রেকর্ড গড়া বছরকে সামনেও বয়ে নিতে চান লিটন

এই বছরের অসাধারণ সাফল্য পরের বছরও ধরে রাখতে চান বাংলাদেশ টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Dec 2022, 02:59 PM
Updated : 24 Dec 2022, 02:59 PM

বাংলাদেশের হয়ে এক বছরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড আগেই নিজের করে নিয়েছিলেন লিটন দাস। ভারতের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে তা সমৃদ্ধ করলেন আরও। সঙ্গে গড়লেন এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ফিফটির রেকর্ডও। দারুণ ব্যাটিং করা এ বছরে দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের তালিকায়ও নিজের নাম তুলেছেন তিনি। সাফল্যমণ্ডিত এই বছরের ধারাবাহিকতা সামনের বছরেও টেনে নিতে চান বাংলাদেশ টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক।  

২০২২ সালে নিজের শেষ আন্তর্জাতিক ইনিংসে শনিবার ভারতের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে ৭৩ রান করেন লিটন। তিন সংস্করণ মিলে এই বছর তার সংগ্রহ ১ হাজার ৯২১ রান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অবস্থান দ্বিতীয়। লিটনের চেয়ে বেশি রান করতে পেরেছেন কেবল বাবর আজম। পাকিস্তান অধিনায়কের নামের পাশে রান ২ হাজার ৪২৩ রান।  

বিশ্ব ক্রিকেটে না পারলেও, দেশের ক্রিকেটে এক বছর সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডে মুশফিকুর রহিমকে দুইয়ে নামিয়েছেন লিটন। ২০১৮ সালে তিন সংস্করণ মিলে মুশফিক করেছিলেন ১ হাজার ৬৫৭ রান। 

মুশফিক-লিটন ছাড়া এক বছরে বাংলাদেশের হয়ে অন্তত ১৫শ রান করার কৃতিত্ব দেখাতে পেরেছেন শুধু তামিম ইকবাল। তিনি ২০১০ সালে ১১ ফিফটি ও ৪ সেঞ্চুরিতে এই ওপেনার করেন ১ হাজার ৬৪৬ রান। 

এই বছর ১ হাজার ৯২১ রান করার পথে লিটন ৩ সেঞ্চুরির সঙ্গে করেন ১৩টি ফিফটি। সব মিলিয়ে ১৬টি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলে তিনি ভেঙে দেন তামিমের ২০১০ সালের রেকর্ড।   

রেকর্ড গড়া এই বছরের শেষ ইনিংস খেলার পর সংবাদ সম্মেলনে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ লিটন বলেন, এই পথ ধরেই তিনি ছুটতে চান আরও সামনে। 

“কোনো জায়গায় পৌঁছানোর পর ওটা ধরে রাখা খুব চ্যালেঞ্জিং। অবশ্যই আমার জন্য খুব ভালো যে ভগবান আমাকে এই সুযোগটা দিয়েছেন। আমি কৃতজ্ঞ, ২০২২ সালটা আমার করতে পেরেছি। চেষ্টা করব সেরাটা দিয়ে ২০২৩ সালটাও যেন ভালো শুরু করতে পারি এবং শেষ করতে পারি।” 

২০২১ সালেও তিন সংস্করণ মিলে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫৮ রান করেছিলেন লিটন। তবে একটা সময় রানের এই ধারা ছিল না তার ব্যাটে। তখন সমালোচনার স্রোত ধেয়ে এসেছে তার দিকে। 

ওই বছরেও ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও পরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রান না পাওয়ায় সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হন তিনি। 

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই অবশ্য এই ধরনের সমালোচনা ছিল তার সঙ্গী। সেই আঁধার পেরিয়ে এখন বসন্তের সুবাতাস বইছে লিটনের ব্যাটে। এখান থেকে ধারাবাহিকতা ধরে রাখাই বাংলাদেশের টেস্ট দলের সহ-অধিনায়কের মূল লক্ষ্য।  

“সমালোচনা হবেই। নামের সঙ্গে (ক্রিকেটার) ট্যাগ থাকলে মানুষ প্রশংসা করবে, খারাপও বলবে। এটা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। আমি অবশ্যই চেষ্টা করব জায়গা ধরে রাখার জন্য। তবে এটি অনেক কঠিন। প্রতি বছরই আপনি ঐ পর্যায়ে যেতে পারবেন না। আমি নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করব সফল হওয়ার।”