টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে শিরোপাধারী ইংল্যান্ডকে ৬৮ রানে হারিয়েছে রোহিত শার্মার দল।
Published : 27 Jun 2024, 07:55 PM
ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে ফাইনালে ভারত
জাসপ্রতি বুমরাহর বলটি স্কুপ করার চেষ্টা করলেন জফ্রা আর্চার। ব্যাটে খেলতে পারলেন না তিনি। বল ছোবল দেয় তার প্যাডে। ভারতের আবেদনে আম্পায়ার দেন আউট। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন আর্চার। কিন্তু বাঁচতে পারেননি তিনি। তাকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় ভারত।
গায়ানায় বৃহস্পতিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৬৮ রানে হারায় ভারত। ১৭১ রানের পুঁজি গড়ে শিরোপাধারীদের গুটিয়ে দেয় তারা কেবল ১০৩ রানে।
এনিয়ে তৃতীয়বার বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠল ভারত। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই ফাইনাল খেলে তারা ঘরে তোলে শিরোপা। ২০১৪ আসরে ফাইনাল খেললেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারে দলটি।
শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা; যারা সাদা বলের দুই সংস্করণের বিশ্বকাপ মিলিয়ে প্রথমবার লড়বে ফাইনালের মঞ্চে।
ভারতের এই জয়ের নায়ক আকসার প্যাটেল। ২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন বাঁহাতি এই স্পিনার। অবদান কম নয় কুলদিপ ইয়াদাভের। বাঁহাতি এই রিস্ট স্পিনারের শিকার ১৯ রানে তিনটি। দুই উইকেট নেন জাসপ্রিত বুমরাহ।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ভারতকে লড়ার পুঁজি এনে দেওয়ার পথে ৫৭ রান করেন রোহিত শার্মা। ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ।
রান তাড়ায় ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানের মধ্যে ত্রিশ রানও করতে পারেননি কেউ। সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন হ্যারি ব্রুক। জস বাটলার করেন ২৩, দুই ছক্কায় জফ্রা আর্চার ২১।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ২০ ওভারে ১৭১/৭ (রোহিত ৫৭, কোহলি ৯, পান্ত ৪, সুরিয়াকুমার ৪৭, পান্ডিয়া ২৩, জাদেজা ১৭*, দুবে ০, আকসার ১০, আর্শদিপ ১*; টপলি ৩-০-২৫-১, আর্চার ৪-০-৩৩-১, কারান ২-০-২৫-১, রাশিদ ৪-০-২৫-১, জর্ডান ৩-০-৩৭-৩, লিভিংস্টোন ৪-০-২৪-০)
ইংল্যান্ড: ১৬.৪ ওভারে ১০৩ (সল্ট ৫, বাটলার ২৩, মইন ৮, বেয়ারস্টো ০, ব্রুক ২৫, কারান ২, লিভিংস্টোন ১১, জর্ডান ১, আর্চার ২১, রাশিদ ২, টপলি ৩*; আর্শদিপ ২-০-১৭-০, বুমরাহ ২.৪-০-১২-২, আকসার ৪-০-২৩-৩, কুলদিপ ৪-০-১৯-৩, জাদেজা ৩-০-১৬-০, পান্ডিয়া ১-০-১৪-০)
ফল: ভারত ৬৮ রানে জয়ী
সুরিয়াকুমারের সরাসরি থ্রোয়ে ফিরলেন রাশিদ
লিয়াম লিভিংস্টোনের পর রান আউটে কাটা পড়লেন আদিল রাশিদ। সুরিয়াকুমার ইয়াদাভের দুর্দান্ত থ্রোয়ে বিদায় নিলেন নিলেন তিনি।
লেগ সাইডে ঠেলে রান নেওয়ার জন্য দৌড় দেন রাশিদ। মিডউইকেটে থাকা সুরিয়াকুমার কিছুটা তার বাঁদিকে দৌড়ে বল ধরে ঘুরে থ্রো করেন নন স্ট্রাইক প্রান্তে। বল স্টাম্পে যখন ছোবল দেয় ততক্ষণে ক্রিজ থেকে অনেক দূরে রাশিদ।
২ রান করে ফিরলেন রাশিদ।
লিভিংস্টোনের বিদায়ে হারের দুয়ারে ইংল্যান্ড
