দুই বছর আগে যে বিদেশি ফলের কেজি ছিল দেড়শ, তা এখন ৩৫০ বা ৪০০ টাকাতেও বিক্রি হয়।
Published : 06 Apr 2024, 12:07 AM
আঙ্গুর, আপেল, কমলা, নাশপাতির মত বিদেশি ফলগুলো বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসের অংশ হলেও সেগুলোর আমদানি নিরুৎসাহিত করতে বাড়তি করারোপ বাড়িয়েছে দাম।
দুই বছর ধরেই এসব ফলের বাড়তি দর বিস্মিত করছে ক্রেতাদের। খরচ সমন্বয় করতে গিয়ে কেনা কমিয়েছেন, অথবা বাদ দিয়েছেন।
রোজার শুরুর দিকের তুলনায় দ্বিতীয় সপ্তাহে গ্রীষ্মকালীন ফলের যোগান বাড়ার পর আমদানি করা ফলের দাম কিছুটা কমেছে, তারপরও যে টাকা খরচ করতে হচ্ছে তা মানুষের ‘অভ্যাসের’ চেয়ে অনেকটাই বেশি।
এ জন্য ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার প্রবণতাকেও দুষছেন ক্রেতারা, যদিও আমদানিকারকদের দাবি, কর যতটা বেড়েছে, দাম ততটা বাড়েনি।
তারা বলছেন, শুল্ক হার বাড়ানো আর ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন ফলের দাম বাড়ানোর মূল কারণ। এর বাইরে পরিবহন ব্যয়, এলসি খুলতে জটিলতা- এগুলোও অবদান রেখেছে।
অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, রোজার শুরুর সময় যে দর ছিল, এখন তার চেয়ে কম। এ সময়টুকুতে নিশ্চয় ফল আমদানিতে খরচ কমেনি। তার মানে বাড়তি মুনাফা করা হচ্ছে।
বাড়তি দাম মানুষের ভোগে প্রভাব ফেলছে, যদিও পুষ্টিবিদরা বলে থাকেন, সুস্থতার জন্য ফল খাওয়া জরুরি। দিনে জনপ্রতি অন্তত ১০০ গ্রাম ফল খাওয়ার কথা বলছেন তারা।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর থেকে দেশে দেশে যে মূল্যস্ফীতি ও ডলার সংকট দেখা দেয়, সে সময় বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচাতে বাংলাদেশ সরকার নানা পদক্ষেপ নেয়। এর অংশ হিসেবে ২০২৩ সালে ফল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে বাড়ানো হয় শুল্ক।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুট ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, “সরকার অতিমাত্রায় শুল্ক বাড়ানোয় ও ডলারের রেট বেড়ে যাওয়ায় আমদানিকৃত সব ধরনের ফলের দাম বেড়েছে।”
পীড়া দিচ্ছে দাম
ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া আবির মাহমুদের প্রিয় ফলের মধ্যে রয়েছে মাল্টা। বাবাও চেষ্টা করেন সন্তানের প্রিয় এই ফলটি এনে দিতে। তবে এখন তাকে পীড়া দেয় দাম।
যে ফল বছর দুয়েক আগেও তিনি কিনেছেন ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায়, এখন তিনশর কমে কেনা দায়, কখনো সখনো দাম ঠেকে চারশতে।
চাকরির সুবাদে ঢাকায় একটি হোস্টেলে থাকেন সিরাজুম মনিরা। তিনি মাঝে মাঝে আপেল বা মাল্টা কেনেন। দাম বেশি হওয়ায় তার সেই অভ্যাসে ছেদ পড়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আগে যে দাম ছিল এখন সেই দাম বা আশপাশে থাকলেও অন্তত এক কেজি করে কিনতে পারতাম। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি দুইটা তিনটা ছাড়া কেনার উপায় নেই।”
কুমিল্লায় একটি বাসা নিয়ে থাকেন কাতিব হাসান। তিনি বলেন, “ইফতারের জন্য কিনতে গিয়ে দেখলাম কেজি প্রতি আপেল ৩০০ টাকা, মাল্টা ৩২০ এর উপরে আর আঙ্গুরের দাম শুরুই হয় ২৮০ টাকা থেকে। এসব দেখে হতাশ হয়ে দেশি ফল কিনতে গিয়েও খুব স্বস্তি পাইনি।
যে সিদ্ধান্তের প্রভাব ফল বাজারে
২০২২ সালের মে মাসে বিদেশি ফল আমদানিতে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পরে ফল আমদানিতে ঋণ সুবিধা বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
