসা বললেন, এই ম্যাচ জিততে তারা বদ্ধ পরিকর ছিলেন।
“প্রথম ম্যাচ অবশ্যই আমাদের জন্য একটু বিব্রতকর ছিল। আমরা আশা করিনি যে ১০৫ রানে গুটিয়ে যাব। যদিও টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের দল বেশ ভালো। তবে তাদের কাছে হারার পর আমরা সবাই দিন দুয়েক ছোট্ট খোলসে ঢুকে ছিলাম। কিন্তু আমরা জানতাম, এই অবস্থা থেকে কীভাবে বের হতে হয়।”
“আমাদের অভিজ্ঞতা এখন অনেক। বেশ কজন ক্রিকেটার ৩০-৪০টা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেলেছে। আমাদের পরিকল্পনা ছিল, যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশকে হারাতে হবে। সেটা আমরা পেরেছি। দল এখন দারুণ উজ্জীবিত ও আত্মবিশ্বাসী। সামনে এগিয়ে সুপার ফোর পর্ব তাই বেশ ইন্টারেস্টিং হবে।”
সুপার ফোর-এ প্রথম ম্যাচে শনিবার শারজাহতে সেই আফগানিস্তানের সঙ্গেই আবার লড়বে শ্রীলঙ্কা।