জুরি বোর্ডের বিবেচনায় প্রথম হয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) রিফাত আল ইব্রাহিম।
Published : 27 Apr 2025, 10:13 PM
স্থাপত্যবিদ্যার তরুণ শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে তিনজন শিক্ষার্থীকে ‘কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ স্থাপত্য ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কেএসআরএম।
সেখানে বলা হয়, অন্তবর্তী সরকারের বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক ও জনপথ এবং সেতু ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
এ আয়োজনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ স্থাপত্য ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের প্রকল্পগুলো প্রদর্শন করা হয়। তাতে জুরি বোর্ডের বিবেচনায় প্রথম হন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) রিফাত আল ইব্রাহিম, দ্বিতীয় হন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিরা সারওয়াত এবং তৃতীয় হন এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঁধন দাশ।
এছাড়া চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) খন্দকার মাহাতি ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারিয়া আহমেদকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয় বলে জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, “কাজ করার জন্য আমাদের হাতে যে সময় আছে, তা যথেষ্ট নয়। তবু আমরা কিছু কিছু কাজে হাত দিয়েছি নগরকে যানজটমুক্ত বাসযোগ্য করার জন্য।
“বিভিন্ন কাজে পেশাদারদের সম্পৃক্ত করার কাজও আমরা করে যাচ্ছি। উপযুক্ত জায়গায় উপযুক্ত ও যোগ্য ব্যক্তির নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “ঢাকা একটি চরিত্রহীন শহর। আমাদের মুগল ঐতিহ্য ছিল। সেটা আমরা ধরে রাখতে পারিনি। বাংলার আবহমান ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারিনি। আত্মপরিচয় ছাড়া টিকিয়ে থাকা সম্ভব না। স্থপতিরাই ঠিক করবেন আমাদের উপযোগী ও উপযুক্ত কোনো ঐতিহ্যকে ধারণ করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে তরুণ স্থপতিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ (আইএবি) সভাপতি স্থপতি ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ।
তিনি বলেন, “কেএসআরএম-আইএবির যৌথ উদ্যোগে প্রতিবছর এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে নতুন পেশায় আগত সৃষ্টিশীলদের স্থাপত্য শিক্ষার মানোন্নয়ন হচ্ছে। তারা মনোযোগী হচ্ছে সৃজনশীল কাজে।”
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর এমন দিনটির জন্য এক ধরনের অপেক্ষায় থাকে বলা যায়। যা তাদের চিন্তা ও মননকে শাণিত করে।”
কেএসআরএমের মহাব্যবস্থাপক (মার্কেট রিচার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) আশফাকুল ইসলাম বলেন, “আমরা দেখছি তরুণ স্থপতিরা তাদের কাজের মাধ্যমে একটি টেকসই, উদ্ভাবনী ও মানবিক বাংলাদেশের কল্পনা রয়েছে। কেএসআরএম ১৯৮৪ সাল থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন রড উৎপাদন ও সরবরাহ করে আসছে। আমরা বিশ্বাস করি দেশের সকল স্থাপনা হবে দীর্ঘস্থায়ী ও ভূমিকম্পন সহনশীল। কেএসআরএম রড ৫৫ লাখ সাইক্লিক লোডিং নিতে সক্ষম।”
জুরি বোর্ডের পক্ষে স্থপতি আসিফ মো. আহসানুল হক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। প্রকল্পে শিক্ষার্থীদের উপস্থাপন করা প্রতিটি কাজ ‘অত্যন্ত সুন্দর’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
মো. আহসানুল হক বলেন, “প্রকল্পগুলো এতই দৃষ্টিনন্দন, সময়োপযোগী ও প্রাসঙ্গিক যে কোনটা রেখে কোনটা নির্বাচন করবো খুবই কঠিন। তবু এই কঠিন বাস্তবতা মেনে নিয়ে আমাদের চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে তিনজনকে নির্বাচিত করতে হয়েছে। জুরি বোর্ডের দৃষ্টিকোণ থেকে নিজ নিজ অবস্থানে প্রতিটি প্রকল্পই সেরা।”