বিশেষ পরিস্থিতিতে বিকাশের এজেন্ট হয়ে দুই সন্তান নিয়ে ঢাকায় টিকে থাকা এবং তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর গল্প তুলে ধরেন ওই সাক্ষাৎকারে।
Published : 19 Mar 2023, 07:44 PM
ঢাকার সবুজবাগের বিকাশ এজেন্ট মুন্নী বড়ুয়ার সফলতার গল্প উঠে এসেছে সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে; যিনি এলাকায় পরিচিত ‘বিকাশ দিদি’ হিসেবে।
সিএনএনের ওই প্রতিবেদনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুন্নী বড়ুয়া তার স্বামী মারা যাওয়ার পর বিকাশ এজেন্ট হয়ে কীভাবে একজন উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন এবং পরিবারের হাল ধরেছেন সেই গল্প তুলে ধরেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় বিকাশ।
সিএনএনে সম্প্রতি এ সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই স্বাক্ষাৎকারে মুন্নী বড়ুয়া বলেন, ১৯৯৬ সালে পরিবারসহ ঢাকায় আসেন। স্বামীর মুদি দোকানের আয়ে চলত পরিবার। ২০১২ সালে মস্তিকে রক্তক্ষরণে স্বামী মারা যাওয়ার পর পরিবার নিয়ে পড়ে যান অথৈ সাগরে।
এরপর বিকাশের এজেন্ট হয়ে ওই কঠিন পরিস্থিতিতেও দুই সন্তান নিয়ে ঢাকায় টিকে থাকা এবং বর্তমানে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর গল্প তুলে ধরেন ওই সাক্ষাৎকারে।
বিকাশ এজেন্ট হয়ে তার অবস্থা বদলের সময়কার কথা জানিয়ে মুন্নী বলেন, “পরবর্তীতে আমি বিকাশের একজন এজেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করি, তাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেই। এরপর থেকে আমার দিন বদলাতে থাকে।
“টাকা লেনদেনের যেকোনো প্রয়োজনে কিংবা যেকোনো জরুরি মুহূর্তে বিকাশ এজেন্ট হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি।”
সিএনএনকে তিনি বলেন, “মানুষের লেনদেনে কাজে আসি বলে সবাই আমাকে ‘বিকাশ দিদি’ বলে ডাকে। আমার দোকানে কেউ এলেই দ্রুত সেবাটা দেয়ার চেষ্টা করি। মাথায় রাখি লেনদেনটা নিশ্চই কোনো জরুরি কাজে লাগবে। এছাড়াও কারও কোনো পরামর্শ বা বিকাশের অন্যান্য সেবা সম্পর্কে জানতে চাইলে তাও বুঝিয়ে দেই।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এভাবেই বিকাশের মাধ্যমে তার স্বাবলম্বী হওয়ার গল্প তুলে ধরে তিনি সাক্ষাৎকারে বলেন, বিকাশের মাধ্যমে আর্থিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছি, দুই সন্তানকে স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করাতে পারছি।”
দেশজুড়ে বিকাশের এমন ৩ লাখ ৩০ হাজার এজেন্ট রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।