জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তান সিরিজ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫৮৬ রানের পুঁজি গড়েছে জিম্বাবুয়ে, যা দলটির টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড।
Published : 27 Dec 2024, 09:40 PM
নতুন সকালে বেশিক্ষণ টিকলেন না আগের দিনের সেঞ্চুরিয়ান শন উইলিয়ামস। পরে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়ে ক্রেইগ আরভিন ও ব্রায়ান বেনেটও পেলেন তিন অঙ্কের ছোঁয়া। তিন ব্যাটসম্যানের শতকে এমন উচ্চতায় উঠল জিম্বাবুয়ের রান, যেখানে আগে কখনও পৌঁছাতে পারেনি তারা।
বুলাওয়ায়োতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে শুক্রবার জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে থামে ৫৮৬ রানে। ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে যা তাদের দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। আগেরটি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০০১ সালে, ৯ উইকেটে ৫৬৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল তারা।
জবাবে ২ উইকেটে ৯৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে আফগানরা। ৪৯ রানে খেলছেন অভিজ্ঞ রেহমাত শাহ, অধিনায়ক হাশমাতউল্লাহ শাহিদি অপরাজিত ১৬ রান করে। সফরকারীরা এখনও পিছিয়ে ৪৯১ রানে।
স্বাগতিকদের রেকর্ড পুঁজি গড়ার পথে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ৩ ছক্কা ও ১০ চারে ১৫৪ রান করেন শন উইলিয়ামস। এই সংস্করণে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের আগের সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৫১ রানও আফগানিস্তানের বিপক্ষে, ২০২১ সালে আবু ধাবিতে।
চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক আরভিন করেন ১০ চারে ১০৪ রান। আর চমৎকার ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় টেস্টেই প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পান বেনেট। ৪টি ছক্কা ও ৫ চারে ১১০ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
টেস্টের এক ইনিংসে এনিয়ে তৃতীয়বার তিনটি সেঞ্চুরির দেখা পেল জিম্বাবুয়ে। আগের দুটি ছিল ১৯৯৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারারেতে এবং ২০০১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রামে।
১৪৫ রান নিয়ে খেলতে নামা উইলিয়ামসকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি নাভিদ জাদরান। ভাঙে আরভিনের সঙ্গে তার ১৬৩ রানের জুটি। ৪ উইকেটে ৩৬৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা জিম্বাবুয়েকে এরপর টানেন আরভিন ও বেনেট। তাদের যুগলবন্দিতে আসে ৮২ রান।
৫৬ রান নিয়ে খেলতে নামা আরভিন কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কে পা রাখেন ১৬৭ বলে। এরপর ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। জিয়া-উর-রেহমানের বলে বিদায় নেন কট বিহাইন্ড হয়ে। এক বল পর ব্র্যান্ডন মাভুটার স্টাম্প ভেঙে দেন জিয়া।
৭৭ বলে ফিফটি করে দ্রুত রান বাড়াতে থাকেন বেনেট। নাভিদকে পরপর তিন বলে মারেন এক চার ও দুই ছক্কা। প্রথম ছক্কায় তিন অঙ্কে পা রাখেন ২১ বছর বয়সী তরুণ। সেটি অবশ্য হতে পারত ক্যাচও। কিন্তু বল ধরে বাউন্ডারির বাইরে চলে যান ফিল্ডার।
ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অভিষিক্ত সেদিকউল্লাহ আতালকে হারায় আফগানিস্তান। দশম ওভারে ফিরতে পারতেন রেহমাত শাহও। কিন্তু গালিতে তার ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারেননি জিম্বাবুয়ের ডিওন মায়ার্স।
ভালো শুরু পাওয়া আব্দুল মালিক পারেননি ইনিংস বড় করতে। রেহমাত ও শাহিদির ব্যাটে দিনের বাকিটা কাটিয়ে দেয় আফগানরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ১৩৫.২ ওভারে ৫৮৬ (আগের দিন ৩৬৩/৪) (উইলিয়ামস ১৫৪, আরভিন ১০৪, বেনেট ১১০*, মাভুটা ০, নিয়ামহুরি ২৬, মুজারাবানি ১৯, গুয়ান্ডা ৩; নাভিদ ২৩-১-১০৯-২, ওমারজাই ১৯-১-৬৬-১, গাজানফার ৩০.২-৩-১২৭-৩, জাহির ২৮-০-১২৭-২, জিয়া ২৬-২-১০১-২, মালিক ৬-১-২৩-০, শাহিদি ৩-০-১৬-০)
আফগানিস্তান ১ম ইনিংস: ৩০ ওভারে ৯৫/২ (সেদিকউল্লাহ ৩, মালিক ২৩, রেহমাত ৪৯*, শাহিদি ১৬*; মুজারাবানি ৮-৩-১৫-১, গুয়ান্ডা ৪-০-১৬-১, নিয়ামহুরি ৪-০-১৫-০, উইলিয়ামস ৮-১-২৫-০, মাভুটা ৪-০-১৮-০, বেনেট ২-০-৩-০)