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে একপ্রান্ত ধরে রেখেছিলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। তার ব্যাট থেকে অবিশ্বাস্য কিছুর আশায় ছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু বিশেষজ্ঞ শেষ ব্যাটসম্যানকেও হারিয়ে নিভে গেল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের আশার বাতি।
রান আউট হয়ে ১১ রান করে ফিরলেন লিভিংস্টোন। আকসার প্যাটেলের বলটি ব্যাটে ঠিকমতো লাগাতে পারেননি জফ্রা আর্চার। বল যায় শর্ট ফাইন লেগে। দৌড়ে রান নেওয়ার চেষ্টা করেন লিভিংস্টোন। মাঝ ক্রিজ থেকে তাকে ফেরত পাঠান আর্চার।
কিন্তু ততক্ষণে বল ধরে নন স্ট্রাইক প্রান্তে থ্রো করেন কুলদিপ ইয়াদাভ। সহজে স্টাম্প ভেঙে দেন আকসার। ৮৬ রানে অষ্টম উইকেট হারাল ইংল্যান্ড।
কুলদিপের তৃতীয় শিকার জর্ডান
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েই চলছে ইংল্যান্ড। দলটির হাল ধরতে পারছেন না কেউই। ক্রিস জর্ডানকে ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপাধারীদের আরও চেপে ধরলেন কুলদিপ ইয়াদাভ।
বাঁহাতি এই রিস্ট স্পিনারের বলটি ব্যাকফুটে গিয়ে খেলার চেষ্টা করেন জর্ডান। কিন্তু বলের লাইনে ব্যাট চালাতে পারেননি তিনি। ভেতরে ঢোকা বল ছোবল দেয় তার প্যাডে। ভারতীয়দের আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।
রিভিউ নেন জর্ডান। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। রিপ্লেতে দেখা যায় তার বল লাগত লেগ স্টাম্পের বাইরের পাশে। আম্পায়ার্স কলে ৫ বলে ১ রান করে ফেরেন তিনি।
দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪ ওভারে ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে নিজের বোলিং শেষ করেন কুলদিপ।
৭২ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়ে কাঁপছে ইংল্যান্ড। চোখ রাঙাচ্ছে তাদের বড় পরাজয়। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমেছেন জফ্রা আর্চার। তার সঙ্গে আছেন লিয়াম লিভিংস্টোন।
উইকেট বিলিয়ে এলেন ব্রুক
আগের বলেই রিভার্স সুইপ করে চার মারলেন হ্যারি ব্রুক। একই শট খেলার চেষ্টায় পরের বলেই হলেন ব্যর্থ। কুলদিপ ইয়াদাভের বলের লাইন মিস করে ভাঙল তার স্টাম্প।
তিনটি চারে ১৯ বলে ২৫ রান করে ফেরেন ব্রুক। চমৎকার বোলিংয়ে নিজের দ্বিতীয় শিকার ধরেন বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার কুলদিপ।
৬৮ রানে ৬ উইকেট হারালো ইংল্যান্ড। ক্রিজে লিয়াম লিভিংস্টোনের সঙ্গী ক্রিস জর্ডান।
কুলদিপের শিকার কারান
আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দিয়েছেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। টিকতে পারছেন না কেউই। এবার কুলদিপ ইয়াদাভের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরলেন স্যাম কারান।
বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার কুলদিপকে লেগ সাইডে খেলার চেষ্টা করেন কারান। কিন্তু ব্যাটে-বলে করতে পারেননি তিনি। বল ছোবল দেয় প্যাডে। আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।
রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি কারান। আউট হয়েছেন ধরে নিয়ে আগেই তিনি ড্রেসিং রুমের পথে হাঁটা শুরু করেন। রিপ্লিতে দেখা যায় বল ছোবল দিত তার স্টাম্পে।
