পাকিস্তান-ইংল্যান্ড সিরিজ
কঠিন সময়ে জয়টি এসেছে বলেই বেশি খুশি পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ।
Published : 18 Oct 2024, 05:49 PM
দেশের মাটিতে টেস্ট জিততে যেন ভুলে গিয়েছিল পাকিস্তান। অবশেষে ঘুচেছে সাড়ে তিন বছরের বেশি সময়ের অপেক্ষা। মুলতানে দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং গুঁড়িয়ে ১১ ম্যাচ পর ঘরের মাঠে সাদা পোশাকে জয়ের দেখা পেয়েছে তারা। অধিনায়ক হিসেবে শান মাসুদ পেয়েছেন প্রথম জয়ের স্বাদ। অনেক কঠিন সময়ের মধ্যে এসেছে বলে এই জয়কে বিশেষ কিছু মনে হচ্ছে মাসুদের।
দ্বিতীয় টেস্টে শুক্রবার ইংল্যান্ডকে ১৫২ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা ফেরায় পাকিস্তান।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাওয়ালপিন্ডিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর এই প্রথম ঘরের মাঠে টেস্ট জিতল তারা। নেতৃত্বের প্রথম ছয় টেস্টেই হারের পর অবশেষে জয় পেলেন মাসুদ। গত বছর বাবর আজমের জায়গায় এই সংস্করণে অধিনায়কত্ব পান তিনি।
ঘরের মাঠে সবশেষ সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশড হয় পাকিস্তান। এরপর মুলতানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে সাড়ে পাঁচশ রান করেও তারা হেরে যায় ইনিংস ব্যবধানে।
মাসুদের কাছে এই জয় তাই কঠিন সময়ে স্বস্তির পরশ।
“আমার মনে হয়, প্রথম কিছু সবসময়ই স্পেশাল। কঠিন সময়ের পর এসেছে এই জয়... ছেলেদের প্রচেষ্টা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবেন না। তাদের নিবেদন এবং এর সঙ্গে সম্পৃক্ত কাউকে নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবেন না।”
“প্রত্যেকের জন্যই এটি বিশেষ কিছু, কারণ এটি কঠিন সময়ের পর এসেছে এবং এটিই আমাদের ক্ষুধার্ত রেখেছে। আমরা খুশি যে আমাদের পরিকল্পনা ঠিক রাখতে পেরেছি, ২০ উইকেট নিতে পেরেছি এবং প্রথম ও দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো রান করেছি।”
প্রথম টেস্টে হারের পর বাকি দুই ম্যাচের দল থেকে তারকা ব্যাটসম্যান বাবর এবং দুই পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহকে বাদ দেয় পাকিস্তান। তিন বিশেষজ্ঞ স্পিনারসহ একাদশে পাঁচ জন স্পিনার নিয়ে দ্বিতীয় টেস্টে নামে তারা। কাজ সেরে ফেলেন দুই স্পিনার মিলেই।
স্পিন সহায়ক উইকেটে দুই ইনিংস মিলিয়ে ইংল্যান্ডের ২০ উইকেটই নেন অফ স্পিনার সাজিদ খান ও বাঁহাতি স্পিনার নোমান আলি। ১৯৭২ সালের পর এই প্রথম কোনো টেস্টে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেটের সবকটি নিলেন দুই বোলার মিলে। ১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে সব মিলিয়ে এমন কিছু দেখা গেল এই নিয়ে স্রেফ সাতবার।
জয়ের খোঁজেই স্পিন সহায়ক উইকেটের কৌশল বেছে নেয় পাকিস্তান। স্পিনাররা কাজটা ঠিকঠাক করতে পারায় খুশি অধিনায়ক।
“মুলতানে আমরা খুব বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলিনি, একটি টেস্ট খেলেছিলাম দুই বছর আগে এবং সেখানে স্পিন ধরেছিল। তাই আমরা ভাবলাম, এমন কিছুর চেষ্টা কেন নয়?”
২৯৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় চতুর্থ দিন ১৪৪ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। এদিন সকালের সেশনেই তারা হারায় ৮ উইকেট।
আগামী বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডিতে শুরু হবে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টেস্ট।