বুয়েট ক্যাম্পাসে উষ্ণতা ছড়াল 'হাওয়া'

বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্রটি সম্পর্ক বিভিন্ন গল্প ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তরুণদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেন 'হাওয়া' টিমের কলাকুশলীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2022, 05:48 PM
Updated : 26 July 2022, 10:45 AM

ব্যতিক্রমী পোস্টার, ট্রেইলার এবং ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গান দিয়ে মুক্তি পাওয়ার আগেই সাড়া জাগানো চলচ্চিত্র 'হাওয়া' টিম এবার বুয়েট ক্যাম্পাস মাতিয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে হাজির হয় 'হাওয়া' টিম। সেখানে চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে বিভিন্ন গল্প ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তরুণদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন কলাকুশলীরা।

আগামী ২৯ জুলাই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগে প্রচারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়ে উষ্ণতা ছড়াচ্ছেন চলচ্চিত্রটির পরিচালকসহ কলাকুশলীরা।

মেজবাউর রহমান সুমনের পরিচালনায় এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার এবং সোহেল মণ্ডল। তবে সবাইকে ছাপিয়ে ‘হাওয়া’র রহস্য এগিয়েছে নাজিফা তুষিকে ঘিরে।

মাঝ সাগরে নানা ঘটনার ঘাত-প্রতিঘাতে গন্তব্যহীন হয়ে পড়া একটি মাছ ধরা ট্রলারের আট মাঝি-মাল্লা এবং এক রহস্যময় বেদেনীকে ঘিরে চলচ্চিত্রটির গল্প আবর্তিত হয়েছে।

সিনেমাটি নির্মাণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মেজবাউর রহমান সুমন বলেন, "তিন বছর আগে এই সিনেমাটা করেছিলাম। প্যানডেমিকের কারণে ছবি আটকে ছিল। কখন এই ছবিটা দর্শকের সামনে আসবে, অস্থির ছিলাম।

"এক সময় মনে হয়েছে আসবে না। অবশেষে ২৯ তারিখে রিলিজ হচ্ছে। আমরা কাজটি করেছি, সিনেমা হলে গিয়ে আপনারা তার মূল্যায়ন করবেন।"

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, "অনেক কষ্ট করে এই হাওয়া টিম সিনেমাটি আপনাদের উপহার দিচ্ছে। ইতোমধ্যে গান, পোস্টার ও ট্রেইলার দেখে দেশে হাওয়া বইছে। ২৯ তারিখে আমরা সবাইকে নিয়ে হাওয়ায় ভেসে যেতে চাই।"

এক পর্যায়ে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীসহ 'হাওয়া' টিম, ‘মেঘদল’ ব্যান্ড, আরফান মৃধা শিবলু, ইমন চৌধুরী ও তানজির তুহিনের গানে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা।

সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড প্রযোজিত, ফেসকার্ড প্রোডাকশন নির্মিত, রাঁধুনী নিবেদিত এই চলচ্চিত্র ২৯ জুলাই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।

মুক্তি পাওয়ার আগে প্রচারণার জন্য দেশের চার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে বেছে নেয় ‘হাওয়া’ টিম। ২৩ জুলাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চ থেকে শুরু হয় তাদের 'ক্যাম্পাস অভিযান’।

২৪ জুলাই আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) ক্যাম্পাস,২৫ জুলাই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসের পর ২৬ জুলাই নটরডেম ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে শেষ হবে প্রচারণা।