বিভাগের ১৮ জন শিক্ষকের মধ্যে ১৬ জন উপাচার্যের কাছে নম্বরে পক্ষপাতের অভিযোগ করেছিলেন কোর্স শিক্ষক মিল্টন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।
নম্বর পুনর্মূল্যায়নের জন্য উপাচার্যের কাছে আবেদন করার পর মাস্টার্স দ্বিতীয় সেমিস্টারের মিডটার্ম পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসে আন্দোলনেও নেমেছিলেন শিক্ষার্থীরা।
পরে ওই ফলাফল বাতিল করে তা পুনর্মূল্যায়নের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের কাছে উত্তরপত্র পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
পুনর্মূল্যায়নে ফলাফলে বড় পরিবর্তন এসেছে বলে জানিয়েছেন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি চঞ্চল কুমার বোস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “৫১০১ কোর্সটির পূনর্মূল্যায়নে প্রায় সবারই রেজাল্টে চেইঞ্জ এসেছে। কারও কারও অর্ধেক নম্বর এসেছে, যা সে (মিল্টন বিশ্বাস) দিয়েছিল।
“যাকে ১০ এ ১০ দিয়েছে সে সাড়ে চার পেয়েছে এমনও হয়েছে। ১-২টা ছাড়া মোটামুটি সবগুলোতেই চেইঞ্জ এসেছে। যাদের সে তিন দিয়েছিল তাদের মধ্যে একজন ছাড়া সবারই রেজাল্ট বেড়েছে। তারা সাড়ে পাঁচ, ছয়, সাত এমন পেয়েছে।”
সংশোধিত ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করে এই শিক্ষার্থী বলেন, “একজন শিক্ষকের রেজাল্ট বাতিল করে পূনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে, তাতে চেইঞ্জ এসেছে এর চেয়ে লজ্জার কিছু হয় না। আমরা চাই স্যার যে ধাক্কা খেয়েছেন, তাতে তিনি নিজেকে শুধরে নেবেন।”
তিনি বলেন, “১০ নম্বরের খাতাতেই তিনি জালিয়াতি করছেন। তাহলে ৭০ নম্বরের ফাইনাল পরীক্ষার খাতা তার কাছে কিভাবে নিরাপদ? ওই খাতা তো আমরা দেখতেও পারি না।”
ফলাফলে পরিবর্তন আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মীজানুর রহমান বলেন, “বাংলা বিভাগের ৫১০১ কোর্সটির প্রথম পরীক্ষকের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন নম্বর বাতিল করে নতুন একজন পরীক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। নতুন পরীক্ষকের নম্বর দিয়েই ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এটাই ব্যবস্থা।”
২০০৭ সালে মিল্টন বিশ্বাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সময়ও নম্বর জালিয়াতির অভিযোগ ওঠার পর শাস্তি পেয়েছিলেন।
পুনর্মূল্যায়নে ফলাফল বদলে যাওয়ার পর কয়েকবার চেষ্টা করেও অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাসের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের সময়ও তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে প্রতিবাদ পাঠিয়ে তিনি বলেছিলেন, মিডটার্ম পরীক্ষার নম্বরে পক্ষপাতের অভিযোগ অসত্য। কারণ মেধার ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীরা নম্বর পেয়ে থাকে।