৪ বলে ২ রান করে ফেরেন কারান। ৪৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় শিরোপাধারীরা।
ক্রিজে হ্যারি ব্রুকের সঙ্গী লিয়াম লিভিংস্টোন।
স্টাম্পড হয়ে মইনের বিদায়
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে রান তাড়া করতে নামা ইংল্যান্ড একের পর এক উইকেট হারাচ্ছে। দ্রুত তিন উইকেট হারানো দলটিকে আরও বিপদে ফেলে ফিরলেন মইন আলি।
আকসার প্যাটেলের বল লেগ সাইডে খেলার চেষ্টায় ব্যাটে খেলতে পারেননি মইন। বল লাগে তার প্যাডে। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যান মইন। কিন্তু বলে ছিল স্টাম্পের খুব কাছেই, সেটা খেয়াল করেননি তিনি। দ্রুত বল ধরে স্টাম্প ভেঙে দেন রিশাভ পান্ত।
১০ বলে ৮ রান করে ফিরলেন মইন। বাঁহাতি স্পিনার আকসারের তৃতীয় শিকার তিনি।
১৭২ রানের লক্ষ্যে নেমে ৮ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের রান ৪ উইকেটে ৪৯। উইকেটে হ্যারি ব্রুকের সঙ্গী স্যাম কারান।
প্রথম তিন ওভার শেষে ২৬ রান করা ইংল্যান্ড পরের তিন ওভারে হারায় তিন উইকেট। পাওয়ার প্লে শেষ করে তারা ৩ উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে।
পাওয়ার প্লেতে ভারতের ৩ সাফল্য
শুরুটা ভালোই করেছিল ইংল্যান্ড। আর্শদিপ সিংয়ের করা প্রথম ওভারটি দেখে খেলার পর জাসপ্রিত বুমরাহকেও সমীহ করে তারা। তৃতীয় ওভারে আর্শদিপকে তিন চার মেরে দারুণ কিছুর আভাস দেন জস বাটলার। কিন্তু এরপরই বিপাকে পড়ে তারা।
প্রথম তিন ওভার শেষে ২৬ রান করা ইংল্যান্ড পরের তিন ওভারে হারায় তিন উইকেট। পাওয়ার প্লে শেষ করে তারা ৩ উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে।
আকসার প্যাটেলের বলে রিভার্স সুইপ করে ক্যাচ তুলে দেন বাটলার। পরে বুমরাহ বোল্ড করে দেন ফিল সল্টকে। আকসারের পরের ওভারে স্টাম্প হারান জনি বেয়ারস্টো।
বেয়ারস্টোকে হারিয়ে চাপে ইংল্যান্ড
পরপর তিন ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়ল ইংল্যান্ড। জস বাটলারের পর এবার জনি বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে দিলেন আকসার প্যাটেল। মাঝে জাসপ্রতি বুমরাহ বিদায় করেন ফিল সল্টকে।
আকসারের বলটি পা বাড়িয়ে ড্রাইভ করার চেষ্টা করেন বেয়ারস্টো। কিন্তু বলের লাইন মিস করেন তিনি। বল তার ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে ছোবল দেয় স্টাম্পে।
রানের খাতা খোলার আগেই ফিরলেন ৩ বল খেলা বেয়ারস্টো।
সল্টের স্টাম্প উড়ালেন বুমরাহ
জস বাটলারকে হারানোর ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই আরেকটি হোঁচট খেল ইংল্যান্ড। দলকে আরও বিপদে ফেলে বিদায় নিলেন দলটির ছন্দে থাকা ওপেনার ফিল সল্ট। তার স্টাম্প উড়িয়ে ম্যাচে নিজের প্রথম শিকার ধরলেন জাসপ্রিত বুমরাহ।
আগের বলটি গতিতে করেন বুমরাহ। সেই আশায়ই হয়তো ছিলেন সল্ট। বুমরাহর ওপর চড়াও হতে যান তিনি। কিন্তু ভারতীয় পেসার করেন স্লোয়ার। উড়িয়ে খেলার চেষ্টায় বলের লাইন মিস করেন সল্ট। বল ছোবল দেয় তার লেগ স্টাম্পে।
৮ বলে ৫ রান করে ফিরলেন সল্ট।
বাটলারের দ্রুত বিদায়
আর্শদিপ প্যাটেলকে তিন চার মেরে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন জস বাটলার। কিন্তু নিজের ইনিংসকে টেনে নিতে পারলেন না ইংলিশ অধিনায়ক। তাকে ফিরিয়ে ভারত প্রথম সাফল্য এনে দিলেন আকসার প্যাটেল।