সে সময় অপ্রয়োজনীয় ও বিলাস পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতে সরকার এ পদক্ষেপ নেয়।
ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশে আপেল, কমলা ও নাশপাতির মত বিলাস জাতীয় পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে এনবিআর। এতে করে শুল্ক, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক কাস্টমস ডিউটি সব বেড়ে যায়।
আগে যেখানে বিদেশি ফলের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কহার ছিল ৩ শতাংশ, সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ২৩ শতাংশে।
এর সঙ্গে আমদানিতে ২৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর এবং ৪ শতাংশ অগ্রিম ট্রেড ভ্যাট তো আছেই।
আনিছুর রহমান নামে একজন ক্রেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফল শরীরের জন্য খুবই জরুরি একটা খাবার। এটা বিলাসী পণ্য বিবেচনা করা উচিত না।”
দেশি ফল দিয়ে চাহিদা পূরণ সম্ভব নয় জানিয়ে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “সারা বছরের জন্য আমাদের তো বিদেশি ফলের ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু এত দাম যে কিনে খাওয়ার পরিস্থিতি নাই। শুল্ক কমিয়ে রাখলে সাধারণ মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতায় থাকে। তাতে আমাদের সবার পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে।”
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুট ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নুরুদ্দিন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কাস্টমস শুল্ক ছিল ২০ শতাংশ, সেটা করেছে ২৫ শতাংশ। আর সম্পূরক শুল্ক ছিল ২০ শতাংশ, সেটা হয়েছে ২৫ শতাংশ। এটা ৫ শতাংশ বাড়া মানে হিসেব করতে গেলে ১৫ শতাংশের সমান। কারণ এখানে ভ্যাটসহ আরও কিছু যুক্ত থাকে।
“সবকিছু মিলিয়ে এখন আমাদের শুল্ক দিতে হয় ১১৫ শতাংশ, যা আগে দিতাম ৯১ শতাংশ। এরপর ভ্যালুয়েশন বাড়িয়েছে। আগে দিতাম ৫০ সেন্টের জন্য ৯১ শতাংশ শুল্ক। এখন ৭০ সেন্টের জন্য ১১৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। এছাড়া দুই বছর আগে ডলারের রেট ছিল ৮৭ টাকা, এখন ১২০ টাকা।”
টাকার হিসাবে শুল্কে প্রভাবের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “দুই বছর আগে ১৫ কেজি মাল্টায় শুল্ক দিতাম ৭৬০ টাকা, এখন দিচ্ছি ১৪৮০ টাকা।
“জাহাজের ভাড়া অনেক বাড়ানো হয়েছে। আগে যেখানে ২৭০০ ডলার ভাড়া দিতাম। এখন সেটা ৭ হাজার ডলার দিতে হচ্ছে, বিশেষ করে মিশর থেকে।”
যে হারে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে, ফলের দাম সে হারে বাড়েনি বলেও দাবি করেন তিনি।
ক্রেতার যে প্রশ্নের যুৎসই জবাব নেই
ফল আমদানিকারকরা কর বৃদ্ধির কথা বললেও দাম এতটা বৃদ্ধি নিয়ে ক্রেতার মনে অন্য প্রশ্ন।
রোজার দ্বিতীয় সপ্তাহের পর দাম কিছুটা কমে যাওয়া নিয়ে ক্রেতা কাতিব হাসান বিডিনিউজ টোয়োন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ব্যবসায়ীরা বলে ট্যাক্স বেশি তাই দাম বেশি। যদি তাই হয় তবে রমজানের সাতদিন আগে এক দাম, পহেলা রমজানে এক দাম আর এখন রমজানের মাঝামাঝি সময় পরে আরেক দাম কেন।
“এই অল্প কয়েক দিনেই দামের যে রহস্যজনক পরিবর্তন, তা স্বাভাবিক নাকি ব্যবসায়ীদের কারসাজি?”
