বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঢাবিতে সাদা দলের মানববন্ধন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ মানববন্ধন হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2023, 03:09 PM
Updated : 9 Nov 2023, 03:09 PM

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধন থেকে দেশব্যাপী ‘গণগ্রেপ্তার বন্ধ’ ও নির্দলীয় সরকারে অধীনে নির্বাচনের দাবি জানানো হয়।

সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, “আপনারা যদি জনগণের ভাষা বুঝতে না পারেন, তাহলে আমরা মনে করি জনগণের দাবির কাছে, গণআন্দোলনের কাছে আপনাদের পদত্যাগ করতেই হবে। হয় জনগণের আন্দোলনের মুখে নতি স্বীকার করে আপনারা পদত্যাগ করবেন, অন্যথায় এদেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নিয়ে বিদেশি মহল যে উদ্বেগ ব্যক্ত করেছে, আমরা মনে করি তাদের চাপেও হয়তো আপনাদের পদত্যাগ করতে হবে।

“দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা এবং বাজার মূল্য, সবকিছু বিবেচনা করলে, দেশ চালাতে ব্যর্থ হয়েও আপনাদের পদত্যাগ করতে হতে পারে। সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, আপনার পদত্যাগ করে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। আমরা আপনাদের কাছ থেকে সেই সৎ সাহস প্রত্যাশা করি।”

সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, “আপনারা জানেন ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে দুটি প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারে আসা দলটি আবারও একটি একদলীয় প্রহসনমূলক নির্বাচনের জন্য সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে।

“বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো দীর্ঘদিন ধরে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। তারই অংশ হিসেবে গত ২৮ অক্টোবর সবচেয়ে বড় সমাবেশ ডাকেন বিএনপি। কিন্তু সেখানে পুলিশবাহিনীকে ব্যবহার করে সমাবেশকে ভণ্ডুল করে এই সরকার। এবং সেদিনের ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ দলের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।

“ইতোমধ্যে এই গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১০ হাজারে উন্নীত হয়েছে । সরকার এমন প্রহসনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের দেশের গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। কিন্তু এই সরকার আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের প্রতিক্রিয়ার তোয়াক্কা না করে এবং জনগণের গণপ্রত্যাশা ও গণদাবির তোয়াক্কা না করে গায়ের জোরে এবং পুলিশ ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে ২০১৮ সালের মত আরেকটি প্রহসনমূলক নির্বাচনের দিকে হাঁটছে।”

সংগঠনটির সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, “২৮ অক্টোবরের ঘটনা সরকারের সাজানো, তারা নিজেরা গাড়ি পুড়িয়েছে। বর্তমান সরকার যে কোনো উপায়ে আন্দোলন নস্যাৎ করতে চায়। সারা দেশটাকে সরকার এখন কারাগারে পরিণত করেছে।”