ফরিদপুরের পান্না ব্যাটারি লিমিটেডের বিরুদ্ধে ৪৩ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে মামলা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর।
Published : 14 Oct 2020, 10:51 PM
বুধবার যশোর ভ্যাট কমিশনারেটের কাছে ২০১৮ সালে কর ফাঁকির অভিযোগে ফরিদপুরের এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে’ ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল ১২ অগাস্ট ফরিদপুরের এই ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালায়। সংস্থার সহকারী পরিচালক সালাউদ্দিন রিপনের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে গোয়েন্দারা তাদের বাণিজ্যিক দলিলাদি জব্দ করেন এবং মাসিক ভ্যাট রিটার্নের সাথে সেগুলো যাচাই করে এই ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করেন।
তাদের কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সালে ৩৯৮টি ভ্যাট চালান ইস্যু না করে পণ্য সরবরাহ করেছে। ফরিদপুর ভ্যাট সার্কেলে রক্ষিত রিটার্নের সাথে এগুলোর কোনো কপি পাওয়া যায়নি।
“পান্না ব্যাটারির বাণিজ্যিক দলিলে পাওয়া এসব এন্ট্রি ভ্যাট রিটার্নে গোপন করেছিল। এর মাধ্যমে তারা গোপনে কারখানা থেকে ২৭ লাখ ৭২ হাজার ২ কেজি হার্ডলিড সরবরাহ করে। কোম্পানির মূল্য ঘোষণা অনুসারে প্রতি কেজি হার্ডলিডের মূল্য ১০ টাকা ৫০ পয়সা। এতে ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।
“ভ্যাট আইন অনুযায়ী সময়মতো ভ্যাট না দেওয়ায় ২ শতাংশ হারে সুদে আসে আরও ১৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। পান্না ব্যাটারিকে সর্বমোট ৬২ লক্ষ টাকা দিতে হবে। একইসাথে ন্যায় নির্নয়ন (বিচার) প্রক্রিয়ায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে আরো ব্যক্তিগত জরিমানা আরোপ করা হতে পারে।”
ফরিদপুরের মধুখালীর এই কারখানায় ব্যাটারি তৈরির মূল উপাদান হার্ড লিড তৈরি করা হয়। এরপর তারা তা ব্যাটারি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে।