বুধবার সকাল ১০টার দিকে তিনি কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন বলে তার ব্যক্তিগত সহকারী কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্যার সকালেই কুষ্টিয়ায় আবরারের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন। সেখানে আবরারের কবর জিয়ারত করবেন এবং পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন।”
ঘটনার পর প্রায় ৩০ ঘণ্টা অন্তরালে থাকায় মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে অধ্যাপক সাইফুলকে।
বুয়েটের কেন্দ্রীয় মসজিদে সোমবার রাতে আবরারের জানাজায় অংশ না হওয়ার কারণেও তাকে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরারকে ডেকে নিয়ে যায় হলের কিছু ছাত্রলীগ নেতা। শিবির সন্দেহে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও নির্যাতনের এক পর্যায়ে গভীর রাতে হলেই তার মৃত্যু হয়।
সোমবার ভোরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সোমবার দিনভর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের দাবিতে আন্দোলন করলেও ঘটনাস্থলে যাননি উপাচার্য কিংবা ওই হলের প্রভোস্ট।
মঙ্গলবার উপাচার্যের কার্যালয় অবরুদ্ধে করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করলে সন্ধ্যায় তিনি শিক্ষার্থীদের সামনে আসেন।
বিক্ষোভকারীদের প্রশ্নের মুখে তিনি বলেন, আবরার হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের বিষয়ে সরকারের ‘উপরের মহলে’ যোগাযোগ করতে গিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে তাকে।