“৪০ বছরের দীর্ঘস্থায়ী এই ব্যবসায়িক সম্পর্কের কল্যাণে বাংলাদেশের অটোমোবাইল এবং লুব্রিক্যান্ট ইন্ডাস্ট্রির আমূল পরিবর্তন হয়েছে।”
Published : 23 Apr 2025, 08:01 PM
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম ব্র্যান্ড বিপি (ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম) ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি মেঘনা পেট্রোলিয়াম তাদের অংশীদারত্বের ৪০ বছর উদযাপন করেছে।
সম্প্রতি জমকালো এক অনুষ্ঠানে কেক কেটে দিনটি উদযাপন করে এ দুই কোম্পানি; যেখানে বিপি এবং মেঘনাপেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মেঘনা পেট্রোলিয়ামের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪০ বছরের দীর্ঘস্থায়ী এই ব্যবসায়িক সম্পর্কের কল্যাণে বাংলাদেশের অটোমোবাইল এবং লুব্রিক্যান্ট ইন্ডাস্ট্রির ‘আমূল পরিবর্তন’ হয়েছে।
“বিপির লুব্রিক্যান্ট ডিস্ট্রিবিউশনের যাত্রায় মেঘনা পেট্রোলিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশজুড়ে ফিলিং স্টেশনের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক, ডিলার নেটওয়ার্ক এবং ব্র্যান্ডের শক্তিশালী গ্রহণযোগ্যতার কারণে তা সম্ভব হয়েছে।
“একই সঙ্গে এই লক্ষ্যে মেঘনা পেট্রোলিয়াম অত্যন্ত নিবিড়ভাবে তাদের ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।”
বিপি লুব্রিক্যান্ট সাউথ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট কেদার লেলে বলেন, “শেষ চার দশক ধরে মেঘনা পেট্রোলিয়াম বাংলাদেশে বিপি লুব্রিক্যান্টের ব্র্যান্ড ইমেজ, মার্কেট শেয়ার এবং বিপির লুব্রিক্যান্টের সহজলভ্যতাকে আরও বাড়াতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। চল্লিশ বছরের মাইলফলক ছুঁয়ে এই অংশীদারত্ব শ্রেষ্ঠত্বের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছে।”
মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মি. টিপু সুলতান বলেন, “‘বিপির সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়িক সম্পর্কের ৪০ বছর পূর্ণ হয়েছে। এই দীর্ঘ যাত্রা পারস্পারিক বিশ্বাস, সহযোগিতা এবং সাফল্যের কারণেই সম্ভব হয়েছে। ৪০ বছরের এই মাইলফলকে এসে আমরা বিপির ব্যবসায়িক লক্ষ্যগুলোকে সমর্থন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমাদের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক, বাজারে শক্তিশালী উপস্থিতি এবং পরীক্ষিত সামর্থ্যের মাধ্যমে আমরা তা করব।
“বিপি এবং মেঘনা পেট্রোলিয়াম অংশীদারত্বের ৪০ বছর লুব্রিক্যান্ট ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত অংশীদারত্বের একটি বড় উদাহরণ। এই মাইলফলক শুধু এই যাত্রাকে উজ্জ্বল করেনি , বরং ভবিষ্যতের বেড়ে ওঠার এবং নতুন আবিষ্কারের ক্ষেত্রগুলোকেও উন্মুক্ত করে দিয়েছে।”
পারস্পারিক ‘ভিশন’ এবং পরস্পরের প্রতি বিশ্বস্ততা নিয়ে দুটি কোম্পানিই বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান এনার্জি এবং পরিবহন খাতে অবদান রাখতে চায় বলে তাদের প্রত্যাশা তুলে ধরা হয় এ সময়।