পাওয়ার প্লের চতুর্থ ওভারে আক্রমণে আসসা আকসারকে প্রথম বলেই রিভার্স সুইপ করেন বাটলার। কিন্তু ব্যাটে-বলে করতে পারেননি তিনি। তার গ্লাভসে লেগে বল উঠে যায় উপরে। উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান রিশাভ পান্ত।
চারটি চারে ১৫ বলে ২৩ রান করেন বাটলার। ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ২৬ রানে।
৪ ওভার শেষে ভারতের রান ১ উইকেটে ৩৩। ক্রিজে ফিল সল্টের সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান মইন আলি।
ইংল্যান্ডকে ১৭২ রানের লক্ষ্য দিল ভারত
চমৎকার ব্যাটিংয়ে ফের আলো ছড়ালেন রোহিত শার্মা। অধিনায়কের টানা দ্বিতীয় ফিফটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পেল ভারত। সঙ্গে সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ খেললেন কার্যকর ইনিংস। তাতে গায়ানার মন্থর ও অসম বাউন্সের উইকেটে লড়ার মতো পুঁজি গড়ল ভারত।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭১ রান করেছে ভারত।
পাওয়ার প্লেতে ভিরাট কোহলি ও রিশাভ পান্তকে ফিরিয়ে ভারতকে চেপে ধরে ইংল্যান্ড। সেই চাপ সামাল দিয়ে দলকে কক্ষপথে রাখেন রোহিত ও সুরিয়াকুমার। দুইজনে গড়েন ৭৩ রানের জুটি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯২ রান করা রোহিত শিরোপাধারীদের বিপক্ষে করেন ৫৭ রান। সুরিয়াকুমারের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান। ঝড় তোলার মঞ্চে দাঁড়িয়ে ১৩ বলে ২৩ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৯ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা।
ইংল্যান্ডের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন ক্রিস জর্ডান। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগানো এই পেসার ৩৭ রানে নেন ৩ উইকেট। একটি করে প্রাপ্তি রিস টপলি, জফ্রা আর্চার, স্যাম কারান ও আদিল রাশিদের।
ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কার চেষ্টায় ওড়ান আকসার। কিন্তু টাইমিং হয়নি ঠিকঠাক। লং-অনে সহজ ক্যাচ ধরেন ফিল সল্ট। ৬ বলে ১০ রান করে ফেরেন আকসার।
ম্যাচে তিন উইকেট নেন জর্ডান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ২০ ওভারে ১৭১/৭ (রোহিত ৫৭, কোহলি ৯, পান্ত ৪, সুরিয়াকুমার ৪৭, পান্ডিয়া ২৩, জাদেজা ১৭*, দুবে ০, আকসার ১০, আর্শদিপ ১*; টপলি ৩-০-২৫-১, আর্চার ৪-০-৩৩-১, কারান ২-০-২৫-১, রাশিদ ৪-০-২৫-১, জর্ডান ৩-০-৩৭-৩, লিভিংস্টোন ৪-০-২৪-০)
জর্ডানের তৃতীয় শিকার আকসার
ইনিংসের শেষ ওভারের খেলা। ঝড় তুলতে চাইলেন আকসার প্যাটেল। ক্রিস জর্ডানকে একটি ছক্কাও মারলেন তিনি। কিন্তু পরের বলেই বিদায় নিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কার চেষ্টায় ওড়ান আকসার। কিন্তু টাইমিং হয়নি ঠিকঠাক। লং-অনে সহজ ক্যাচ ধরেন ফিল সল্ট। ৬ বলে ১০ রান করে ফেরেন আকসার।
ম্যাচে তৃতীয় শিকার ধরেন জর্ডান।
জর্ডানের জোড়া শিকার
ঝড় তোলার মঞ্চ ছিল প্রস্তুত। ক্রিস জর্ডানকে পরপর দুই ছক্কায় সেটার আভাসই দিচ্ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করলেন না ইংলিশ পেসার। পান্ডিয়াকে ফেরানোর পরের বলেই তিনি বিদায় করলেন শিভাম দুবেকে।
