স্বাধীনতা দিবসে একটি সংবাদপত্র ‘রাষ্ট্রবিরোধী নাটক’ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেছেন, “বিশ্বে একটা ভীষণ রকম অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। সেই অবস্থাতেও আমরা এখনও স্বস্তিতে আছি। কেউ না খেয়ে মরছে না। সেখানে একটা ছোট্ট শিশুর হাতে ১০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তাকে দিয়ে এমন কথা বলানো রাষ্ট্রবিরোধী সাজানো নাটক।”
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় একথা বলেন দীপু মনি।
গত ২৬ মার্চ একটি প্রথম আলোর অনলাইনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ছবি ও বক্তব্য দিয়ে দৈনিকটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা পোস্ট ভাইরাল হয়। তবে খানিক বাদেই সেটি প্রত্যাহার করা হয়। পরে প্রতিবেদনটি সংশোধন করে প্রকাশ করা হয়।
দীপু মনি বলেন, “ওই ছেলেটির (সবুজ) মা বলেছে, ‘আমার ছেলে স্কুলে পড়ে, সে তো বাজারে যায় না। দর দামের কথা জানবে কী করে?’ তাকে দিয়ে এ ধরনের কথা বলানো রাষ্ট্রবিরোধী সাজানো নাটক। এটা হলুদ সাংবাদিকতা।
“আমি কিন্তু এর সঙ্গে একটা যোগসূত্র দেখি, কোথায় মোড়লেরা কী কথা বলছেন, তার সঙ্গে তাদের তল্পিবাহকেরা এ ধরনের সাজানো নাটক করছে। ঘটনা যাই ঘটুক, আমাদের সচেতন থাকতে হবে।”
এ নিয়ে সমালোচনার মধ্যে সংশোধিত প্রতিবেদনে প্রথম আলো বলেছে, “প্রথমে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনের শিরোনাম এবং ব্যবহার করা ছবির মধ্যে অসঙ্গতি থাকায় ছবিটি তুলে নেওয়া হয়েছে এবং শিরোনাম সংশোধন করা হয়েছে। শিরোনামে উদ্ধৃত বক্তব্য ছবিতে থাকা সবুজ মিয়ার ছিল না, ছিল দিনমজুর জাকির হোসেনের। একই কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া পোস্টও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।”
দীপু মনি ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ‘শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান ও সমাজ পরিবর্তনে শিক্ষার্থী-শীর্ষক’ এ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ৫৩০ জন অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বৃত্তি প্রদান একটি অর্থপূর্ণ কাজ। অ্যালামনাইদের সহযোগিতায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বড় হয়। অ্যালামনাইরা যে উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে, এতে করে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে এগিয়ে যাবে।”
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী ও মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মাদ আবু কাওছার, সংগঠনের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বক্তব্য দেন।