মিরপুরে টেস্ট মানেই সাধারণত দেখা যায় স্পিনারের মেলা। পেসাররা এখানে আড়ালের চরিত্র। কিন্তু এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্কোয়াড ব্যতিক্রম। ১৫ জনের দলে বিশেষজ্ঞ স্পিনার স্রেফ ২ জন, পেসার সেখানে ৫ জন! উইকেটের সম্ভাব্য আচরণ নিয়ে তাই প্রশ্নও জাগে অবধারিতভাবেই। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন অবশ্য কৌতূহলটাকে জিইয়ে রাখলেন রহস্যমাখা উত্তরে।
এই টেস্টের জন্য বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের দলে বড় চমক তরুণ পেসার মুশফিক হাসানের জায়গা পাওয়া। তরুণ ব্যাটসম্যান শাহাদাত হোসেনের নামটিও চোখে পড়ার মতো। চোটের কারণে সাকিব আল হাসানের না থাকা অবশ্য অনেকটাই অনুমিত ছিল। টেস্ট নেতৃত্বে লিটন কুমার দাসের অভিষেকও তাতে নিশ্চিত হলো। এছাড়াও নজর কাড়ার ব্যাপার আছে আরও কিছু। এসবের মধ্যেই উল্লেখযোগ্য দিক এই পেস ও স্পিনের সমন্বয়।
মিরপুরে বাংলাদেশ সবশেষ টেস্ট ম্যাচটি খেলেছে গত এপ্রিলের শুরুতে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সেই টেস্টের একাদশে ছিল তিন পেসার ও তিন স্পিনার। সাকিব থাকায় বাড়তি একজন স্পিনার কিংবা পেসার খেলানোর সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। এবার সাকিব নেই। গোটা স্কোয়াডেই স্পিনার কেবল মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে কথোপকথনে মিনহাজুল আবেদীন পুরোপুরি খোলাসা করতে চাইলেন না ২ স্পিনার ও ৫ পেসার রাখার কারণ।
“কারণ তো অবশ্যই আছে। আলোচনা করেই রাখা হয়েছে। কোনোরকম পরিকল্পনা না করে কী আমরা এগোচ্ছি নাকি…!”
আফগানদের মূল শক্তি স্পিন বোলিং। ২০১৯ সালে তো রশিদ খান ১১ উইকেট নিয়ে পর্যদুস্ত করেছিলেন বাংলাদেশকে। এছাড়াও কাইস আহমেদ, জহির খান, আমির হামজা, মুজিব-উর-রহমান, নূর আহমাদ, ভালো মানের স্পিনারের অভাব নেই তাদের।
আফগান স্পিনের কথা ভেবে এবার পেস বোলিং সহায়ক উইকেট রাখা হতে পারে কি না, সরাসরি এই প্রশ্নে প্রধান নির্বাচকের রহস্যভরা উত্তর, “দেখেন না কী হয় এবার …!”
পরে অবশ্য একটি কারণের কথা তিনি উল্লেখ করলেন, “এখন তো প্রচণ্ড গরম… টেস্টের আগে অনেক দিন আছে এখনও। ফিটনেস ইস্যু আছে। সব মিলিয়েই বাড়তি পেসার রেখেছি।”