১৮তম ওভারে প্রথম তিন বলে এক ডাবল ও দুই ছক্কায় ১৪ রান নেন পান্ডিয়া। পরের দুই বলে দুই উইকেট নেন জর্ডান। আসরে নিজের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে কীর্তিটি অবশ্য গড়তে পারলেন না তিনি।
যতটা উপরে ওঠানোর প্রয়োজন ছিল, ততটা ওঠাতে পারেননি পান্ডিয়া। তাতে লং অফ বাউন্ডারিতে স্যাম কারানের হাতে ধরা পড়েন তিনি ১৩ বলে ২৩ রান করে। দুই ছক্কার সঙ্গে মারেন এক চার।
পরের বলটি থার্ডম্যান অঞ্চলে খেলতে চেয়েছিলেন দুবে। কিন্তু বলটি তার ব্যাটের কানায় লেগে জমা পড়ে কিপার জস বাটলারের গ্লাভসে। গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ পান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
ক্রিজে রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গী আকসার প্যাটেল।
সুরিয়াকুমারকে থামালেন আর্চার
ফিফটির দুয়ারে ছিলেন সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। কিন্তু তাকে সেই স্বাদ পেতে দিলেন না জফ্রা আর্চার। পঞ্চাশ থেকে ৩ রান দূরে থাকতে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর ব্যাটসম্যানকে বিদায় করলেন ইংলিশ পেসার।
আর্চারের স্লোয়ার বল উড়িয়ে মারেন সুরিয়াকুমার। কিন্তু বলে তেমন গতি না থাকায় টাইমিং হয়নি তার চাওয়া অনুযায়ী। বল উঠে যায় আকাশে। লং অনে ক্যাচ মুঠোয় জমান ক্রিস জর্ডান।
চারটি চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ বলে ৪৭ রান করেন সুরিয়াকুমার। ৩ ওভারে দুই উইকেট হারায় ভারত। ১৬তম ওভার শেষে তাদের রান ৪ উইকেটে ১২৬।
ক্রিজে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গী রবীন্দ্র জাদেজা।
ফিফটি করেই বিদায় রোহিতের
পঞ্চাশের পর ইনিংস আর বড় করতে পারলেন না রোহিত শার্মা। যখন ঝড় তোলার সময়, তখনই বিদায় নিলেন ভারত অধিনায়ক। তবে চমৎকার ব্যাটিংয়ে দলকে বড় স্কোর গড়ার ভিত গড়ে দিলেন তিনি।
চতুর্দশ ওভার করতে আসা আদিল রাশিদের গুগলি বুঝতেই পারেননি রোহিত। মিডউইকেট দিয়ে উড়িয়ে খেলার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু মিস করেন বলের লাইন। তার ব্যাট পরাস্ত করে বল ভেঙে দেয় তার স্টাম্প।
২ ছক্কা ও ৬টি চারে ৩৯ বলে ৫৭ রান করে ফিরলেন রোহিত। তার বিদায়ে ভাঙল সুরিয়াকুমার ইয়াদাভের সঙ্গে ৫০ বল স্থায়ী ৭৩ রানের জুটি।
১১৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল ভারত। উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান হার্দিক পান্ডিয়া। তার সঙ্গী সুরিয়াকুমার খেলছেন ৩৪ বলে ৪৬ রানে।
ছক্কায় রোহিতের ফিফটি
চমৎকার ব্যাটিংয়ে আরেকটি ম্যাচে দলকে টানছেন রোহিত শার্মা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পরপর দুই ম্যাচে ফিফটি উপহার দিলেন ভারত অধিনায়ক।
৪৯ রান থেকে স্যাম কারানকে দারুণ এক ছক্কায় পঞ্চাশ স্পর্শ করেন রোহিত। ফিফটিস ছুঁতে তার লাগল ৩৬ বল। গত ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯২ রান করেছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি রোহিতের ৩২ তম ফিফটি।
রোহিতের ওই ছক্কায় ভারতের রানও ত্রয়োদশ ওভারে স্পর্শ করল শতরান।
রোহিত-সুরিয়া জুটির ফিফটি
