প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি সুবিধা দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অমান্যকারী ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে।
বেসরকারি ব্যাংকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি সুবিধা পাবেন না- এই নির্দেশনা অমান্য করে কিছু ব্যাংক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি সুবিধা দিচ্ছে বলে সম্প্রতি জানতে পেরেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে এ বিষয়ে ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপন আবারও মনে করিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
আগের প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনাগুলো তুলে ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, “চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের জন্য কোনো প্রভিডেন্ট ফান্ড সৃষ্টির প্রয়োজন নেই এবং তারা এরূপ সুবিধা প্রাপ্য হবেন না।”
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা, সুশাসন এবং ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা আনতে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী এবং অধস্তন অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে বয়সসীমা ৬৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।”
বয়সসীমা নির্ধারণে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের অবসর গ্রহণের বয়সসীমার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা প্রকাশ করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবারের সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, “অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে যে, কিছু ব্যাংকে, কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিয়মিত চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর, তাদের মধ্যে কোনো কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারীকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করার পর নিয়মিত চাকরিকালীন জমা হওয়া প্রভিডেন্ট ফান্ডের ওপর সুদ হিসাবায়ন চালু রাখা হয়েছে।
“চুক্তিভিত্তিক সময়কেও নিয়মিত চাকরির সময়ের সঙ্গে যোগ করে সর্বমোট চাকুরির মেয়াদ গণনা করে সে অনুযায়ী সর্বশেষ বেতনের অর্থকে ভিত্তি ধরে গ্র্যাচুইটি বাবদ অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে; যা বিধি অনুযায়ী কোনোভাবেই প্রাপ্য নয়।”
ব্যাংকে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিয়মিত চাকরিকাল সমাপ্ত হওয়ার পর চূড়ান্ত অবসরের সময় বিদ্যমান নীতিমালা অনুসরণ করে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্র্যাচুইটি বাবদ প্রাপ্য অর্থ সম্পূর্ণ পরিশোধ করার নির্দেশনাও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।