করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ‘সর্বোচ্চ সতর্কতা’ হিসেবে একই সঙ্গে নির্ধারিত স্থানের বাইরে কোরবানির পশুর কোনো হাট বসাতে দেওয়া যাবে না বলেও কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
রোববার ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাইকরণ এবং কোরবানির বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি।
স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত এই ভার্চুয়াল সভায় মন্ত্রী বলেন, “ঈদ উপলক্ষে ভারত থেকে দেশে বৈধ-অবৈধ পথে অনেক পশু আসে এবং মানুষ যাতায়াত করে। ভারতীয় ভেরিয়েন্ট আমাদের দেশে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
“এজন্য কোনো অবস্থাতেই যেন ভারত থেকে বৈধ-অবৈধভাবে মানুষ এবং পশু না আসে সীমান্ত এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্টদের শক্ত অবস্থানে থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।”
এজন্য পশুর হাট এবং পশু জবাইয়ের নির্ধারিত স্থানেই হাট বসবে হবে। নির্ধারিত স্থানের বাইরে পশু জবাই করতেও দেয়া হবে না।”
শহর-নগর, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ সুবিধামত জায়গায় গরুর হাট বসানোর ব্যবস্থা নেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “করোনাভাইরাসের নতুন ধরন যেন ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।”
সভায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সব সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্য, তথ্য ও সম্প্রচারসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব এবং বিভিন্ন অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।