এই প্রশ্নের জবাব কী? বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুট ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দায় দিলেন খুচরা বিক্রেতাদের ওপর। তিনি বলেন, “মার্কেট তো আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। মার্কেট আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে।
“আমাদের কাছ থেকে নিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা হয়ত বেশিতে বিক্রি করেছে। আর তখন চাহিদা বেশি ছিল। এখন একটু চাহিদা কম, তাই দামও একটু কম।”
আকবর খান নামে একজন ক্রেতা ‘রয়ে সয়ে’ কেনাকাটার পরামর্শ দিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “রোজার শুরুতে আমার কেনাকাটায় হুমড়ি খেয়ে পড়ি। দাম যতই হোক, পরিবার নিয়ে ভালো করে ইফতার করতে হবে, এ চিন্তায় চড়া মূল্যে হলেও বেশি বেশি কিনি। তাই ব্যবসায়ীরা সুযোগ লুফে নেয়। আবার চাহিদা বাড়লে কারসাজি শুরু করবেই।”
‘মানসিকতা পাল্টাতে হবে’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক আবু তোয়াব এম এ রহিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নষ্ট হলেও ১০ টাকা ছাড়বে না ব্যবসায়ীরা। যে কোনো বাজারে সন্ধ্যা ৬টার পরে গেলে দেখা যাবে কত পচা ফল, শাক-সবজি ফেলে দিচ্ছে। এগুলো গরিব মানুষের কাছে একটু কম দামে ছেড়ে দিলেই তো হত।”
পলাশী বাজারে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “সেখানে একটা তরমুজ ছিল যার একপাশে পচে গেছে। একজন দরিদ্র মহিলা সেটা নিতে চাইল, দোকানি বলল ‘ওটা থাক’।
“পরে পচা অংশ কেটে ভালো অংশ নিয়ে দোকানে রাখল। এটা তো হল না। আসলে আমাদের ব্যবসায়ীদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।”
দিনে কমপক্ষে ১০০ গ্রাম ফল খেতে হবে জানিয়ে ইনস্টিটিউটের আরেকজন অধ্যাপক নাজমা শাহীন বলেন, “সরকার যেহেতু বিদেশি ফলকে বিলাস দ্রব্য হিসেবে ধরছে, তাই দেশি ফলে ঝুঁকতে হবে। এর তো বিকল্প নেই।”
দেশি ফলের চাপে দরপতন
রোজার শুরুতে বেশ কিছু পণ্যের পাশাপাশি ফলের বাজারেও দেখা দেয় ‘অস্থিরতা’ । তবে দ্বিতীয় সপ্তাহে এতে দেখা যায় বাজারে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ, আনারস, বাঙ্গি, কলা, বেলের সরবরাহ বেড়েছে। দামও কমে এসেছে অনেকটা।
কারওয়ান বাজার, ফলের বৃহৎ আড়ত ওয়াইজ ঘাট ও বাতামতলী ঘুরে দেখা গেছে, কিছু ফলের দাম ১৫ দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বেশি যে ফল হালি বা জোড়া বা একটি করে বিক্রি হয়, দাম কমেছে সেগুলোরও।
রোজার শুরুতে যে বেল বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকায়, একই আকারের বেল এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
এখন পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। যা আগে ক্রেতাদের কিনতে হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে।
আনারস খুচরায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ২০ টাকা। তবে একই আনারস আগে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারওয়ানবাজারের বিক্রেতা শিপন চন্দ্র দাস।
তিনি বললেন, আড়ত থেকে ১৩ টাকা করে কিনেছেন। তবে রোজার শুরুতে কিনতে হয়েছে ২৫ থেকে ২৬ টাকায়।
আলোচিত ফল তরজুমের দামও কিছুটা কমেছে। রোজার শুরুতে ‘পিস’ হিসেবে কিনে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করতেন কেজি হিসেবে। রোজার শুরুতে তা ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে কিনতে হয়েছে ক্রেতাদের। তবে রোজার মাঝামাঝি তা কমে আসে গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।
তরমুজ বিক্রেতা ওবাইদুর রহমান বলেন, “এখন তরমুজের মৌসুম। আর বৃষ্টি হচ্ছে তাই কৃষকরা মাল তুলে ফেলতেছে। ক্ষেতে পানি জমলে তরমুজ নষ্ট হয়ে যাবে।”
বেল ও বাঙ্গি বিক্রেতা ইয়াছিন আহমেদ বলেন, “যে বাঙ্গি বেচছি ১২০ টাকা পিস, সেই বাঙ্গি এখন ২৫ টাকা, ৩০ টাকা। দেড়শ টাকার বেল এখন ৪০ টাকা।”
মানুষের চাহিদার ওপর যে দাম বাড়ে, সেই নিয়ম মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “শুরুতে মানুষ অনেক কিনছে, আর দাম বাড়ছিল। পরে আমরা পাইকারিতে কিনতে গিয়াও বেশি দামে কিনছি।”
দেশি ফলের সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে আসার পর আমদানি করা ফলের দামও কমিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
কারওয়ানবাজার ও পুরান ঢাকায় আঙুর ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে, রোজার শুরুতে দাম ছিল ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা।
মিশরীয় মাল্টা এখন এ দুই বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে, যা আগে বিক্রি হয়েছে ৩৫০ টাকায়।
মাল্টা বিক্রেতা হায়াত আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাদামতলীতে সিন্ডিকেট চলে মামা। সেখানে তারা রমজানের শুরুতে ৩০০ টাকা করে নিছে মাল্টা, সেটা বিক্রি করছি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি। এখন আবার দাম কম রাখতাছে তারা। তারাই আমাদের কাছে পাইকারিতে নিচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজিতে। তাই আমরা বিক্রি করতাছি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিতে।”
অবশ্য পাইকারিতে দাম কমার প্রভাব যে নগরীর সব এলাকার ভোক্তারা সমানভাবে পাচ্ছেন তা নয়। পাইকারির তথ্য ক্রেতাদের জানা না থাকার সুবিধা নিচ্ছেন বহু বিক্রেতা।
ওয়াইজ ঘাট ও বাদামতলীর ফলের আড়তের চিত্র
রাজধানীর পাড়া মহল্লায় ফল আসে এখান থেকেই। সেখানে ৪০ টাকা থেকে শুরু করে প্রতি পিস তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা পর্যন্ত। মাঝারি আকারের তরমুজগুলো ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তরমুজ ব্যবসায়ী ফিরোজ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বর্তমানে দাম সবচেয়ে কম। আলহামদুলিল্লাহ, বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে।”
এই বাজারে আনারের দাম আকার ও মানভেদে ২৩০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৩০ টাকা কেজি দেখা গেছে।
ব্যবসায়ী মোহাম্মদ বুধবার জাকারিয়া বলেন, “গত সপ্তাহের তুলনায় আজ প্রায় ৫০ টাকা কম আছে।”
১৪ কেজি ওজনের মাল্টা ৩০০০ থেকে ৩৫০০ বিক্রি হতে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে দাম ছিল চার থেকে পাঁচশ টাকা বেশি। রোজা শুরু হওয়ার আগে দাম ছিল ৪০০০ থেকে ৪৫০০ টাকা।
এই বাজারে চার ধরনের আপেল বিক্রি হয়।
মানভেদে প্রতি কার্টুন হানি আপেল ৩৬০০ টাকা থেকে ৩৭০০ টাকা, ফুজি আপেল ৪৬০০ টাকা থেকে ৪৮০০ টাকা, রয়েল আপেল ৫০০০ টাকা থেকে ৫১০০ টাকা এবং গোল্ডেন আপেন ৫১০০ টাকা থেকে ৫৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
চায়না কমলার সাড়ে আট কেজির এক কার্টনের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২০০০ টাকা থেকে নেমেছে ১৪০০ টাকায়।
ব্যবসায়ী মো. সবুজ আহম্মেদ ২০কেজির এক কার্টন সাদা আঙ্গুর মানভেদে ৪৭০০ থেকে ৫০০০ টাকায় এবং লাল আঙ্গুর ৫০০০ টাকা থেকে ৫৫০০ টাকায় বিক্রি করছিলেন।
মেসার্স ফারিহা ফ্রেস ফ্রুটের মালিক মো. সবুজ আহম্মেদ বলেন, “ফলমূলের দাম প্রতিদিন বাড়ে-কমে। রমজান মাসে রোজাদারদের ফলমূলের চাহিদা বেশি থাকায় বিক্রি ভালোই হচ্ছে।”