ফাইনালে পারল না বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কা ২২১, বাংলাদেশ ৪১.১ ওভারে ১৪২; শ্রীলঙ্কা ৭৯ রানে জয়ী

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2018, 05:31 AM
Updated : 27 Jan 2018, 02:38 PM

আবার ফাইনালে বাংলাদেশের হার

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আরেকটি ফাইনাল খেলল বাংলাদেশ। পেল আরেকটি হারের তেতো স্বাদ। শ্রীলঙ্কার কাছে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে এবার স্বাগতিকরা হেরেছে ৭৯ রানে।

২২২ রান তাড়ার আগেই একটা ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পাওয়া মাঠের বাইরে চলে যান সাকিব আল হাসান।

টপ অর্ডার শুরুতে পথ দেখাতে পারেননি। প্রায় একাই খেলতে হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে। তার দারুণ ব্যাটিং পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে কেবল।  

২৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার সেরা বোলার মদুশঙ্কা। দুটি করে উইকেট নেন দুশমন্থ চামিরা ও আকিলা দনঞ্জয়া।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
 
বাংলাদেশ: ৪১.১ ওভারে ১৪২ (তামিম ৩, মিঠুন ১০, সাব্বির ২, মুশফিক ২২, মাহমুদউল্লাহ ৭৬, মিরাজ ৫, সাইফ ৮, মাশরাফি ৫, রুবেল ০, মুস্তাফিজ ০*; লাকমল ০/২৯, চামিরা ২/১৭, থিসারা ০/৩১, মদুশঙ্কা ৩/২৬, দনঞ্জয়া ২/৩০, গুনাথিলকা ০/৪)

অভিষেকে মদুশঙ্কার হ্যাটট্রিক

অভিষেক হ্যাটট্রিকে রাঙালেন শিহান মদুশঙ্কা। শ্রীলঙ্কা পেল ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা।

৪১.১ ওভারে ১৪২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। চোটের জন্য ব্যাটিং করেননি সাকিব আল হাসান। ফাইনালে লঙ্কানরা জিতেছে ৭৯ রানে।

আগের ওভারের শেষ দুই বলে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও রুবেল হোসেনকে ফেরান মদুশঙ্কা। পরের ওভারের প্রথম বলে তুলে নেন মাহমুদউল্লাহর উইকেট। ৯২ বলে ৬টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৭৬ রান করে ফিরেন মাহমুদউল্লাহ।

প্রথম বলেই বোল্ড রুবেল

রুবেল হোসেন প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে গেলেন শিহান মদুশঙ্কার বলে। ফুল লেংথ ডেলিভারিতে এলোমেলো হয়ে যায় স্টাম্প।

৪০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৪১/৮। ১০ ওভারে ৮১ রান চাই স্বাগতিকদের।

ফিরে গেলেন মাশরাফি

সঙ্গী পাচ্ছেন না মাহমুদউল্লাহ। দ্রুত ফিরে গেলেন মাশরাফি বিন মুর্তজাও। ফুলটস বলে মিডউইকেটে ক্যাচ দেন অধিনায়ক। তাকে বিদায় করে প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেট নেন শিহান মদুশঙ্কা। ১২ বলে ৫ রান করে ফিরেন মাশরাফি।

রান আউট হয়ে ফিরলেন সাইফ

মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের আশা জাগানো জুটি ভেঙেছে রান আউটে। ৮ রান করে ফিরে গেছেন অলরাউন্ডার সাইফ।

সুরঙ্গা লাকমলের বল শর্ট মিডউইকেটে পাঠিয়ে রান নিতে এগিয়েও ফিরে যান সাইফ। কিন্তু ততক্ষণ সাড়া এগিয়ে এসেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তার জন্য ফিরে যাওয়া সম্ভব ছিল না। বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে বাঁচাতে এগিয়ে যান সাইফ, বিসর্জন দেন নিজের উইকেট। দৌড়ে গিয়ে আসেলা গুনারত্নে স্টাম্প এলোমেলো করে দেওয়ার সময় বেশ দূরে ছিলেন এই অলরাউন্ডার।

৩৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১২৯/৬। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী মাশরাফি বিন মুর্তজা। জয়ের জন্য ১৩ ওভারে ৯৩ রান চাই স্বাগতিকদের।

মাহমুদউল্লাহর পঞ্চাশ, বাংলাদেশের একশ

ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম মাহমুদউল্লাহ। ফিফটি তুলে নিয়েছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। দলকে নিয়ে গেছেন একশ রানে।

