এদিনও জগন্নাথ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা।
Published : 10 Jul 2024, 06:26 PM
চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে চলা আন্দোলনের সপ্তম দিনে ফের জিরো পয়েন্ট অবরোধ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এদিন সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জিপিও মোড় অবরোধ করে রেখেছিলেন। পরে জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে সেখানে এলে তারা জিপিও মোড় ছেড়ে শিক্ষা ভবনের দিকে চলে যান।
এদিনও জগন্নাথ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের প্রথম পাঁচদিন শিক্ষার্থীরা তাঁতীবাজার পর্যন্ত অবরোধ সীমাবদ্ধ রাখলেও ষষ্ঠ দিনে মঙ্গলবার তারা জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে সচিবালয় এলাকা অবরুদ্ধ করেন। বুধবার ফের জিপিও মোড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও পাশ্ববর্তী দুটি কলেজের প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
অবরোধের কারণে জিরো পয়েন্ট ও পল্টন মোড়কে কেন্দ্র করে চারপাশের রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
কোতোয়ালি থানার এডিসি মো. বদরুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ আমরা সরাসরি তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করিনি। তারা নিজেদের মতো করে জিপিও মোড়ে অবস্থান নেন। তবে আমাদের পুলিশ সদস্যরা তাদের সাথে ছিল।”
সড়ক অবরোধের কারণে আটকা পড়ে রোগী পরিবহনকারী কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স।
শিক্ষার্থীরা সহানুভূতিশীল হলেও রাস্তায় যানজটের কারণে স্বাভাবিকের চেয়েও অনেক বেশি সময় লেগেছে বলে জানান একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক।
অ্যাম্বুলেন্স চালক সোহান ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিক্ষার্থীরা আমাদের প্রতি আন্তরিক ছিল। কিন্তু তাদের অবরোধের কারণের রাস্তায় অনেক যানজট ছিল। সেখান থেকে বের হতে অনেক সময় লেগেছে।”
অটোরকিশায় করে মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলেন আবু বকর সিদ্দিক। প্রথমে তাদের যেতে না দেওয়া হলেও প্রেসক্রিপশন দেখালে অবরোধকারীরা রাস্তা খুলে দেন।
আবু বকর বলেন, “আম্মুকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে সেই সকাল বেলা। ধাপে ধাপে অবরোধের কারণে আটকা পড়ছি আমরা। শিক্ষার্থীরা আমাদের যেতে দিলেও জ্যামের কারণে আমাদের গাড়িটা পেছনে পড়ে থাকে। সেখান থেকে গাড়ি বের করে যেতে অনেক সময় লেগে যায়।”
আন্দোলনের সমন্বয়ক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের একাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী জসীম উদ্দিন বলেন, “আমাদের দাবি কোটা সংস্কার করে সংসদে তা পাস করা। আপিল বিভাগ চার সপ্তাহ স্থিতাবস্থা জারি করেছে। এই চার সপ্তাহ আমরা কি করব? ক্লাস পরীক্ষা এভাবে বাদ থাকবে? যতদিন সিদ্ধান্ত না আসছে ততদিন আমরা রাজপথ ছাড়ব না।”