Published : 29 Apr 2025, 10:20 PM
চট্টগ্রামের প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে নিত্য-ব্যবহার্য ও ভোগ্যপণ্য (এফএমসিজি) উৎপাদন ও বিপণন কোম্পানি ইউনিলিভার বাংলাদেশ। এ বছরও তারা ১০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করবে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের একটি হোটেলে অনুষ্ঠানে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিয়ে আলোচনার কথা এক বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরেছে ইউনিলিভার।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশনের (ইপসা) সহযোগিতায় ইউনিলিভার বাংলাদেশ এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উদ্যোগের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে তিনজন বর্জ্য সংগ্রাহক, দুইজন ভাঙ্গারিওয়ালা/সিএসও প্রতিনিধিকে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সমাজ উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্মাননা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে ইউনিলিভার বলেছে, ২০২২ সালের জুনে ইউনিলিভার বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও ইপসার মধ্যে সমঝোতা চুক্তি হয়। এ উদ্যোগের আওতায় এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার টনের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যা শহরের মোট বর্জ্যের প্রায় ১০ শতাংশের সমান। এ ছাড়া ৩ হাজারের বেশি বর্জ্যকর্মীকে নিরাপদভাবে বর্জ্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০ জনের বেশি ভাঙারিওয়ালা ও ২ হাজার জনের বেশি বর্জ্য সংগ্রাহককে সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম ও ব্যবসায়িক উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ দিয়ে আরও দক্ষ করে তোলা হয়েছে।
মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, বাংলাদেশের জন্য প্লাস্টিক দূষণ একটি ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ। আর এই সমস্যা মোকাবিলায় সরকার, বেসরকারি খাত, এনজিও ও সাধারণ নাগরিকদের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
ইউনিলিভার বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স, পার্টনারশিপস অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স ডিরেক্টর শামিমা আক্তার বলেন, “একসঙ্গে কাজ করে আমরা দেখিয়েছি সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে টেকসই সমাধান সম্ভব। অনানুষ্ঠানিকভাবে প্লাস্টিক সংগ্রহ করা শ্রমিকরা আমাদের এই উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের ছাড়া বড় পরিসরে প্লাস্টিক সংগ্রহ সম্ভব নয়। তাদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা একটি ন্যায্য টেকসই অর্থনীতির উদাহরণ তৈরি করছি।”
ইপসার সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ডিরেক্টর নাসিম বানু বলেন, “আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রমাণ করে, কমিউনিটিভিত্তিক সমাধানের মাধ্যমেও সবচেয়ে বড় পরিবেশগত চ্যালেঞ্জগুলো সফলভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।”
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, চিফ কনজারভেন্সি অফিসার কমান্ডার আইইউএ চৌধুরী, ইউনিলিভার বাংলাদেশের সাপ্লাই চেইন ডিরেক্টর রুহুল কুদ্দুস, লিগ্যাল ডিরেক্টর অ্যান্ড কোম্পানি সেক্রেটারি এস ও এম রাশেদুল কাইয়ুম উপস্থিত ছিলেন।