বিপিএলে বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে সেরা বোলিংয়ের কীর্তি গড়লেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের তরুণ পেসার।
Published : 07 Feb 2023, 08:06 PM
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বোলিং আক্রমণ এ দিন তারা ঝলমলে। আন্দ্রে রাসেল, সুনিল নারাইনরা মৌসুমে প্রথমবার মাঠে নেমেছেন, দেশের তারকা মুস্তাফিজুর রহমান তো আছেনই। কিন্তু তাদেরকে ছাপিয়ে চোখধাঁধানো সব আলোর উৎস হয়ে উঠলেন মুকিদুল ইসলাম। ২২ বছর বয়সী পেসার গড়লেন বিপিএলের সব আসর মিলিয়ে বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে সেরা বোলিংয়ের কীর্তি।
ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে এই ম্যাচের আগে এই আসরে খুব ভালো ছিল না মুকিদুলের পারফরম্যান্স। ৫ ম্যাচ খেলে নিতে পেরেছিলেন মোট ৪ উইকেট। সেই তিনি এক ম্যাচই ছাড়িয়ে গেলেন আগের সব ম্যাচকে। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতের ম্যাচে তিনি ৩.১ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট।
বিপিএলে বাংলাদেশের কোনো পেসারের আগের সেরা বোলিং ছিল শফিউল ইসলামের ২৬ রানে ৫ উইকেট।
৩৯ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের এই ম্যাচের আগে ৫ উইকেট তো দূরের কথা, ৪ উইকেটও ছিল না মুকিদুলের।
এবার নিজের অর্জনের পাশাপাশি চলতি আসরের খরাও কাটালেন তিনি। এবারের বিপিএলের ৩৮তম ম্যাচে এসে প্রথমবার কোনো বোলার পেলেন ৫ উইকেট। নাহিদুল ইসলামের ৬ রানে ৪ উইকেট ছিল এই আসরের আগের সেরা বোলিং।
অথচ ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে এই ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে বোলিংই পাননি মুকিদুল। রাসেলকে দিয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু করে কুমিল্লা। পাওয়ার প্লেতে নারাইন, মুস্তাফিজ, তানভির ইসলামও হাত ঘুরিয়ে ফেলেন। কুমিল্লা শুরুটাও পায় ভালো। ৬ ওভারে বরিশাল তোলে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৪ রান।
সপ্তম ওভারে আক্রমণে এসে প্রতিপক্ষকে আরও চেপে ধরেন মুকিদুল। নিজের প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দেন বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। তার ওই স্পেল শেষ ১ ওভারেই।
দ্বিতীয় স্পেলে ফেরানো হয় তাকে একাদশ ওভারে। এবার প্রথম বলে চার হজম করলেও পরের বলেই ধরে ফেলেন আরেকটি বড় শিকার। সাকিবের মতোই বল স্টাম্পে টেনে আনেন ২৬ বলে ৩৬ রান করা মাহমুদউল্লাহ। এবারও তার স্পেল ওই এক ওভারের।
মাইলফলকের দিকে এগিয়ে যান তিনি স্লগ ওভারে শেষ স্পেলে ফিরে। অষ্টাদশ ওভারে পরপর দুই বলে তার শিকার করিম জানাত ও মোহাম্মদ ওয়াসিম। এরপর শেষ ওভারে চতুরাঙ্গা ডি সিলভাকে বিদায় করে গুটিয়ে দেন বরিশালের ইনিংস, পূর্ণ করেন নিজের ৫ উইকেটও।
মুকিদুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বরিশাল গুটিয়ে যায় ১২১ রানেই।
মুকিদুল ও শফিউল ছাড়া বিপিএলে বাংলাদেশি পেসারদের মধ্যে ৫ উইকেট আছে মুস্তাফিজুর রহমান (৫/২৭), আবুল হাসান (৫/২৮), তাসকিন আহমেদ (৫/৩১) ও আল আমিন হোসেনের (৫/৩৬)।