নাজমুল হাসান শান্ত যদি শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক না থাকেন, তাহলে নতুন নেতৃত্বের বিবেচনায় মেহেদী হাসান মিরাজকে এগিয়ে রাখছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
Published : 31 Oct 2024, 04:39 PM
‘বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে যারা একটু বেশি চিন্তা-ভাবনা করে, তাদের সবারই এটা বুঝতে পারার কথা’- অধিনায়কত্বের বিকল্পের প্রশ্নে হেসে বললেন ফারুক আহমেদ। পরক্ষণেই বিসিবি সভাপতি জানিয়ে দিলেন সম্ভাব্য দুটি নাম। যেখানে এগিয়ে রাখলেন তিনি মেহেদী হাসান মিরাজকে।
এটুকু পড়ে হয়তো মনে হতে পারে, নাজমুল হোসেন শান্ত আর অধিনায়ক নন। আদতে এখনো দায়িত্বে আছেন তিনিই। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে প্রথম টেস্ট শেষে সূত্রের বরাত দিয়ে কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, নেতৃত্ব ছাড়তে চাওয়ার কথা বিসিবিকে জানিয়েছেন শান্ত। চট্টগ্রাম টেস্টে মাঠের ক্রিকেট ছাপিয়ে এটিই এখন মূল আলোচনায়।
মিরপুর বুধবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, রাতেই চট্টগ্রামে গিয়ে শান্তর সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলবেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বুধবার রাতে দুজনের কোনো কথা হয়নি। চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি সভাপতি জানালেন, দিন শেষে অধিনায়কের সঙ্গে বসবেন তিনি।
সেই আলোচনার পর যদি শান্ত অধিনায়ক না থাকেন, তাহলে সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে মিরাজের কথা জোর দিয়ে বললেন তিনি।
“এখন ফ্রন্টরানার কে কে? অবশ্যই মিরাজ একজন! কারণ সে এমন একজন, যে প্রায় তিন সংস্করণেই খেলে। দুইটা সংস্করণ নিশ্চিতভাবেই খেলে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে সে অধিনায়ক ছিল। বিশ্বকাপে সেরা পারফর্মার ছিল।”
“অধিনায়ক কিভাবে বানানো হয়? একটা হয় যে, অনেকে নেতৃত্বের কিছু গুণাবলী নিয়েই জন্ম নেয়। অনেকে আবার অধিনায়কত্ব করতে করতে উন্নতি করে। মিরাজ এমন একজন, যে আগে অধিনায়কত্ব করেছে। বিপিএলেও অধিনায়কত্ব করে।”
২০১৬ সালের অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে মিরাজের নেতৃত্বে তৃতীয় হয় বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে ২৪২ রানের পাশাপাশি অফ স্পিনে ১২ উইকেট নিয়ে সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও জেতেন তিনি।
মিরাজ ছাড়াও অভিজ্ঞ পেসার তাসকিন আহমেদের ব্যাপারে আভাস দেন ফারুক।
“আর কে কে আছে? পত্রিকায় আমি দেখেছি, তাসকিনের নাম। সে হতে পারে। এটা আসলে আপনারা যারা কাজ করেন, আপনারাও অনেক চিন্তা করেন, আমি নিশ্চিত যে আপনাদেরও বুঝতে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা না।”
নেতৃত্বে বদল এলে তাকে লম্বা সময়ের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হবে বলেও নিশ্চিত করেন বিসিবি সভাপতি।
“বোর্ড থেকে যেটা করা উচিত, একজন অধিনায়ককে যথেষ্ট সুযোগ দিতে হবে। ‘ট্রায়াল অ্যান্ড এরর’ পদ্ধতিতে না গিয়ে, সঠিক সিদ্ধান্তটা নেওয়া জরুরি। তাই যাকে দায়িত্ব দেব, আমি চাই তাকে যেন যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়। মেধার মূল্যায়ন যেন যথাযথ হয়।”
“আমরা এখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত সাময়িক কিছু কাজ করছি। এরপর লম্বা সময়ের জন্য চিন্তা করতে পারি। এই মুহূর্তে যাকেই দায়িত্ব দেওয়া দরকার, যদি মনে করি (সে) ভালো, তাহলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর অন্তত দুই বছর দেওয়া যেতে পারে।”