বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার মান বাড়াতে সহায়তায় আগ্রহ এলসেভিয়ারের

বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিংয়ে যাকে কাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌঁছাতে পারে, সেজন্য গবেষণায় সহযোগিতা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিশ্বের প্রথম সারির প্রকাশনা সংস্থা এলসেভিয়ার।

বুধবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্তি দায়িত্ব) অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীরের সঙ্গে তার দপ্তরে এক বৈঠকে এ আগ্রহ প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।

সভায় জার্নালস এলসেভিয়ারের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সিনিয়র অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার ফারাহা সিদ্দিকি বাংলাদেশের গবেষণার একটি চিত্র তুলে ধরেন। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ৫১,৩৩৫টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। ২০১৮ থেকে এ সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২২ সালে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯ শতাংশ।

"কিন্তু এ সময়ে গুণগত গবেষণা বৃদ্ধির হার মাত্র ২ শতাংশ। বাংলাদেশ থেকে যেসব গবেষণা প্রকাশিত হয়, এর মধ্যে ৯০ শতাংশ ইউজিসি’র আওতাধীন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। এসব গবেষণার প্রবন্ধের মধ্যে ৪৫ শতাংশ কিউ ১ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছ, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।"

বিশ্ব র‍্যাংকিংয়ে গবেষণায় বাংলাদেশের অবস্থান ৫৩তম এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ১৩তম জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ কীভাবে গুণগত গবেষণায় জোর দিতে পারে সেদিকে তারা নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী।

সভায় অধ্যাপক আলমগীর বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুণগত গবেষণায় যেন ভালো করতে পারে, সেজন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মূল বাজেটে ১৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ইউজিসি বিভিন্ন গবেষণা বৃত্তি, ফেলোশিপ প্রদান ও নীতিমালা প্রণয়ন করছে।

ইউজিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সহজে ও স্বল্পমূল্যে এলসেভিয়ারের ই-রিসোর্স যাতে ব্যবহার করতে পারে, সেজন্য ইউজিসি শিগগিরই একটি করবে বলে দুপক্ষ সম্মত হয়েছে। 

এলসেভিয়ার প্রতি বছর প্রায় ২ হাজারের বেশি জার্নাল প্রকাশ করে। প্রকাশিত জার্নালে নিবন্ধের সংখ্যা আড়াই লাখের বেশি। এর আর্কাইভে ৭০ লাখের বেশি প্রকাশনা রয়েছে।

(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)