টি-টোয়েন্টি দলে ইমরুল, তাসকিন, নুরুল

ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। টি-টোয়েন্টি দলে ফেরানো হবে অভিজ্ঞদের। সেটাই হয়েছে; দলে ফিরেছেন ইমরুল কায়েস, তাসকিন আহমেদ, নুরুল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2018, 10:30 AM
Updated : 26 Feb 2018, 04:44 PM

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার বিকেলে শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিদাহাস ট্রফির জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন।

চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না উঠলেও দলে আছেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে না পারা সাকিব আল হাসান।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে অভিষেক করানো হয় ছয় জনকে। তার মধ্যে টিকে গেছেন কেবল বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আরিফুল হক। বাদ পড়েছেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মেহেদি হাসান, জাকির হাসান, আফিফ হোসেন। ওই সিরিজের দল থেকে বাদ পড়া অন্যজন মোহাম্মদ মিঠুন।

কলম্বোয় ৬ মার্চ শুরু হবে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে নিদাহাস ট্রফি।

উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান নুরুলের টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা হারানো ছিল বিস্ময়কর। কোনো কিছু না করেই এক সিরিজ পর ইমরুল ও তাসকিনের ফেরাটাও অবাক করা।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচে ৫ ওভারে ৬২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন পেসার তাসকিন। সেই দুই ম্যাচে ইমরুল করেন মাত্র ১৬ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কখনও সেভাবে সাফল্য পাননি এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ১৩ ইনিংসে মাত্র ৯.১৫ গড়ে তার রান ১১৯। তবুও তৃতীয় ওপেনার হিসেবে ডাক পেয়েছেন দলে। 

মিনহাজুল জানান, সাকিবের সেরে উঠতে আরও ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগতে পারে। এখনও ফোলা রয়ে গেছে। তাই বাড়তি হিসেবে নেওয়া হয়েছে মিরাজকে।

“সাকিব সেরে উঠলে আমরা ১৫ জনের দল দিতাম। তার কাভার হিসেবে আমরা অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মিরাজকে দলে নিয়েছি।”

সাকিবের অনুপস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া মাহমুদউল্লাহকে করা হয়েছে টি-টোয়েন্টির সহ-অধিনায়ক।  

শেষ চার ম্যাচে খরুচে বোলিংয়ে বাদ পড়েছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফ। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ম্যাচে ২ ওভারে ২০ রান দেন তিনি। পরের ম্যাচে ৪ ওভারে ৫৩। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ২ ওভারে দেন ৩৩। পরেরটিতে ৪ ওভারে ৪৬।

প্রথম সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি জাকির, আফিফ ও মেহেদি। বাদ পড়েছেন তিন জনই। দুই ম্যাচে তিন রান করলেও টিকে গেছেন আরিফুল। দুই ম্যাচেই আঁটসাঁট বোলিং করা নাজমুলের দলে থেকে যাওয়াটা অনুমিতই ছিল।

টি-টোয়েন্টির বাংলাদেশ দল: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মাহমুদউল্লাহ (সহ-অধিনায়ক) তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ, আবু হায়দার, আবু জায়েদ, আরিফুল হক, নাজমুল ইসলাম অপু, নুরুল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ।