এখানে শুধু ১০টা মিনিট দাঁড়াতে চেয়েছিলাম আমাদের সন্তানদের জন্য, সেটাও সহ্য হল না।
Published : 30 Jul 2024, 03:48 PM
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া সহিংসতায় ‘শিক্ষার্থী হতাহতের’ প্রতিবাদে অভিভাবক ও অধিকারকর্মীদের ‘মৌন অবস্থান কর্মসূচিতে’ দাঁড়াতে দেয়নি পুলিশ।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সামনে ‘অধিকার চাইলে আমাদের সন্তানকে হত্যা করা হবে কেন?’ শিরোনামে এই মৌন অবস্থান কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল।
নির্ধারিত সময়ে অভিভাবকদের অনেকে সেখান জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
এরপর বেলা পৌনে ১১টার দিলে পুলিশ সেখান থেকে অভিভাবকদের সরিয়ে দেয়।
অভিভাবকরা হাঁটতে হাঁটতে সেখানে উপস্থিত হওয়া সাংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সাথে কথা বলতে চাইলে, গণমাধ্যমকর্মীদেরও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে দেখা যায় পুলিশকে।
কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসা লেখক ও গবেষক রাখাল রাহা বলেন, “আমরা ১০ মিনিটের জন্য দাঁড়িয়ে আহতদের দেখতে যাব বলে কথা ছিল। এটা বড় কোনো আয়োজন ছিল না। এই কর্মসূচিতে আমরা কোনো ব্যানার রাখিনি, মাইকও রাখা হয়নি। এখানে শুধু ১০টা মিনিট দাঁড়াতে চেয়েছিলাম আমাদের সন্তানদের জন্য, সেটাও সহ্য হল না।
"আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে যেতে পারি না। আমরা মনে করি, রাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে যে আচরণ করেছে তা শিক্ষার্থীদেরকে হত্যারই বৈধতা দেয়। আজকের এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা আরও বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণা করব।"
কর্মসূচিতে অধিকারকর্মী সীমা দত্ত ও অ্যাডভোকেট মুসলিম বিন হাইসহ আহত ও নিহতদের অভিভাবক, অধিকারকর্মীদের দেখা যায়।
কোটা সংস্কারের মূল দাবি পূরণ হওয়ায় সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। পাঁচ সমন্বয়কের উপস্থিতিতে রোববার এক ভিডিও বার্তায় তিনি ওই ঘোষণা দেন।
তবে আন্দোলন ঘিরে হতাহতের প্রতিবাদে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের সমর্থনকারীরা সোমবারও ঢাকার অন্তত ছয় জায়গায় জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে।
এই আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাতের মধ্যে এক সপ্তাহে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর আসে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। তবে সরকারি হিসেবে নিহতের সংখ্যা দেড়শ।