২০২০ সালে রাহাত খানকে এ সম্মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে ওই বছরই তিনি মারা যান।
Published : 08 Dec 2022, 04:46 PM
আতাউস সামাদ স্মারক ট্রাস্ট ফান্ড দেশে সাংবাদিকতা পেশার উন্নয়নে অবদানের জন্য ২০২০ সালে সাংবাদিক-সাহিত্যিক রাহান খানকে আজীবন সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল; কিন্তু ওই বছরই করোনাভাইরাস মহামারী হানা দেয়, আর রাহাত খানেরও মৃত্যু ঘটে।
রাহান খানের সেই সম্মাননা স্মারক বৃহস্পতিবার তুলে দেওয়া হল তার স্ত্রী অপর্ণা খানের হাতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান তা তুলে দেন।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক মুজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে এই সম্মানা প্রদান অনুষ্ঠানে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতক (সম্মান) ২০২০ এর পাঁচ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়।
বৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন- মো. আব্দুল্লাহ, সুস্মিতা চক্রবর্তী মিশু, মো. ফারজিব মাহমুদ, মো. সাফায়েত হোসেন ও জিহাদুল হোসেন।
সাংবাদিক ও কলামনিস্ট এবিএম মূসার উদ্যোগে ২০১৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আতাউস সামাদ স্মারক ট্রাস্ট ফান্ড' গঠিত হয়। পরের বছর থেকে প্রতি বছরই একজন খ্যাতিমান সাংবাদিককে আজীবন সম্মাননা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মেধাবী ও আর্থিক অসচ্ছ্বল শিক্ষার্থীদের এককলীন বৃত্তি প্রদান ও স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করে আসছে।
২০১৯ সালে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে ‘আতাউস সামাদ স্মারক ট্রাস্ট আজীবন সম্মাননা' দেওয়া হয়; ২০২০ সালে রাহাত খানকে এ সম্মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে ওই বছরই তিনি মারা যান।
সম্মাননা ও বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, এবিএম মূসা, আতাউস সামাদ ও রাহাত খান তিনজনই বিদগ্ধ মানুষ। এবিএম মূসা ছিলেন আতাউস সামাদের শিক্ষক। শিক্ষক হয়ে তিনি তার শিষ্যের নামে এমন একটি ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছেন। বর্তমান যুগে এটি একটি অসাধারণ শিক্ষা ও মহৎ দৃষ্টান্ত।
এ সময় উপাচার্য সত্য অনুসন্ধান ও উদঘাটনের জন্য বিশ্লেষণধর্মী, সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক আরও হৃদ্যতাপূর্ণ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদের সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক মার্জিয়া রহমানের সঞ্চালনায় অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন