দেশের মাটিতে নিউ জিল্যান্ডকে দুই বার হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০০৮ সালে একগাদা ক্রিকেটার আইসিএলে যাওয়ার পর দেশের ক্রিকেটে যখন শঙ্কার মেঘ, সেটিও দূর করেছিল নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়। সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে আয়ারল্যান্ডেও বাংলাদেশ হারিয়েছে নিউ জিল্যান্ডকে।
শুক্রবারের ম্যাচটি তবু মাশরাফির কাছে একটু আলাদা। সেমি-ফাইনাল সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতেই শুধু নয়, ম্যাচের ওজনের কারণেও জিততে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে আমরা বেশ কিছু ম্যাচ জিতেছি। সবশেষ মাচও জিতেছি। তবে এই ধরনের টুর্নামেন্টে হাইপ থাকে অন্যরকম, চাপ থাকে অন্যরকম। এখানে জিততে পারাটা অন্যরকম আনন্দের হবে। নিউ জিল্যান্ডও ভালো খেলছে। বৃষ্টিতে ভেসে না গেলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিতত। এই ধরনের টুর্নামেন্টে, এই কন্ডিশনে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে কাজটা সহজ হবে না। জিততে পারলে সেটি হবে দারুণ।”
নিউ জিল্যান্ডকে হারাতে হলে মূল বাধা হবে তাদের বোলিং। ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, অ্যাডাম মিল্নকে নিয়ে গড়া পেস আক্রমণ সামলানো সহজ হবে না। তবে নিজের ব্যাটসম্যানদের ওপর ভরসা রাখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“ওদের বোলিং আক্রমণ অবশ্যই ভালো। গত কয়েক মাসে ওদের বিপক্ষে ৫টি ম্যাচ খেলেছি আমরা। মিল্নকে ছাড়া ওদের বেশিরভাগ বোলারকেই আমাদের ড্রেসিং রুমের বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানই খেলেছে। আমার বিশ্বাস ওরা সামলাতে পারবে ভালো। তারা অবশ্যই ভালো বোলিং করছে। আশা করি, আমাদের ব্যাটসম্যানরাও দায়িত্ব নিয়ে খেলবে।”
বোলিং অবশ্য কেবলই একটি অংশ। নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটিংও কম শক্তিশালী নয়। এই কন্ডিশনে নিউ জিল্যান্ডকে হারাতে বাংলাদেশকে করতে হবে ব্যাটে-বলে অসাধারণ কিছু।