কামরান আকমলের মতে, পাকিস্তান দল নির্বাচন করা হয় পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতে।
Published : 05 Apr 2023, 04:10 PM
প্রায় ৪ বছর ধরে জাতীয় দলের বাইরে উমর আকমল। সুযোগের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান। কিন্তু তার সেই অপেক্ষার যেন শেষ নেই। নিউ জিল্যান্ড সিরিজের জন্য ঘোষিত দলেও উমরকে না দেখে বেজায় চটেছেন কামরান আকমল। সাবেক এই কিপার-ব্যাটসম্যানের মতে, ম্যানেজমেন্টের তোষামোদ না করার কারণে সুযোগ মিলছে না তার ছোট ভাইয়ের।
পাকিস্তানের জার্সি গায়ে উমর সবশেষ মাঠে নামেন ২০১৯ সালের অক্টোবরে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে। জাতীয় দলের হয়ে এই সংস্করণে ৮৪ ম্যাচ খেলে ১২২.৭৩ স্ট্রাইক রেটে তার রান ১ হাজার ৬৯০।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ২৭১ ম্যাচে ১৩১.৯৬ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৫ হাজার ৭২৬ রান। এক সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি আছে ৩৪টি।
পিএসএলের সবশেষ দুই আসরে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে খেলেছেন উমর। ২০২২ সালে ৫ ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ১ ফিফটিতে করেন তিনি ১০১ রান। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৭৪.১৩। ২০২৩ আসরে ৫ ইনিংস ব্যাটিং করে ১৮৬.২৭ স্ট্রাইক রেটে করেন ৯৫ রান।
টি-টোয়েন্টিতে রয়ে-সয়ে খেলার সুযোগ নেই বললেই চলে। সেখানে ফিনিশারদের তো একটি বলও নষ্ট করা উপায় নেই। সেই দায়িত্ব পালন করা উমর বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও রাখেন কার্যকর ভূমিকা। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সেটাই তুলে ধরতে চাইলেন কামরান। তার মতে, টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ প্রাপ্য তার ভাইয়ের।
“আমি উমরের কথা বলছি। তারা টি-টোয়েন্টি দল দিয়েছে কিন্তু সেখানে উমরকে রাখেনি; কেন? সে গত বছর ও এই বছরের পিএসএলে কঠিন পরিস্থিতিতে খেলেছে। যখনই তাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, সীমিত বল বা ওভারের মধ্যেও নিজের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।”
“এসব আমার ব্যাখ্যা করা বা কাউকে বলার দরকার নেই। সত্যিটা সবাই জানে। তবু আমি এখনও বুঝতে পারছি না কেন তাকে জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, বিশেষ করে যে ব্যাটিং পজিশনে প্রায় প্রতিটি খেলোয়াড়কে পরখ করা হয়েছে।”
কামরান মতে, পারফরম্যান্স নয়, পাকিস্তান দল নির্বাচন করা হয় পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতে।
“ওইসব ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স সবার সমানে পরিষ্কার। এরপরও উমরকে দলে ডাকা হচ্ছে না, কারণ কি সে নির্বাচক কমিটির পছন্দের তালিকায় নেই? উমর অন্যদের চেয়ে কম হাইপ তুলতে পারে, নাকি সে দলের জন্য খেলে এই কারণে? অথবা কারণ হতে পারে সে আপনাদের ভালোভাবে অভিবাদন জানায় না, তোষামোদ করার জন্য অনেক সময় ব্যয় করে না-তাকে জাতীয় দলে না রাখার পেছনে আমি কেবল এসবকেই কারণ হিসেবে নিতে পারি।”
“এটা একদম পরিষ্কার যে, এখানে পারফরম্যান্স নির্ণায়ক নয়, যেহেতু ৩০, ৩২ রান যাদের সর্বোচ্চ তারা এখনও দলের অংশ। এটা আসলে উমরের সঙ্গে ন্যায়বিচার হচ্ছে না। আমি চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাচক হারুন রশিদকে অনুরোধ করব, এটা নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে ও বিবেচনা করতে।”