বিপিএল
বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে দল না পাওয়াদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মোসাদ্দেক হোসেন, মুমিনুল হক, শুভাগত হোম, রুবেল হোসেনরা।
Published : 14 Oct 2024, 06:06 PM
মাঝারি মানের দল নিয়েও বিপিএলের গত আসরে শুভাগত হোমের নেতৃত্বে প্লে-অফ খেলেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। পট পরিবর্তনে এবার বিপিএলে নেই সেই চট্টগ্রাম। হয়তো থাকবেন না শুভাগতও। গতবার অধিনায়কত্ব করা এই স্পিন অলরাউন্ডারকে নেয়নি কোনো দল। এছাড়া দুর্দান্ত ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনও দল পাননি।
বিপিএলের ১১তম আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফটে দুই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক ও শুভাগত ছাড়াও দল পাওয়াদের তালিকায় আছেন মুমিনুল হক, রুবেল হোসেন, নাজমুল ইসলাম, সৈকত আলিরা।
রাজধানীর একটি হোটেলে সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে বিপিএলের আগামী আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট। ভিন্ন ৬ ক্যাটাগরিতে স্থানীয় ১৭২ ক্রিকেটারের নাম ছিল ড্রাফটে। আর ৫ ক্যাটাগরিতে বিদেশি ক্রিকেটার ছিলেন ৪১৫ জন।
আগেরবারের দল থেকে ধরে রাখা ও সরাসরি চুক্তি মিলিয়ে স্থানীয় ১৭ জন ক্রিকেটারের দল ঠিক হয়ে যায় ড্রাফটের আগেই। ড্রাফটে 'এ' ও 'বি' ক্যাটাগরিতে থাকা ১১ জনের মধ্যে ১০ জন শুরুর দিকেই দল পেয়ে যান।
সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের রেকর্ড ১৪ উইকেট নেওয়া রিশাদ হোসেনের দল পেতে করতে হয় দীর্ঘ প্রতীক্ষা। ড্রাফটে স্থানীয় ৪৩তম ক্রিকেটার হিসেবে তাকে দলভুক্ত করে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল।
তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি মোসাদ্দেক, শুভাগতদের। গত আসরে ঢাকাকে ৯ ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া মোসাদ্দেক এখন পর্যন্ত দলহীন। চট্টগ্রামকে সেরা চারে তুললেও কোনো দলের নজর কাড়তে পারেননি শুভাগত।
মুমিনুল অবশ্য গত আসরেও ড্রাফট থেকে দল পাননি। পরে টুর্নামেন্টের মাঝপথে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে দলে ভেড়ায় রংপুর রাইডার্স।
গত আসরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে খেলা ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত মুখ সৈকত আলি, রংপুরে খেলা অভিজ্ঞ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফজলে মাহমুদ, সিলেট স্ট্রাইকার্সে খেলা বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম, খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলা রুবেল হোসেনকেও নেয়নি কোনো দল।
প্রাথমিকভাবে আগামী ২৭ ডিসেম্বর শুরুর কথা ছিল বিপিএলের এবারের আসর। তবে নতুন করে ৩০ ডিসেম্বর শুরুর কথা ভাবছেন আয়োজকরা।