ক্লাসে ফিরেছে সাউথইস্টের শিক্ষার্থীরা

উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন স্থগিত করে ক্লাসে ফিরেছে ঢাকার সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2017, 05:26 AM
Updated : 9 Oct 2017, 05:26 AM

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ১০ জন প্রতিনিধি রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের সঙ্গে দেখা করলে তিনি তাদের ওই আশ্বাস দেন। এরপর সোমবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রমে যোগ দিতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।

বরখাস্ত দুই শিক্ষককে পুনর্বহাল এবং উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে গত ২ অক্টোবর থেকে ক্লাস বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বনানী ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে আসছিল এই শিক্ষার্থীরা। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে চলছিল অস্থিরতা।

তাদের অভিযোগ, উপাচার্য অধ্যাপক এএনএম মেশকাতউদ্দিন ‘বিনা নোটিসে ও সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই’ দুজন শিক্ষককে বরখাস্ত করেছেন এবং আরও কয়েকজনকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র বিবিএ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী হাসান অনিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কাল রাতে চেয়ারম্যান স্যারের সাথে আমরা আলোচনা করেছি। উনি বলেছেন, উপাচার্যের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ তদন্ত করা হবে এবং তাকে ছয় মাস নজরদারিতে রাখা হবে। এর ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"

সেই সঙ্গে চেয়ারম্যান ‘বিনা কারণে চাকরিচ্যুতি এবং ও ইস্তফা দিতে চাপ দেওয়ার’ অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বলে অনিকের ভাষ্য। 

“তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, বিনা কারণে যদি কোনো শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয় বা ইস্তফা দিতে চাপ দেওয়া হয়, তাহলে তাদের ফিরিয়ে আনবেন।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী সেকশন অফিসার মোহাম্মদ সবুর রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘চৌর্যবৃত্তিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির দায়ে’ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে দুজন শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। আর খারাপ পারফরমেন্সের জন্য সাতজনকে ইস্তফাপত্র দিতে বলা হয়েছে।

অপসারিত শিক্ষকদের মুখপাত্র বিবিএর শিক্ষিক রাবেয়া সুলতানা লতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি প্রায় সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গত মাসের ২৫ তারিখ উপাচার্য অফিস থেকে আমার তলব আসে। দেখা করলে তিনি আমাকে বলেন, আমার সামনে দুটি পথ খোলা আছে, হয় আমি স্বেচ্ছায় চাকরিতে ইস্তফা দেব, নয়ত আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। বাধ্য হয়ে আমি সেদিনই চাকরিতে ইস্তফা দিই।”

অপসারণের কারণ জানতে চাইলেও উপাচার্য কোনো ‘সদুত্তর দেননি’ দাবি করে রাবেয়া বলেন, “তিনি বলেন, ‘আপনাকে রেখে কী লাভ? কয়দিন পরই মাতৃত্বকালীন ছুটিতে চলে যাবেন, এরপর সন্তানের অসুস্থতার কথা বলে আরও ছুটি চাইবেন’।”

এ অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে উপাচার্য মেশকাত উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।