টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ থেকে টেস্ট মানসিকতায় সাব্বির

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সহজাত ব্যাটিং করা সাব্বির রহমান একটু সময় নেন ওয়ানডেতে। বাংলাদেশের এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন, টেস্ট ক্রিকেটে আরও বদলাবে তার মানসিকতা। প্রয়োজনে অনেক বল ডট দেবেন, খেলবেন দেখেশুনে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2016, 09:51 AM
Updated : 17 Oct 2016, 04:05 PM

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আড়াই বছরের বেশি সময় কাটিয়ে ফেলা সাব্বির এখন পরিণত। ২৪ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের দাবি, একেক সংস্করণের জন্য একেক রকম মানসিক প্রস্তুতি থাকে তার।

“সব কিছুই মনের ব্যাপার। টি-টোয়েন্টিতে এক রকম, ওয়ানডে আরেক রকমের, টেস্টেও অন্য রকম মানসিকতা থাকে। সময় নিয়ে খেলা দরকার, ওয়ানডেতে এটাই ভাবতাম। আবার টি-টোয়েন্টির আগে ‘বল টু বল’ খেলার প্রস্তুতি নিতাম।”

প্রথম শ্রেণির শেষ ম্যাচেও ৩৮ বলে অপরাজিত ৪৯ রান করতে ৫টি ছক্কা ও তিনটি চার হাঁকিয়েছিলেন সাব্বির। তবে টেস্টে অত চড়াও না হয়ে দেখেশুনে খেলার পক্ষেই তিনি।

“টেস্টে চেষ্টা করবো প্রতিটা বল দেখে খেলার। আমি এটা একা মাঠের বাইরে অনুশীলন করেছি। অনেক সময় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেছি কিভাবে টেস্ট ম্যাচ খেলা যায়। কিভাবে ভালো কিছু করা যায়। তো সব কিছু মানসিকতার ওপর নির্ভর করে।”

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় সাব্বিরের। প্রথম ওয়ানডে খেলতে অপেক্ষা করতে হয় নভেম্বর পর্যন্ত।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সাব্বিরের পারফরম্যান্স তেমন নজর কাড়া কিছু নয়। প্রথম মৌসুমে ৩৪, পরের মৌসুমে ৪৮.৭১ গড়ে রান করা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের গড় পরের তিন মৌসুমে একবারও ত্রিশ ছুঁতে পারেনি। ২০১৩-১৪ মৌসুম আবার কিছুটা সাফল্য আসে। সেবার ৩৪.৮৮ গড়ে রান করেন তিনি।

তবে এরপর প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খুব একটা খেলা হয়নি বাংলাদেশের হয়ে ৫৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা সাব্বিরের। যে তিনটি ম্যাচ খেলেন তাতে ছিল উন্নতির ছাপ। একটি শতক, একটি অর্ধশতকসহ ৭০ গড়ে ২৮০ রান।

এক সময়ের টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ সাব্বির এখন ওয়ানডে দলেরও নিয়মিত সদস্য। সব ধরনের ক্রিকেটের খেলোয়াড় হয়ে উঠতে চান তিনি।

“প্রথমে সবাই ভাবতো আমি টে-টোয়েন্টির খেলোয়াড়। ওয়ানডে বা টেস্টে আমি খেলতে পারব না। কিন্তু আমি প্রমাণ করেছি যে, ওয়ানডেও আমি খেলতে পারি। টেস্ট দলে আমি সুযোগ পেয়েছি, খেললে এই সংস্করণে আমার অভিষেক হবে। তো আমি চেষ্টা করব, এই তিনটা ফরম্যাটে যেন আমি একইভাবে খেলতে পারি।”