মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ এর ব্যবহারকারীরা এখন অ্যাপের মাধ্যমে ৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।
Published : 15 Dec 2021, 04:53 PM
বুধবার রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে এ ডিজিটাল ঋণ সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জামানত ও কাগজপত্র ছাড়া মাত্র ৯ শতাংশ সুদে পাওয়া যাবে এ ঋণ। এ ঋণের অর্থ বিকাশের মাধ্যমে পাওয়া গেলেও টাকা দেবে সিটি ব্যাংক।
ঋণপ্রাপ্তির যোগ্যতা সাপেক্ষে গ্রাহকের বিকাশ অ্যাকাউন্টে ৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত সিটি ব্যাংকের জামানতবিহীন এ ‘ডিজিটাল ন্যানো লোন’ জমা হবে।
এ ঋণ পরিশোধ করা যাবে তিনটি মাসিক কিস্তিতে। বিকাশ অ্যাপ থেকে কিস্তি পরিশোধও করতে পারবেন ঋণগ্রহীতারা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ সেবা চালুর আগে বছরব্যাপী পাইলট প্রকল্প চালায় সিটি ব্যাংক।
সাধারণ নিয়মে ঋণ পেতে নির্দিষ্ট কিছু কাগজপত্রের পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রে জামানত দিতে হয়।
আবার এত কম টাকা ঋণ ব্যাংকগুলো দেয় না। অপরদিকে ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলোর সুদ হার থাকে বেশি।
এর ফলে ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা একটি বিশাল জনগোষ্ঠী কাগজবিহীন ডিজিটাল পদ্ধতিতে তাৎক্ষণিক ঋণ পাওয়ার সুযোগ পেলেন।
এ ঋণ পেতে ‘প্রসেসিং ফি’ দিতে হবে দশমিক ৫০ শতাংশ। তবে প্রথম যারা ঋণ নেবেন তাদেরকে ঋণ নিতে এ ফি দিতে হবে না।
গ্রাহকের বিকাশ লেনদেন এবং সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট পলিসির উপর ভিত্তি করে ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা ও ঋণের পরিমাণ নির্ধারিত হবে।
এ সেবার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মোঃ নাছের ও সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার।
অনুষ্ঠানে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন এবং বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীরসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণে আমাদের এই ‘ডিজিটাল ন্যানো লোন’ বড় ভূমিকা রাখবে।
এ সেবা বাণিজ্যিকভাবে চালুর বিষয়ে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আপনি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সঞ্চয়টাকে ডিপোজিট হিসেবে নেওয়ার জন্য এজেন্ট ব্যাংক খুলবেন, তাদের টাকা ট্রান্সফার করে এমএফএস ব্যবসা করবেন; কিন্তু তাদেরকে বিশ্বাস করে ঋণ সুবিধা দেবেন না, সেটা তো নৈতিকভাবে ঠিক হল না।
“ডিজিটাল ন্যানো লোনের যুগে সিটি ব্যাংক ও বিকাশ এর এই পদার্পণ আমাদের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশনের এই বড় নৈতিক ঘাটতির মোচন ঘটালো।”
এ প্রসঙ্গে বিকাশের প্রধান নির্বাহী বলেন, “ব্যাংক ও এমএফএসের মধ্যে আন্তঃলেনদেন সেবার কল্যাণে অনেক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
“বিকাশের মত কার্যকর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও বিশাল গ্রাহক ভিত্তিকে ব্যবহার করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সৃজনশীল নতুন সেবা চালু করতে পারে। ডিজিটাল ন্যানো লোন আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সুযোগকে আরও বিস্তৃত করবে।“