স্নাতক ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করায় ২৩ জন শিক্ষার্থীকে শতভাগ মেধা বৃত্তি দিয়েছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।
Published : 03 Feb 2024, 04:56 PM
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্প্রিং সেমিস্টারের নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোরআন তেলাওয়াত ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, ঐতিহ্য, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের জানাতে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি এবং অ্যাকাডেমিক পদ্ধতির সাথে শিক্ষার্থীদের পরিচিত করাই সেমিস্টার-ভিত্তিক এ ওরিয়েন্টেশনের মূল লক্ষ্য।
স্নাতক ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করায় ২৩ জন শিক্ষার্থীকে শতভাগ মেধা বৃত্তি দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রব খান নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, “এখানে তোমরা অ্যাকাডেমিক সাফল্যের পাশাপাশি যে অভিজ্ঞতা লাভ করবে, তা তোমাদের ভবিষ্যত জীবনের পাথেয় হয়ে থাকবে।”
উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় অরাজনৈতিক, বর্ণবাদবিরোধী ও ধর্মনিরপেক্ষ একটি প্রতিষ্ঠান। এখানে বৈচিত্র্য ও সহনশীলতার চর্চা হয়।
“এখানে সব জাতি ও ধর্মের শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের সাথে কখনো পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হয় না। আমাদের দেশে সেরা লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম রয়েছে, যা হাভার্ড, এমআইটি এবং অক্সফোর্ডের মত বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবহার করা হয়।”
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জুনাইদ কামাল আহমাদ শিক্ষার্থীদের বলেন, “এখানে শুধুমাত্র ডিগ্রির জন্য নয়, তোমরা একটি সমাজে এসেছ। বিশ বছর পর তোমরা দেশকে কোথায় নিয়ে যাবে সেটা তোমাদের অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখো, নিজেকে প্রশ্ন করো। তাহলেই নিজেদেরকে, বাবা-মাকে, দেশকে গর্বিত করতে পারবে।”
অন্যদের মধ্যে ট্রাস্টি সদস্য ইয়াসমিন কামাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আহমেদ তাজমীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
স্কুল অব হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসের ডিন অধ্যাপক এসকে তৌফিক এম হক, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ফিজিক্যাল সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক জাভেদ বারী, স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকসের ডিন অধ্যাপক হেলাল আহমেদ এবং স্কুল অব হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক হাসান মাহমুদ রেজা শিক্ষার্থীদের সামনে নিজ নিজ স্কুলের পরিচয় তুলে ধরেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির সাংস্কৃতিক সংগঠন ও 'জলের গান' এর সদস্যদের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় নবীন বরণ অনুষ্ঠান।