পঞ্চাশ ছুঁতে মাহমুদউল্লাহর লেগেছে ৭০ বল। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫টি চার ও একটি ছক্কা। ৩২তম ওভারে তিন অঙ্কে গেছে বাংলাদেশের সংগ্রহ।

৩২ ওভার শেষে স্বাগতিকদের স্কোর ১০২/৫। জয়ের জন্য ১৮ ওভারে আরও ১২০ রান চাই বাংলাদেশের।

ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন মিরাজ

দলের বিপদে ব্যাট হাতে অবদান রাখতে পারলেন না মেহেদী হাসান মিরাজ। ফিরে গেলেন ৫ রান করে।

বোলার আকিলা দনঞ্জয়ার মাথার ওপর দিয়ে বল পাঠাতে চেয়েছিলেন মিরাজ। শট ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ফিরতি সহজ ক্যাচ মুঠোয় নেন দনঞ্জয়া।

২৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৯১/৫। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।

ফিরে গেলেন মুশফিক

বাংলাদেশের প্রতিরোধ ভাঙলেন আকিলা দনঞ্জয়া। ফিরিয়ে দিলেন মুশফিকুর রহিমকে।

দনাঞ্জয়াকে সুইপ করে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দেন মুশফিক। ৪০ বলে ২২ রান করে ফিরেন তিনি। ভাঙে ৫৮ রানের জুটি।

২৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৮১/৪। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জয়ের জন্য ২৭ ওভারে আরও ১৪২ রান চাই বাংলাদেশের।

রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন মুশফিক

আকিলা দনঞ্জয়ার বলে আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেওয়ার পর রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন মুশফিকুর রহিম। সে সময়ে ২০ রানে ব্যাট করছিলেন তিনি।

দনঞ্জয়ার বল সুইপ করে ব্যাটে ছোঁয়াতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। আম্পায়ার জোরালো আবেদনে সাড়া দিয়ে আউট দেন। নন স্ট্রাইকার মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে কথা বলে রিভিউ নেন মুশফিক। বল লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করায় বেঁচে যান তিনি।

মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ জুটির পঞ্চাশ

দ্রুত প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারানো বাংলাদেশকে টানছেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। চতুর্থ উইকেটে দুই জনে গড়েছেণ পঞ্চাশ রানের জুটি।

শিহান মদুশঙ্কার বলে মাহমুদউল্লাহর চারে পঞ্চাশ ছোঁয় জুটির রান। ফিফটি পেতে ৬৪ বল লেগেছে জুটির।

২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৭২/২। জয়ের জন্য শেষ ৩০ ওভারে আরও ১৫০ রান চাই স্বাগতিকদের।

বাংলাদেশের পঞ্চাশ

টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় চাপে পড়া বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়েছে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে। দুই জনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।

১৫তম ওভারে ৫০ ছুঁয়েছে বাংলাদেশের স্কোর।

বাজে শটে ক্যাচ দিলেন সাব্বির

ভুল থেকে শিখেননি সাব্বির রহমান। আবার বাজে শটে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন তিনি।

দ্রুত ফিরে গেছেন দুই ওপেনার। আঙুলে চোট পাওয়া সাকিব আল হাসানকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা। দায়িত্বশীল ব্যাটিং চাওয়া ছিল সাব্বিরের কাছ থেকে। ডানহাতি ব্যাটসম্যান করলেন তার উল্টোটা। আউট হলেন দৃষ্টিকটুভাবে। দুশমন্থ চামিরাকে পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে দিলেন ক্যাচ। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৬/৩।

রান আউট মিঠুন

সাড়ে তিন বছর পর ওয়ানডেতে ফেরা মোহাম্মদ মিঠুন সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। ফিরেছেন ঝুঁকিপূর্ণ রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে।

সুরঙ্গা লাকমলের বল মিড অফে খেলেই রানের জন্য দৌড়ান মিঠুন। রান সেখানে ছিল না। থিসারা পেরেরার সরাসরি থ্রো বেলস ফেলে দেওয়ার সময় অনেক দূরে ছিলেন মিঠুন।

২৭ বলে একটি ছক্কায় ১০ রান করে ফিরেন মিঠুন।

ফিল্ডিংয়ের সময় আঙুলে চোট পাওয়া সাকিবের ব্যাটিংয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ। ক্রিজে সাব্বির রহমানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম।

৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২২/২।

জীবন কাজে লাগাতে পারলেন না তামিম

আগের বলেই জীবন পেয়েছিলেন তামিম ইকবাল। দারুণ চেষ্টার পরও ফিরতি ক্যাচ নিতে পারেননি দুশমন্থ চামিরা। উইকেটের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি লঙ্কান পেসারকে। পরের বলেই ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তামিম।

শরীরের খুব কাছ থেকে শর্ট পুল করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। টাইমিং হয়নি। মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ নেন আকিলা দনঞ্জয়া।

পরের বলে একটুর জন্য দ্বিতীয় স্লিপে যায়নি আরেক ওপেনার মোহাম্মদ মিঠুনের ক্যাচ।

চোট পাওয়া সাকিব ফিরেননি হাসপাতাল থেকে। তিন নম্বরে নেমেছেন সাব্বির রহমান।

৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১২/১।

২২১ রানে অলআউট শ্রীলঙ্কা

ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হয়ে গেলেন সুরঙ্গা লাকমল। তাতে ২২১ রানে গুটিয়ে গেল শ্রীলঙ্কার ইনিংস। ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জিততে ২২২ রান চাই বাংলাদেশের।

সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মন্থর হচ্ছে উইকেট। বল আসছে একটু দেরিতে। মাঝারি এই লক্ষ্য চ্যালেঞ্জিং হবে তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমদের জন্য।

৪৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার রুবেল হোসেন। আঁটসাঁট বোলিংয়ে ২৯ রানে ২ উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২২১ (গুনাথিলাকা ৬, থারাঙ্গা ৫৬, মেন্ডিস ২৮, ডিকভেলা ৪২, চান্দিমাল ৪৫, থিসারা ২, গুনারত্নে ৬, দনঞ্জয়া ১৭, মদুশঙ্কা ৭, লাকমল ২, চামিরা ১*; মিরাজ ১/৫৩, মাশরাফি ১/৩৫, মুস্তাফিজ ২/২৯, মাহমুদউল্লাহ ০/১৮, সাইফ ১/১৫, সাকিব ০/২০, রুবেল ৪/৪৬)

রুবেলের চতুর্থ শিকার মদুশঙ্কা

অভিষিক্ত শিহান মদুশঙ্কাকে দারুণ এক ইয়র্কারে বোল্ড করলেন রুবেল হোসেন। নিলেন নিজের চতুর্থ উইকেট।

নিজের আগের ওভারেই এমন এক ইয়র্কারে দিনেশ চান্দিমালকে ফেরান রুবেল। অধিনায়কের মতো নিখুঁত ইয়র্কার থামাতে কিছুই করতে পারেননি মদুশঙ্কা।

মুস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার দনঞ্জয়া

মোহাম্মদ মিঠুনকে যেন কাভারে ক্যাচিং অনুশীলন করালেন আকিলা দনঞ্জয়া। বুঝতেই পারলেন না মুস্তাফিজুর রহমানের বল।

দনঞ্জয়াকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট পেলেন মুস্তাফিজ। ৪৯ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ২১৯/৮।

রুবেলের তৃতীয় শিকার চান্দিমাল

প্রান্ত বদল করে বোলিংয়ে ফেরা রুবেল হোসেন তুলে নিলেন দিনেশ চান্দিমালের উইকেট। দারুণ এক ইয়র্কারে তা স্টাম্প এলোমেলো করে দেন রুবেল।

৭৪ বলে একটি ছক্কায় ৪৫ রান করে ফিরেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক। ৪৮ ওভার শেষে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২১৫ রান।

স্ক্যান করাতে হাসপাতালে সাকিব

ফিল্ডিং করার সময়ে চোট পাওয়া সাকিব আল হাসানকে নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে। এই অলরাউন্ডারের আঙুলে স্ক্যান করানো হবে।

৪২তম ওভারে এক্সট্রা কাভারে ফিল্ডিং করার সময়ে চোট পান সাকিব। কিছুক্ষণ মাটিতে শুয়ে থাকেন তিনি। পরে ফিজিও এসে তাকে নিয়ে যান মাঠের বাইরে। শুরুতে নিয়ে যাওয়া হয় ড্রেসিংরুমে। সেখান থেকে পরে স্ক্যান করাতে নেওয়া হয় হাসপাতালে।

রুবেলের দ্বিতীয় শিকার গুনারত্নে

দারুণ বোলিং করে যাওয়া রুবেল হোসেন পেলেন আরেকটি উইকেট। ফিরিয়ে দিলেন আসেলা গুনারত্নেকে।

