ঢাকার ডেমরায় আইচি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর ‘বহিরাগতদের’ হামলায় অন্তত ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
শনিবারের এ হামলার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মেডিকেল কলেজের মালিকপক্ষের মদদে এ হামলা হয়েছে। হামলার পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কলেজের অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
ঢাকার ডেমরার আমুলিয়া মেন্দিপুর এলাকায় বেসরকারি আইচি মেডিকেল কলেজের অবস্থান।
নানা অনিয়মের কারণে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমঅ্যান্ডডিসি) যে ছয়টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে আইচি মেডিকেল কলেজ সেগুলোর একটি।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিএমডিসি আইচি মেডিকেল কলেজকে কালো তালিকাভুক্ত করায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ক্লাস বর্জন করে আসছেন তারা।
তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিএমডিসির নিবন্ধন সমস্যার সমাধান কী হবে তা নিয়ে তারা অধ্যক্ষের কাছে গিয়েছিলেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেবেন, কিন্তু দেননি।
“আমরা গত এক সপ্তাহ ধরে ক্লাস এবং পরীক্ষা বর্জন করে চলেছি। আজ ছিল শেষ দিন, আজ প্রিন্সিপালের রুমে আমরা এবং কয়েকজন অভিভাবক ছিলাম। কয়েক শিক্ষার্থী ছিল কলেজের মূল ফটকে। ও সময় কিছু বহিরাগত এসে আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন, যারা হাসপাতালেই চিকিৎসা নিয়েছেন।”
হামলার কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েকজন লুঙ্গি পরা যুবক হাতে লাঠিসোটা নিয়ে কলেজের ফটক দিয়ে ঢুকছেন। আরেকটি ভিডিও দেখা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে ওই যুবকরা।
এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে।
এ বিষয়ে আইচি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ লায়লা মেহজাবিন বানুর মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল দিলেও ধরেননি। ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া দেননি।
ডেমরা থানার ওসি শফিকুর রহমান টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ রকম একটা ঘটনা ঘটেছে। আমি এখন মেডিকেলেই আছি। বিষয়টি মিটমাট করার জন্য সবাইকে নিয়ে বসেছি। বিস্তারিত আপনাকে পরে জানাব।”