“গভর্নর আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, নির্ধারিত রেটে সবাই ডলার পাবেন,” বলেন মাহবুবুল।
Published : 26 Jan 2024, 03:38 PM
নির্ধারণ করে দেওয়া দরের চেয়ে ব্যাংকগুলো পণ্য আমদানির এলসি (ঋণপত্র) খুলতে ডলারের দর বেশি নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। ব্যাংক ঋণের সুদের হার না বাড়াতেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ এ সংগঠনের দায়িত্বে আসার পর সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের বৈঠকের বিষয়ে জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
তিনি বলেন, “ডলার মার্কেট নিয়ে গভর্নরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, নির্ধারিত রেটে সবাই ডলার পাবেন।”
বৈঠকের পর ডলারের দাম বেশি নেওয়ার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, ডলারের বিনিময় হার এখন ঠিক করে দেয় বাফেদা (বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন) ও ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি (অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ)। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের দেওয়া দর নিয়ে কাজ করে। এখন বাণিজ্য ভারসাম্য সমান, দাম বেশি হবার কথা না।
ঋণের সুদহার প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, “গভর্নর আমাদের বলেছেন ঋণের সুদহার নির্ধারণ এখন স্মার্ট রেট অনুযায়ী চলছে, সুদহার অস্বাভাবিক হারে বাড়ার সুযোগ নেই। এখনকার পদ্ধতি অনুসারে সামান্য পরিমাণ ধাপে ধাপে বাড়তে পারে।”
বৈঠকে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ দেওয়ার দাবি করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ঋণ পরিশোধ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দুটি শিল্প খাতকে ঋণ পরিশোধ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। আরও কিছু খাতকে এ সুবিধা দেওয়া যায় কি না সে বিষয়ে জানিয়েছি, যাতে ব্যবসায়ীরা ভালোমতো ব্যবসা করতে পারেন।
নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রাপ্তি সহজ করা ও জামানত রাখা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের জামানতহীন ব্যাংক ঋণ সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব করার কথা জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, গভর্নর এসব প্রস্তাব পর্যালোচনার কথা জানিয়েছেন।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)