রুবেলের ভেতরে ঢোকা বল গুনারত্নের ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে প্যাডে লাগে। একটু সময় নিয়ে আবেদনে সাড়া দিয়ে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। নন স্ট্রাইকার চান্দিমালের কথা রিভিউ নেন গুনারত্নে। তাতে পাল্টায়নি সিদ্ধান্ত।

৬ রান করে ফিরেন গুনারত্নে। ৪৫ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ১৮৫/৬। 

থিসারাকে দ্রুত ফেরালেন রুবেল

দারুণ বোলিং করা রুবেল হোসেন এনে দিয়েছেন বড় উইকেট। ঝড় তোলার আগেই বিদায় করেছেন থিসারা পেরেরাকে।

পুল করে রুবেলকে উড়ান্ত চেয়েছিলেন থিসারা। টাইমিংস হয়নি, সহজ ক্যাচ উঠে যায় মিডউইকেটে। দুই হাতে ক্যাচ মুঠোয় নেন তামিম ইকবাল।

৩৯ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার ন্কোর ১৬৫/৫। ক্রিজে দিনেশ চান্দিমালের সঙ্গী আসেলা গুনারত্নে।

থারাঙ্গার প্রতিরোধ ভেঙে মুস্তাফিজের রেকর্ড

এক বল আগে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান উপুল থারাঙ্গা। পরের বলে স্টাম্প উড়িয়ে তার প্রতিরোধ ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। হয়ে যায় বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম পঞ্চাশ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড।

নিজের ২৭তম ম্যাচে ৫০ উইকেট পেলেন মুস্তাফিজ। বাংলাদেশের হয়ে আগের দ্রুততম ৫০ উইকেটের রেকর্ড ছিল আব্দুর রাজ্জাকের অধিকারে। বাঁহাতি এই স্পিনার ৩২ ম্যাচে ছুঁয়েছিলেন মাইলফলক।

৯৯ বলে ৫৬ রান করে ফিরেন থারাঙ্গা। ৩৫.৩ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ১৫৮/৪।

আবার জীবন পেলেন থারাঙ্গা

৩৩ রানে বেঁচে যাওয়া উপুল থারাঙ্গা আবার জীবন পেলেন ৩৯ রানে। কাভারে লাফিয়ে তার ক্যাচ মুঠোয় নিতে পারেননি সাব্বির রহমান।

সাকিব আল হাসানের বলে এগিয়ে এসে ইনসাইড-আউট খেলতে চেয়েছিলেন থারাঙ্গা। কাভারে লাফিয়ে বলে হাত ছোঁয়ান সাব্বির। কিন্তু মুঠোয় নিতে পারেননি।

২৭ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ১২১/৩।

ডিকভেলাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন সাইফ

মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন উইকেট পেতে পারতেন আগের ওভারেই। মুশফিকুর রহিমকে কঠিন ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান উপুল থারাঙ্গা। পরের ওভারে আরেক বাঁহাতি নিরোশান ডিকভেলাকে ফিরিয়ে দেন এই অলরাউন্ডার।

লেগ স্টাম্পে থাকা শর্ট বল ঠিক মতো খেলতে পারেননি ডিকভেলা। পয়েন্টে উঠে যাওয়া সহজ ক্যাচ দুই হাতে মুঠোয় নেন সাব্বির রহমান। ৫৭ বলে ৪২ রান করে ফিরেন ডিকেভেলা। ভাঙে ৭১ রানের জুটি।

২৪ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ১১৪/৩। ক্রিজে থারাঙ্গার সঙ্গী দিনেশ চান্দিমাল।

শ্রীলঙ্কার একশ

উপুল থারাঙ্গা, নিরোশান ডিকভেলার ব্যাটে এগোচ্ছে শ্রীলঙ্কা। ২২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মোহাম্মদ সাইফকে চার হাকিয়ে দলের সংগ্রহ তিন অঙ্কে নিয়ে গেছেন ডিকভেলা। অষ্টম ওভারে পঞ্চাশ ছুঁয়েছিল অতিথিরা।

সেই ওভারে থারাঙ্গার কঠিন ক্যাচ গ্লাভসে নিতে পারেননি মুশফিকুর রহিম।  সে সময়ে ৩৩ রানে ছিলেন থারাঙ্গা।

