টানা দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়ে ফিরতে হলো এইডেন মারক্রামকে। অল্পের জন্য শতক না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়লেন টনি ডি জরজিও। এই দুই জনের দারুণ দুটি ইনিংসের পর শেষ বেলায় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জোহানেসবার্গ টেস্টের প্রথম দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩১১ রান।
টপ অর্ডারের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ভালো করতে পারেননি পরের ব্যাটসম্যানরা। এক পর্যায়ে ২ উইকেটে ২৪৮ রান ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। এরপর ৬৩ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারায় তারা। দিনের শেষ দিকে ৩ উইকেট হারায় ২৫ রানে।
সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১১৫ রান করা মারক্রামকে এবার থামতে হয় ১৭ চারে ৯৬ রানে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টেই শতকের আশা জাগানো জরজি করেন ১১ চারে ৮৫। ডিন এলগারের ব্যাট থেকে আসে ৭ চারে ৪২ রান।
আগের টেস্টের একাদশ থেকে চারটি পরিবর্তন এনেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কেশভ মহারাজ ও সাইমন হার্মারকে এক সঙ্গে একাদশে রেখে বিরল ঘটনার জন্ম দিয়েছে তারা। ১৯৬৫ সালের পর জোহানেসবার্গে এক টেস্টে দুই স্পিনারকে খেলাচ্ছে দলটি।
এতেই ধারণা পাওয়া যাচ্ছে, সময়ের সঙ্গে উইকেট সাহায্য করবে স্পিনারদের। প্রথম দিনেই অবশ্য দেখা গেছে সেই ইঙ্গিত। দক্ষিণ আফ্রিকার ৩ উইকেট নেন ক্যারিবিয়ান বাঁহাতি স্পিনার গুডাকেশ মোটি।
টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে এ দিন দারুণ শুরু এনে দেন এলগার ও মারক্রাম। তাদের ৭৬ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মোটি। তার বলে শর্ট ফাইন লেগে ধরা পড়েন এলগার।
এরপর দলকে টানেন মারক্রাম ও জরজি। এই দুই জনের ব্যাটে প্রথম সেশন পার করে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬৮ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন মারক্রাম। প্রথম টেস্ট ফিফটিতে জরজি পা রাখেন ৮২ বলে।
জমে যাওয়া ১১৬ রানের জুটি ভাঙে মারক্রামের বিদায়ে। মোটিকে সুইপ করতে গিয়ে স্লিপে ধরা পড়েন এই ওপেনার। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে নিয়ে দ্বিতীয় সেশন কাটিয়ে দেন জরজি।
শেষ সেশনে এসে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাভুমাকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান জেসন হোল্ডার। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে জরজিকে বোল্ড করেন মোটি।
দলে ফেরা রায়ান রিকেলটন, ভিয়ান মুল্ডার, হার্মার করতে পারেননি কিছু। এক প্রান্ত আগলে রেখে ১৭ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন হাইনরিখ ক্লসেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৮৯.২ ওভারে ৩১১/৭ (এলগার ৪২, মারক্রাম ৯৬, জরজি ৮৫, বাভুমা ২৮, রিকেলটন ২২, ক্লসেন ১৭*, মুল্ডার ১২, হার্মার ১; রোচ ১৬-৩-৫৫-০, জোসেফ ১৭-২-৫৯-১, মেয়ার্স ৭.২-০-২৪-২, হোল্ডার ১৬-৫-৩৯-১, মোটি ১৯-৩-৭৫-৩, চেইস ১৪-২-৫৪-০)