দ্রুত উইকেট হারানো দলের হাল ধরেছেন রোহিত শার্মা ও সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। তৃতীয় উইকেটে দুইজনে গড়েছেন পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি।
৩৮ বলে স্পর্শ করে তাদের জুটির পঞ্চাশ রান। যেখানে সুরিয়াকুমারের অবদান ২৬, রোহিতের ২৪।
মাঝপথে ভারতের রান ৭৭
পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারানো ভারতকে টানছেন রোহিত শার্মা ও সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। তাদের জুটিতে ইনিংসের মাঝপথে মোটামুটি ভালো অবস্থায় আছে ২০০৭ আসরে চ্যাম্পিয়নরা।
প্রথম ১০ ওভার শেষে ভারতের রান ২ উইকেটে ৭৭। ১৫ বলে ২১ রান খেলছেন সুরিয়াকুমার। রোহিতের রান ৩০ বলে ৪১। দুইজনের জুটি ২৮ বলে ৩৭।
খেলা শুরু
এই রোদ তো এই বৃষ্টি। গায়ানায় আজ প্রকৃতিও যেন করছে খেলা। বৃষ্টির বাধায় নির্ধারিত সময়ে শুরু হতে পারেনি ভারত-ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনাল। সোয়া এক ঘণ্টা দেরিতে খেলা শুরু হওয়ার পর ৮ ওভার শেষে আরেক দফায় হানা দেয় বৃষ্টি।
এই দফায় ফের সোয়া এক ঘণ্টা করতে হয় অপেক্ষা। লম্বা সময় খেলা বন্ধ থাকার পর অবশেষে শুরু হলো মাঠের লড়াই।
থেমেছে বৃষ্টি
এক পসলা বৃষ্টি শেষে আবার উঁকি দিয়েছে সূর্য। ধীরে ধীরে সরানো হচ্ছে কাভার। মাঠে নেমে এরই মধ্যে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন আম্পায়ার পল রাইফেল।
মাঠ শুকানোর কাজও শুরু হয়ে গেছে। তবে এখনও পিচ ও তার চারপাশের জায়গা কাভার দিয়ে ঢাকা আছে। সময়ের সঙ্গে সরানো হবে সেগুলোও।
৮ ওভার শেষে ভারতের রান ২ উইকেটে ৬৫। উইকেটে রোহিত শার্মার সঙ্গী সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ।
আম্পায়ার রড টাকারের কীর্তি
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালটির মূল আম্পায়ারদের একজন রড টাকার। ম্যাচটি পরিচালনা করতে নেমেই দারুণ এক কীর্তি গড়ে ফেললেন অস্ট্রেলিয়ান এই আম্পায়ার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ পরিচালনার রেকর্ডটি এখন তার। ভারত-ইংল্যান্ডের লড়াইটি বৈশ্বিক আসরে টাকারের ৪৬তম ম্যাচ। ছাড়িয়ে গেলেন তিনি পাকিস্তানের আম্পায়ার আলিম দারের ৪৫ ম্যাচের কীর্তিটি।
ফের বৃষ্টির হানা
সোয়া এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর শুরু হয়েছিল খেলা। কিন্তু ৮ ওভার শেষ হতেই ফের হানা দিল বৃষ্টি। খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হলেন আম্পায়াররা।
৮ ওভার শেষে ভারতের রান ২ উইকেটে ৬৫। চমৎকার ব্যাটিংয়ে দলের রান বাড়াচ্ছেন রোহিত শার্মা। ভারত অধিনায়ক ৬ চারে ২৬ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত আছেন। একটি করে ছক্কা-চারে ৭ বলে ১৩ রান নিয়ে খেলছেন সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। দুইজনের জুটি ১৬ বলে ২৫।
পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারাল ভারত
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বিরাট কোহলিকে হারাল ভারত। পাওয়ার শেষ ওভারে ফিরলেন রিশাভ পান্ত। দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৪৬ রান করেছে ভারত।
দলটির রান বাড়ানোর কাজটি করছেন আগের ম্যাচে দুর্দান্ত ইনিংস খেলা রোহিত শার্মা। পাওয়ার প্লেতে চারটি চারে ১৮ বলে ২৬ রান করেছেন ভারত অধিনায়ক। কোহলি ফিরেছেন ৯ রান করে, পান্ত করতে পেরেছেন কেবল ৪।
