বিপিএলে আড়াইশর বেশি স্ট্রাইক রেটে পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস খেলা বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলাম।
Published : 31 Dec 2024, 02:35 PM
৩৪ বল বাকি থাকতে মাহিদুল ইসলাম যখন ব্যাটিংয়ে নামলেন, তখনও ১২০ হয়নি খুলনা টাইগার্সের রান। ১৮০ রান তখন অনেক দূরের পথ। কিন্তু এতটাই উত্তাল হয়ে উঠল মাহিদুলের ব্যাট, এবারের বিপিএলের প্রথম দল হিসেবে দুইশ ছাড়িয়ে গেল খুলনা।
বিপিএলের নতুন আসরের দ্বিতীয় দিনে সোমবার বিধ্বংসী ইনিংসটি খেলেন মাহিদুল। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চিটাগং কিংসের বোলারদের তুলাধুনা করে মাত্র ১৮ বলে ফিফটি করেন তিনি।
তার ইনিংস চার কেবল একটি, কিন্তু ছক্কা ছয়টি। ২২ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন খুলনার উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
ফ্র্যাঞ্চাইজি এই টুর্নামেন্টটিতে এটিই বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের দ্রুততম ফিফটি। ২০২৩ সালে রংপুর রাইডার্সের হয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ১৯ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেছিলেন রনি তালুকদার।
এছাড়া সব মিলিয়ে বিপিএলে এর চেয়ে কম বলে ফিফটি আছে আর মাত্র দুজনের- সুনিল নারাইন (১৩ বলে) ও উইল জ্যাকস (১৬ বলে)। হোম অব ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে মাহিদুলের চেয়ে দ্রুত ফিফটি শুধু নারাইনের।
কিংসের বোলারদের মধ্যে শরিফুল ইসলামকেই সবচেয়ে বেশি পছন্দ ছিল মাহিদুলের। জাতীয় দলের এই পেসারের এক ওভারে তিন ছক্কাসহ বাঁহাতি পেসারের ৯ বলে মোট ৪টি ছক্কায় তিনি করেন ৩০ রান। এছাড়া বাকি দুই ছক্কা মারেন শামীম হোসেনের বলে।
১৫তম ওভারে ক্রিজে যান মাহিদুল। পরের ওভারে শামীমের অফ স্পিনে পরপর মারেন দুই ছক্কা। শরিফুল নতুন স্পেলে ফেরার পর তাকেও দুই ছক্কায় স্বাগত জানান ২৫ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। ওই ওভারে লো ফুল টস বল চমৎকার শটে আরেকটি ছক্কায় ওড়ান তিনি।
শরিফুলের পরের ওভারের প্রথম দুই বলে ছক্কা-চার মেরে পঞ্চাশের দুয়ারে পৌছান মাহিদুল। পরের বলে এক রান নিয়ে পূর্ণ করেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি।
ইনিংসের শেষ ওভারে লং অফের দিকে খেলে দুই রান নেন তিনি। সীমানার কাছাকাছি থেকে শেখ পারভেজ রহমানের থ্রো ধরতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুন। পরে ফাইন লেগের ফিল্ডারও ছেড়ে দেন বল। ফলে বাড়তি ৪ রান পেয়ে যান মাহিদুল।
শেষ পর্যন্ত ২৬৮.১৮ স্ট্রাইক রেট নিয়ে মাঠ ছাড়েন মাহিদুল। বিপিএলে আড়াইশর বেশি স্ট্রাইক রেটে পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস খেলা বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান তিনি। গত আসরে রংপুর রাইডার্সের হয়ে ২৪৫.৮৩ স্ট্রাইক রেটে ২৪ বলে ৫৯ রান করেছিলেন শামীম।
বিধ্বংসী ইনিংস খেলার পথে সঙ্গী হিসেবে উইলিয়াম বোসিস্টোকে পান মাহিদুল। দুজনের ৩৫ বলে ৮৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৪ উইকেটে ২০৩ রানের সংগ্রহ পায় খুলনা। প্রায় চার বছর পর স্বীকৃত ক্রিকেট খেলতে নামা বোসিস্টো ৫০ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানের প্রথম টি-টোয়েন্টি ফিফটি এটি।