২২ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ১০৫/২।

জুটির ফিফটি

কুসল মেন্ডিসকে হারানোর পর ধীরে ধীরে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন উপুল থারাঙ্গা ও নিরোশান ডিকভেলা। তৃতীয় উইকেটে দুজনের জুটিতে এসে পঞ্চাশ রান। জুটির ফিফটি হয়েছে ৭৪ বলে।

শ্রীলঙ্কার রান ১৮.২ ওভারে ২ উইকেটে ৯২ রান। ৩১ রান নিয়ে খেলছেন থারাঙ্গা, ২৬ রান নিয়ে ডিকভেলা।

রিভিউয়ে রক্ষা ডিকভেলার

জুটি ভাঙার জন্য মিরাজকে টানা অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে এনেছিলেন মাশরাফি। কাজও প্রায় হয়েই গিয়েছিল। নিরোশান ডিকভেলাকে এলবিডব্লিউ দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান রিভিউ নেন প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই। রিপ্লেতে দেখা যায়, প্যাডে লাগার আগে বল লেগেছিল ব্যাটে।

মেন্ডিসকে ফেরালেন মাশরাফি

চড়াও হওয়া কুসল মেন্ডিসকে ফিরিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ষষ্ঠ ওভারে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা।

পুল করে মাশরাফিকে উড়াতে চেয়েছিলেন মেন্ডিস। সেই শট খেলার মতো লাইন, লেংথে ছিল না বল। টাইমিং হয়নি। আকাশে উঠে যাওয়া ক্যাচ তালুতে জমান মাহমুদউল্লাহ। ৯ বলে দুটি চার আর তিনটি ছক্কায় ২৮ রান করে ফিরে যান মেন্ডিস।

৬ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৪২/২। ক্রিজে উপুল থারাঙ্গার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নিরোশান ডিকভেলা।

মিরাজের খরুচে ওভার

আগের ওভারে উইকেট নেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজের ওপর চড়াও হন কুসল মেন্ডিস। ম্যাচের পঞ্চম ওভার থেকে শ্রীলঙ্কা তুলে নেয় ২৪ রান।

প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করেন মেন্ডিস। পরের বলে চার। লং অন দিয়ে তুলে নেন টানা দুই ছক্কা। পঞ্চম বলে আসে ১ রান। শেষ বল থেকে একটি রান নেন উপুল থারাঙ্গা।   

প্রথম আঘাত মিরাজের

ম্যাচের প্রথম বলে চার হাঁকিয়ে শুরু করেছিলেন দানুশকা গুনাথিলাকা। বাজে শুরুর পর দ্রুত ঘুরে দাঁড়ান মেহেদী হাসান মিরাজ। তৃতীয় ওভারে তুলে নেন গুনাথিলাকার উইকেট।

অফ স্পিনার মিরাজের মাথার ওপর দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন গুনাথিলাকা। বাঁহাতি ওপেনার ফুল লেংথ বলে টাইমিং করতে পারেননি। কিছুটা দৌঁড়ে বল মুঠোয় নেন তামিম ইকবাল।

৬ রান করে ফিরেন গুনাথিলাকা। ২.৫ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৮/১।

শ্রীলঙ্কা দলে মদুশঙ্কা
 
ফাইনালের শ্রীলঙ্কা দলে এসেছে একটি পরিবর্তন। চায়নাম্যান লাকশান সান্দাকান বাদ পড়েছেন। তার জায়গায় অভিষেক হচ্ছে পেসার শিহান মদুশঙ্কার। আগের ম্যাচে বাংলাদেশকে উড়িয়ে দেওয়া শ্রীলঙ্কা খেলছে চার পেসার নিয়ে। 
শ্রীলঙ্কা দল: উপুল থারাঙ্গা, দানুশকা গুনাথিলকা, কুসল মেন্ডিস, দিনেশ চান্দিমাল, নিরোশান ডিকভেলা, আসেলা গুনারত্নে, থিসারা পেরেরা, আকিলা দনঞ্জয়া, শিহান মদুশঙ্কা, দুশমন্থ চামিরা, সুরঙ্গা লাকমল।

বাংলাদেশ দলে তিন পরিবর্তন
 
ফাইনালের বাংলাদেশ দলে এসেছে তিনটি পরিবর্তন। প্রথমবারের মতো ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলছেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন। দলে ফিরেছেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
 
২০১৪ সালে দেশের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচের পর এই প্রথম ওয়ানডে খেলবেন মিঠুন। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তৃতীয় ওয়ানডেতে শেষবার এই সংস্করণে খেলেছিলেন মিরাজ। ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে খেলেছিলেন সাইফ। 
 
প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা দল থেকে বাদ পড়েছেন ওপেনার এনামুল হক, অলরাউন্ডার নাসির হোসেন ও আবুল হাসান। ওপেনিংয়ে এনামুল ও মিডল অর্ডারে নাসির প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে প্রায় তিন বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে জায়গা ধরে রাখার মতো কিছু করতে পারেননি হাসান। 
 
বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ মিঠুন, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন।

শিরোপা জিততে উন্মুখ বাংলাদেশ

তিনটি ফাইনাল। তিনবার হৃদয় ভাঙার গল্প। এই শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামেই গত ৯ বছরে তিনটি ফাইনাল হেরেছে বাংলাদেশ। অধরা থেকে গেছে একটি ট্রফি জয়ের স্বপ্ন। এবার বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেই অপূর্ণতা ঘোচাতে চান মাশরাফি বিন মুর্তজা।

২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে এরকম একটি ত্রিদেশীয় সিরিজেই প্রথমবারের মতো মিরপুরে ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ১৫২ রানের পুঁজি নিয়েও শ্রীলঙ্কার ৬ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবু কুমার সাঙ্গাকারার ফিফটি আর শেষ দিকে মুত্তিয়া মুরালিধরনের ঝড়ো ইনিংসে ২ উইকেটে হেরে যায় বাংলাদেশ।

এরপর ২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানে কাছে ২ রানে হারের বেদনা। ২০১৬ এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির ফাইনালে ভারতের কাছে হার ৮ উইকেটে। তিনটি ম্যাচেই ছিলেন মাশরাফি। শেষটায় ছিলেন অধিনায়ক। আরেকটি ফাইনালকে অধিনায়ক মনে করেন আরও একটি সুযোগ।

আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলবে বাংলাদেশ

দুই দলের শেষ দেখায় শ্রীলঙ্কার আগ্রাসনের সামনে বুক চিতিয়ে লড়তে পারেনি বাংলাদেশ। ফাইনালে আগ্রাসনের জবাব আগ্রাসন দিয়ে দিতে চান মাশরাফি। স্বাগতিক অধিনায়ক সতীর্থদের পাল্টা আক্রমণ করে খেলতে বলেছেন।

প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৮২ রানে গুটিয়ে দিয়ে শ্রীলঙ্কা জেতে ১০ উইকেটে। মাশরাফি মনে করেন, আগ্রাসন দেখাতে না পারায় অমন বাজেভাবে হারতে হয়েছিল তাদের।

মিডল অর্ডারের ওপর মাশরাফির আস্থা

পরপর দুই ম্যাচে ব্যর্থ মিডল অর্ডার। ধসে বাধ দিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেনরা। তাদের ব্যর্থতায় হতাশা আছে মাশরাফি বিন মুর্তজার। তবে সতীর্থদের ওপর আস্থা রেখে অধিনায়ক আশাবাদী, আবার কঠিন সময় এলে ঠিক উদ্ধার করবে মিডল অর্ডার।

সাকিব তিনে উঠে আসায় বাংলাদেশের মিডল অর্ডারের জন্য বড় সুযোগ দেখেছিলেন মাশরাফি। সুযোগ কাজে লাগাতে পারছেন না মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির ও নাসির।

ভীত নয় বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কার কাছে আগের ম্যাচে ১০ উইকেটের পরাজয়ে ভয়ের কিছু দেখছেন না মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশ অধিনায়ক আশাবাদী সেই ম্যাচের ব্যর্থতা ভুলে ফাইনালে ঘুরে দাঁড়াবে তার দল।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রাথমিকপর্বের শেষ ম্যাচে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের ইনিংস টিকে মাত্র ২৪ ওভার। মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমান ছাড়া বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কে যেতে পারেননি।

শিরোপা জয়ের আত্মবিশ্বাস চান্দিমালের

ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা দুই জয় পাওয়া শ্রীলঙ্কা শিরোপা জিততে আত্মবিশ্বাসী। তবে ফলের চেয়ে মৌলিক ব্যাপারগুলো ঠিক রাখার দিকে অতিথিদের বেশি মনোযোগ। প্রক্রিয়া ঠিক রাখার, পরিকল্পনায় অটুট থাকার লক্ষ্য দিনেশ চান্দিমালের। তার বিশ্বাস, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে আবারও শ্রীলঙ্কা ভালোভাবে ম্যাচে থাকবে।