রোহিতের সঙ্গে উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ।
কারানের শিকার পান্ত
আক্রমণে এসেই দলকে সাফল্য এনে দিলেন স্যাম কারান। সেমি-ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রিশাভ পান্তকে টিকতে দিলেন না এই পেসার। দুই অঙ্কে ছোঁয়ার আগেই ভারতীয় কিপার-ব্যাটসম্যানকে ফেরালেন ড্রেসিং রুমে।
ওভারের দ্বিতীয় বলটি পায়ের ওপর করেন কারান। প্রয়োজন অনুযায়ী বল ওঠাতে পারেননি পান্ত। মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ নেন জনি বেয়ারস্টো। ৪০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল ভারত।
৪ বলে ৪ রান করে ফিরলেন পান্ত। উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। দলের রানের চাকায় দম দিচ্ছেন অধিনায়ক রোহিত শার্মা।
শুরুতেই ফিরলেন কোহলি
রিস টপলিকে কাউ কর্নার দিয়ে দারুণ এক ছক্কা মেরে ভালো শুরুর আভাস দিলেন ভিরাট কোহলি। কিন্তু আরেকটি ম্যাচে ব্যর্থতা নিতে ফিরতে হলো তাকে। এক বল পরই ভারতীয় ব্যাটিং গ্রেটকে বোল্ড করে দিলেন ইংলিশ পেসার।
তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলটি উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টা করেন কোহলি। কিন্তু ব্যাটে-বলে করতে পারেননি তিনি। বল ছোবল দেয় তার লেগ স্টাম্পে। উল্লাসে মাতে ইংল্যান্ড দল।
১ ছক্কায় ৯ বলে ৯ রান করে ফিরলেন কোহলি। চলতি বিশ্বকাপটা বেশ বাজে কাটছে তার। আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শূন্য রানে ফেরা ব্যাটসম্যান এবার ছুঁতে পারলেন না দুই অঙ্ক।
ক্রিজে রোহিত শার্মার সঙ্গী কিপার-ব্যাটসম্যান রিশাভ পান্ত।
আগে ব্যাটিংয়ে গড় পুঁজি ১৬৭ রান
পিচ রিপোর্টে হার্শা ভোগলে ও মাইকেল আথারটন বলেছেন, দুই পাশে সীমানা ৬৯ ও ৭০ মিটার। সোজা বাউন্ডারি ৭৯ মিটার। বৃষ্টি হলেও পিচ পুরোপুরি শুষ্ক রয়েছে। কিছু কিছু জায়গা ফাটল আছে। বল কিছুটা নিচু ও স্কিড করতে পারে বলে তাদের মত। যা সহায়তা করতে পারে স্পিনারদের। আগে ব্যাটিং করলে গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে গড় রান ১৬৭।
ভারত একাদশেও নেই পরিবর্তন
অস্ট্রেলিয়াকে যে একাদশ নিয়ে হারিয়েছে ভারত, তাদের নিয়েই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নেমেছে তারা। পেস বোলিংয়ে অভিজ্ঞ জাসপ্রিত বুমরাহর ও আর্শদিপ সিংয়ের সঙ্গে আছেন অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া।
ভারতের একাদশে বিশেষজ্ঞ স্পিনার কুলদিপ ইয়াদাভ। বাঁহাতি রিস্ট স্পিনারকে সঙ্গ দিতে আছেন স্পিনিং অলরাউন্ডার আকসার প্যাটেল, রবীন্দ্র জাদেজা।
ভারত একাদশ: রোহিত শার্মা (অধিনায়ক), ভিরাট কোহলি, রিশাভ পান্ত, সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ, শিভাম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়া, আকসার প্যাটেল, রবীন্দ্র জাদেজা, আর্শদিপ সিং, কুলদিপ ইয়াদাভ, জাসপ্রিত বুমরাহ।
অপরিবর্তিত ইংল্যান্ড একাদশ
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জেতা ম্যাচের একাদশ থেকে কোনো পরিবর্তন আনেনি ইংল্যান্ড। জফ্রা আর্চার, রিস টপলির সঙ্গে দুই পেস বোলিং অলরাউন্ডার স্যাম কারান ও ক্রিস জর্ডানকে নিয়ে বোলিং শুরু করবে তারা। স্পিনে আছেন লেগ স্পিনার আদিল রাশিদ। তাকে সঙ্গ দেবেন আছেন মইন আলি ও লিয়াম লিভিংস্টোন।
