টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের ওপর নির্ভর করছে ইংল্যান্ডের সুপার এইটে যাওয়ার ভাগ্য।
Published : 16 Jun 2024, 05:18 AM
বৃষ্টির বাগড়ায় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ রূপ নিল টি-টেনে। হ্যারি ব্রুকের ঝড়ো ইনিংসে বড় পুঁজি পেল ইংল্যান্ড। বাকিটা সারলেন বোলাররা। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নামিবিয়াকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
অ্যান্টিগায় ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে ইংল্যান্ডের জয় ৪১ রানে।
এই ম্যাচ ভেস্তে গেলে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যেত ইংল্যান্ডের। একটা সময়ে তেমন শঙ্কাও জেগেছিল। স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে শনিবার বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শুরু হয় তিন ঘন্টা দেরিতে, বাংলাদেশ সময় রাত দুইটায়। শুরুতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ১১ ওভারে, পরে ১০ ওভারে। ইংল্যান্ড ৫ উইকেটে করে ১২২ রান।
নামিবিয়ার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৬। ৩ উইকেটে ৮৪ রানের বেশি করতে পারেনি আইসিসির সহযোগী দেশটি।
ইংল্যান্ডের জয়ের নায়ক ব্রুক। তিন নম্বরে নেমে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ২০ বলে ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। পরে দুটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ২৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
প্রথম তিন ম্যাচ জিতে, ৬ পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপ থেকে আগেই সুপার এইটে জায়গা করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৪ ম্যাচে দুই জয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠেছে ইংল্যান্ড। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে, নেট রানরেটে পিছিয়ে থেকে তিনে নেমে গেছে স্কটল্যান্ড।
গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ সময় রোববার ভোরে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে স্কটল্যান্ড। এই ম্যাচ অস্ট্রেলিয়া জিতলে তাদের সঙ্গে সুপার এইটে যাবে ইংল্যান্ড। আর যদি স্কটল্যান্ড জেতে কিংবা ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে পরের ধাপে চলে যাবে স্কটিশরা।
নামিবিয়া (২ পয়েন্ট) ও ওমানের (শূন্য পয়েন্ট) গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয় আগেই।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটা ছিল বাজে। প্রথম ওভারে স্রেফ ১ রান তুলতে পারা দলটি পরের দুই ওভারে হারায় দুই ওপেনারকে। জস বাটলারকে শূন্য রানে ফেরান রুবেন ট্রাম্পেলমান। দুটি চার মেরে বিদায় নেন ফিল সল্ট।
২ ওভারে স্রেফ ৬ রান দিয়ে সল্টের উইকেট নেন ডেভিড ভিসা।
তৃতীয় উইকেটে ৩০ বলে ৫৬ রানের বিস্ফোরক জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন জনি বেয়ারস্টো ও ব্রুক। ১৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ রান করেন ফেরেন বেয়ারস্টো।
৮ ওভারে ইংল্যান্ডের রান যখন ৩ উইকেটে ৮২, বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। খানিক পর আবার খেলা শুরু হলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে আরও এক ওভার।
বাকি দুই ওভারে ইংলিশরা তোলে ৪০ রান! ২টি করে ছক্কায় মইন আলি ৬ বলে ১৬, লিয়াম লিভিংস্টোন ৪ বলে ১৩ রান করেন।
লক্ষ্য তাড়ায় নামিবিয়া জয়ের আশা জাগাতে পারেনি কখনোই। প্রথম ৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারালেও, তারা তুলতে পারে মাত্র ৩৪ রান।
শেষ ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় ৪৬ রানে। জফ্রা আর্চার দেন কেবল ৪ রান, সঙ্গে নেন ভিসার (১২ বলে ২৭) উইকেট।
ওপেনার মাইকেল ফন লিনগেন সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন ২৯ বলে, ৩ ছক্কা ও এক চারে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ১০ ওভারে ১২২/৫ (সল্ট ১১, বাটলার ০, বেয়ারস্টো ৩১, ব্রুক ৪৭*, মইন ১৬, লিভিংস্টোন ১৩*; ভিসা ২-০-৬-১, ট্রাম্পেলমান ২-০-৩১-২, শুলজ ২-০-২৪-১, এরাসমাস ২-০-২৬-০, ব্রাসেল ২-০-৩২-০)
নামিবিয়া: (১০ ওভারে লক্ষ্য ১২৬) ১০ ওভারে ৮৪/৩ (লিনগেন ৩৩, ডেভিন ১৮, ভিসা ২৭, এরাসমাস ১*, স্মিট ০*; টপলি ২-০-৬-০, আর্চার ২-০-১৫-১, কারান ২-০-১৩-০, জর্ডান ২-০-১৯-১, রাশিদ ২-০-২৯-০)
ফল: ডিএলএস পদ্ধতিতে ইংল্যান্ড ৪১ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: হ্যারি ব্রুক