আগের দিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবার দুই পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল বাঁধে।
Published : 15 Feb 2024, 12:27 AM
দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগের বিবাদের জের ধরে সরস্বতী পূজার দিনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ মারামারিতে জড়িয়েছে। এতে অন্তত ১০ জনের আহত হওয়ার তথ্য মিলেছে।
বুধবার সন্ধ্যার পর প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের গেইটের সামনে এবং পরে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজি ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসেনের অনুসারী বুধবার এ সংঘর্ষে জড়ায়।
তবে সভাপতি এটিকে ছাত্রলীগের নয়, দুই বিভাগের ঝামেলা বলে দাবি করেছেন। আর মারামারিতে তাদের এক কর্মী আহত হওয়ার দাবি করেছেন সাধারণ সম্পাদক।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোস্তফা কামাল বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ক্যাম্পাসের গেইটের বাইরে মারামারির রেশ ভেতরেও ছিল। তবে কিছুক্ষণ পরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
লিখিত অভিযোগ এলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীর বিবাদ বাঁধে। সেসময় অ্যাকাউন্টিং বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজির গ্রুপের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আগের দিনের ঘটনার জেরে বুধবার সন্ধ্যায় প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ইব্রাহীম ফরাজী গ্রুপের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইন গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এরপর প্রধান ফটকের সামনে মারামারি হয়।
এতে সভাপতি গ্রুপের নৃবিজ্ঞান বিভাগের তাসরিফ ও নিলয়, গাজী সামসুল হুদা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের আব্দুল বারেকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। তাসরিফ ও নিলয়কে রক্তাক্ত অবস্থায় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে দলভারি করে সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের ওপর কর্মীদের লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। এ সময় সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের নিয়ামত, সংগীতের অনন্ত, কলা অনুষদের মিরাজ হোসেন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের শেখ রিফাত আব্দুল্লাহ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের তামিম ইকবালসহ আরও কয়েকজন আহত হয়।
পরে সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইন ঘটনাস্থলে এসে নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
সাধারণ সম্পাদক আকতার বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে কেন্দ্র করে ছোট একটা ঘটনা ঘটেছে।
“আমার ছোটভাই একটা আহত হয়েছে। আর ইব্রাহীম ভাইয়ের প্যানেলে কতজন আহত হয়েছে সঠিক বলতে পারছি না।“
সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা মূলত দুইটি বিভাগের মধ্যেকার ঝামেলা। এর সাথে ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতা নাই। যদি কেউ সংশ্লিষ্ট থাকে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নিব। নয়তো এটা একাডেমিকভাবে সমাধান করার দাবি জানাই।”