ইংল্যান্ড একাদশ: জস বাটলার (অধিনায়ক), ফিল সল্ট, জনি বেয়ারস্টো, হ্যারি ব্রুক, মইন আলি, লিয়াম লিভিংস্টোন, স্যাম কারান, জফ্রা আর্চার, আদিল রাশিদ, ক্রিস জর্ডান, রিস টপলি
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে ইংল্যান্ড
বৃষ্টির বাধায় নির্ধারিত সময়ের পর সোয়া এক ঘণ্টা অপেক্ষা শেষে হলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালের টস। কয়েন নিক্ষেপ করলেন রোহিত শার্মা। ‘হেড’ ডাকলেন জস বাটলার। উঠলও হেড।
টস জিতে আগের ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। বৃষ্টির কারণে শুরুতে বোলাররা সুবিধা পাবেন বলে আশা করছেন বাটলার।
ভারত অধিনায়ক রোহিত বললেন, টস জিতলে তারা ব্যাটিংই নিতেন। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বড় পুঁজি গড়ে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার লক্ষ্য তাদের।
খেলা শুরু পৌনে ১০টায়
রোদ ওঠার পর সরানো হয়েছে কাভার। আউটফিল্ড শুকানোর জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর আম্পায়ারা করেছেন পর্যবেক্ষণ। বাংলাদেশ সময় ৯টা ২০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে টস।
নিশ্চিত করা হয়েছে ম্যাচ শুরুর সময়ও। বাংলাদেশ সময় পৌনে ১০টায় শুরু হবে মাঠের লড়াই।
থেমেছে বৃষ্টি, সরানো হচ্ছে কাভার
বৃষ্টি শেষে গায়ানায় আকাশে উঁকি দিয়েছে সূর্য। সরানো হয়েছে কাভার। দুই দলের ক্রিকেটাররা মাঠে নেমে নিজেদের গা গরম করে নিচ্ছেন। কেউ কেউ খেলছেন ফুটবল। ব্যাট হতে নিজেকে খানিকটা ঝালিয়ে নিচ্ছেন ভারতের তারকা ব্যাটসম্যান ভিরাট।
মাঠে নেমে পিচের অবস্থা দেখেছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শার্মা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আম্পায়াররাও। বাংলাদেশ সময় সোয়া ৯টায় আরেকবার মাঠ পর্যবেক্ষণ করবেন আম্পায়াররা।
টস হতে দেরি
বৃষ্টির শঙ্কা ছিল আগে থেকেই। হলোও তাই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালের ভেন্যু গায়ানায় হানা দিল বৃষ্টি। এর ফলে নির্ধারিত সময় হচ্ছে না টস।
পিচসহ মাঠের ৩০ গজ বৃত্তের জায়গা এখনও কাভার দিয়ে ঢাকা। মাঠে নেমে মাঠ কর্মীদের একজনের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে একজন আম্পায়ারকে।
দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি ভারত ও ইংল্যান্ড
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামছে ভারত ও ইংল্যান্ড। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হবে খেলা।
গ্রুপ পর্ব থেকে এখন পর্যন্ত অপরাজিত থেকেই সেমি-ফাইনালে নাম লিখিয়েছে ভারত। আর প্রথম পর্বেই বাদ পড়ার শঙ্কা এড়িয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।
মুখোমুখি লড়াইয়ে কেউ কারও চেয়ে খুব একটা পিছিয়ে নেই। এখন পর্যন্ত ২৩ ম্যাচে ভারতের জয় ১২টি, ইংল্যান্ড জিতেছে বাকি ১১টি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুখোমুখি চার ম্যাচে দুই দলেরই জয় দুটি করে। সবশেষ ২০২২ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড।