ছয় দিনের কয়লার মজুদ নিয়ে ফের উৎপাদনে রামপাল

একটি ইউনিটে দিনে লাগে ৫ হাজার টন কয়লা। গত ৯ ফেব্রুয়ারি ৩০ হাজার টন নিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে ভেড়ে জাহাজ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Feb 2023, 07:47 AM
Updated : 16 Feb 2023, 07:47 AM

একমাস বন্ধ থাকার পর হাতে ছয় দিনের কয়লা নিয়ে ফের উৎপাদনে শুরু করেছে বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। মজুদ শেষ হওয়ার আগেই আসবে কয়লার আরেকটি চালান। 

বুধবার মধ্যরাতে কেন্দ্রটি চালু হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম। তিনি বলেন, রাত ১১টা ৩ মিনিটে একটি ইউনিট চালু করা হয়। রাতেই উৎপাদন হয় ১০০ মেগাওয়াট। বৃহস্পতিবার সকালে ২০০ এবং দুপুরে উৎপাদন বেড়ে হয় ৪০০ মেগাওয়াট। 

বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বিনিয়োগে সুন্দরবন্দের অদূরে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট গত ১৫ অগাস্ট পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করে। ১৭ ডিসেম্বর শুরু হয় বাণিজ্যিক উৎপাদন। তবে কয়লার মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ায় ২৭ দিনের মাথায় গত ১৪ জানুয়ারি কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। 

এর প্রায় চার সপ্তাহ পর গত ৯ ফেব্রুয়ারি ৩০ হাজার টন কয়লা নিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে ভিড়ে একটি জাহাজ। এরপরই কেন্দ্রটি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়।

আনোয়ারুল আজিম জানান, কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালু রাখতে দৈনিক ৫ হাজার টন কয়লার প্রয়োজন হবে। সেই হিসাবে এই চালানে চলবে ছয় দিন। কয়লার পরের চালান আসছে আগামী শনিবার। সেদিন আসবে ৫৫ হাজার টন। দুটি চালান এসে গেলে ১৬ থেকে ১৭ দিনের জ্বালানি নিশ্চিত হয়ে যাবে।

ইন্দোনেশিয়া থেকে জাহাজ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জেটিতে ভিড়তে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে। কেন্দ্রটিতে কয়লা মজুদের সক্ষমতা রয়েছে তিন মাসের। নিয়ম অনুযায়ী এক মাসের কয়লা মজুদ রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও উৎপাদন বন্ধ হওয়ার আগে কেন্দ্রটিতে কোনো মজুদ ছিল না। 

বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, রাজধানীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে কেন্দ্রটি চালু করা হয়েছিল। সেখান থেকে ঢাকায় বিদ্যুৎ আসত প্রায় ৪৫০ মেগাওয়াট। বাকি বিদ্যুৎ সরবরাহ হত খুলনায়। 

শীত শেষে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে থাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধের প্রভাব রাজধানীসহ দেশজুড়ে পড়ে। ফলে কিছু এলাকায় লোডশেডিংয়ের সমস্যা দেখা দেয়। এখন সেচ মৌসুম ও গ্রীষ্মকাল শুরু হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা আরও বাড়ছে, তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি আবার চালু করা হয়েছে। 

আগামী জুনে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিটও উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে।