Published : 30 Apr 2025, 08:16 PM
প্রশ্ন শুনে একটু অবাক কণ্ঠে নাজমুল হোসেন শান্তর পাল্টা প্রশ্ন, “আমরা ছয় টেস্ট পর জিতলাম নাকি…?” তাকে তখন বলা হলো, দেশের মাঠে টানা ছয় টেস্ট হারার পর জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। অধিনায়ক তখন বুঝতে পারলেন। জয়ের স্বস্তির কথাও তিনি বললেন। তবে এমন বিশাল জয় তাকে তৃপ্ত করতে পারছে না। সিলেট টেস্টের পরাজয় এখনও যে কাঁটা হয়ে বিঁধছে তার হৃদয়ে!
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তির সুযোগ এমনিতেই খুব বেশি ছিল না। বরং দুই টেস্টে বিশাল ব্যবধানে জয়ই ছিল প্রত্যাশিত। সেখানে প্রথম টেস্টে হেরে বসেন শান্তরা।
গত বছর শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দেশের মাঠে হোয়াইটওয়াশড হয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে জয়ের পর দ্বিতীয় টেস্টে হারতে হয়েছিল। সেখান থেকে এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হার। টানা ছয় হারের এই ধারায় জিম্বাবুয়ের কাছে হারটি ছিল যেন নতুন তলানিতে পৌঁছে যাওয়া।
অবশেষে সেই ধারা শেষ করতে পেরেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্টে তিন দিনেই জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিয়েছে ইনিংস ব্যবধানে।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বললেন, এমন বড় জয়েও প্রথম ম্যাচের হারকে ভুলতে পারছেন না তিনি।
“সত্যি বলতে, আমি খুব বেশি খুশি নই, যদি আপনি দুই ম্যাচের কথা বলেন। আরও ভালো ক্রিকেট খেলা উচিত ছিল, সিরিজটা আমাদের জেতা উচিত ছিল। ওইভাবে চিন্তা করলে আমরা প্রথম ম্যাচটায় মোটেও ভালো খেলতে পারিনি। এই ম্যাচে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি।”
দেশের মাঠে ব্যর্থতার এই সময়টায় পাকিস্তানে গিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে এসেছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে প্রথম টেস্টে হারলেও পরের টেস্টে দারুণ এক জয় পেয়েছে খর্বশক্তির দল নিয়েও। দলের সামর্থ্য নিয়ে তাই সংশয় জাগেনি শান্তর মনে।
তবে সিলেটে পরাজয়ের পর অধিনায়কের চাওয়া ছিল চট্টগ্রামে সামর্থ্য মেলে ধরা।
“প্রথম টেস্ট ম্যাচটিতে খুব খারাপ খেলেছি, খুবই খারাপ। আমার মনে হয় যে, ওই জায়গা থেকে এমন ছিল না যে এই টেস্ট ম্যাচটি জিততেই হবে বা অনেক বড় ব্যবধানে জিততে হবে। আমরা যেটা চেষ্টা করেছি যে, আমাদের সামর্থ্য কতটুকু, আমরা কতটা পারি… (সেটা যেন মেলে ধরতে পারি)।”
“ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে ওদের বিপক্ষে টেস্ট জিতেছি আমরা, পাকিস্তানের মতো জায়গায় টেস্ট সিরিজ জিতেছি, আমাদের ওই সামর্থ্য আছে। আমরা ওই ব্যাপারটিই এই ম্যাচ শুরুর আগে চিন্তা করেছি যে, আমাদের যে সামর্থ্য আছে, যে মানের ক্রিকেট আমরা খেলতে পারি, ওই মানের ক্রিকেটই যেন আমরা খেলি। আমার কাছে মনে হয়, যেভাবে আমরা এই ম্যাচ খেলেছি, আমাদের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী খেলতে পেরেছি।”
বাংলাদেশের পরের টেস্ট চ্যালেঞ্জ আগামী জুনে শ্রীলঙ্কা সফরে। সেই সফর দিয়ে শুরু টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র। এর আগে মে মাসে পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি সিরিজের সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। দুই টি-টোয়েন্টির ছোট্ট একটি সফর হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাতেও।